ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ক্রমবর্ধমান বৈষম্য ও অসমতা দূর করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : স্যাপি

প্রকাশিত: ০৬:২০, ২০ জানুয়ারি ২০২০

ক্রমবর্ধমান বৈষম্য ও অসমতা দূর  করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : স্যাপি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার ক্রমবর্ধমান বৈষম্য ও অসমতা দূর করতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সাউথ এশিয়ান অ্যালায়েন্স ফর প্রভার্টি ইরাডিকেশন (স্যাপি)। সোমবার রাজধানীতে আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে স্যাপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় দরিদ্র জনগোষ্ঠী বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও লিঙ্গ নির্বিশেষে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। এই বৈষম্য নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘বৈষম্যহীন দক্ষিণ এশিয়া গড়ে তুলতে সকলে ঐক্যবদ্ধ হোই’-এই শ্লোগানকে সামনে রেখে মানবন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস)’র নির্বাহী পরিচালক ও স্যাপি’র বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সদস্য সচিব রোকেয়া কবীরের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বিএমএ’র সাবেক সভাপতি ডা. রশিদ-ই-মাহবুব, শ্রমিক নেতা আবুল হোসেন, ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইইডি)’র নির্বাহী পরিচালক নূমান আহম্মেদ খান, ইনসিডিন বাংলাদেশের মুশফিকুর রহমান, বিএনপিএস’র শাহনাজ সুমী, জন উদ্যোগের মাহবুবুর হক, আদিবাসী নেতা শ্রীবাস দাশ, সাবেক ছাত্রনেতা মানবেন্দ্র দেব প্রমুখ। সভাপতির বক্তব্যে রোকেয়া কবীর বলেন, ওর্য়াল্ড ইকোনোমিক ফোরামের অর্থনৈতিক আলোচনাকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য দক্ষিণ এশিয়ার জনগণ একত্রে দাঁড়িয়েছে। কারণ ওই ফোরামের নামে ধনী, অভিজাত ও বৃহৎ বহুজাতিক করপোরেশনগুলো জলবায়ুকে ধ্বংস করছে। তারা নারী, শ্রমিক ও আদিবাসী জনগণের অধিকার বঞ্চিত করতে শক্তি প্রয়োগ করছে। আমরা বঞ্চনা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে একটি সমতাভিত্তিক বিশ্ব বিনির্মাণে একত্রে দাঁড়িয়েছি। ডা. রশিদ-ই-মাহবুব বলেন, মানুষের অর্থনৈতিক সুবিধা, শান্তি ও গণতন্ত্র পুনর্নিমাণে একটি নতুন অর্থনৈতিক মডেল তৈরি করতে হবে। যার মাধ্যমে অধিকতর ভালো একটি বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। এজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। শ্রমিক নেতা আবুল হোসেন বলেন, বিগত ৩০ বছর ধরে দক্ষিণ এশিয়ায় বৈষম্য চরমভাবে বেড়েই চলেছে। কিন্তু এটি কোনো দুর্ঘটনা নয়, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতাশালীরা এমন ধরনের অর্থনৈতিক ধ্যাণ-ধারণা ও ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। যেখানে বাজার ও অর্থের একচ্ছত্র আধিপত্য। বৈষম্য নিরসনে আধিপত্য প্রতিহত করতে হবে। আইইডি’র নির্বাহী পরিচালক নূমান আহম্মেদ খান বলেন- ‘দক্ষিণ এশিয়ার জনগোষ্ঠী জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও লিঙ্গ নির্বিশেষে বৈষম্যের শিকার। এই বৈষম্যগুলো সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কারণেই সৃষ্টি হয়েছে। এই বৈষম্য কমাতে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে। সংমাবেশে বক্তারা ধনী-দরিদ্রদের মধ্যকার ব্যবধান কমানোর জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, মজুরী ও নারীর প্রতি বৈষম্য কমানো, দেশীয় কর রাজস্ব সচল, জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন পুনরুজ্জীবিত, সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত, জলবায়ূ বিপর্যয় রোধ, জীবাশ্ম জ্বালানির অযৌক্তিক প্রভাব দূর এবং নারী ও ক্ষুদ্র কৃষকের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার দাবি জানান।
×