ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

বেবিচক কর্মকর্তা ঘুষ নেয়ার সময় হাতেনাতে গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১০:৩৮, ৭ ডিসেম্বর ২০১৯

  বেবিচক কর্মকর্তা ঘুষ নেয়ার সময় হাতেনাতে গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শুধুমাত্র ২ লাখ টাকা ঘুষ না দেয়ায় দুই দফা বাণিজ্যিক পাইলট (সিপি) পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেননি সিভিল এ্যাভিয়েশনের জুনিয়র লাইসেন্স ইন্সপেক্টর ও সংস্থার কনসালট্যান্ট এইচ এম রাশেদ সরকার। পরে বাধ্য হয়ে ২ কিস্তিতে ২ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে রাজি হয়েছেন ওই পাইলট। এবার ঘুষের প্রথম কিস্তির ১ লাখ টাকা নিতে এসে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে হাতেনাতে গ্রেফতার হলেন তিনি। শুক্রবার দুদকের কাছে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পাইলটের পূর্বের দেয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদকের পাতা ফাঁদে রাজধানীর উত্তরার একটি রেস্তরাঁয় বসে ঘুষ নেয়ার সময় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (সিভিল এভিয়েশন) এ কর্মকর্তাকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল গ্রেফতার করে। কমিশনের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান জনকণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অভিযোগ রয়েছে সিভিল এভিয়েশনের জুনিয়র লাইসেন্স ইন্সপেক্টর রাশেদ সরকার বিভিন্ন পাইলটের কাছ থেকে অর্থের বিনিময়ে বাণিজ্যিক পাইলট হিসেবে দেয়া পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়ার ব্যবস্থা করেন। এজন্য তিনি পাইলটদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের উৎকোচ গ্রহণ করেন। সম্প্রতি এক পাইলট দুদকের কাছে অভিযোগ করেন যে, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও শুধু ঘুষ প্রদান না করায় তাকে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নেয়া বাণিজ্যিক পাইলট ( সিপি) পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিচ্ছেন না জনাব রাশেদ। উপরিচালক মাসুদ বলেন, পাইলটের অভিযোগ, এ পরীক্ষায় অংশ নিতে জুনিয়র লাইসেন্স ইন্সপেক্টরকে প্রত্যেক পাইলটকে কমপক্ষে ২ লাখ টাকা প্রদান করতে হয়। কিন্তু উক্ত পাইলট জুনিয়র ইন্সপেক্টরকে কোন প্রকার ঘুষ না দেয়ায় গত ২৭ নবেম্বর অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অংশ নিতে সুযোগ দেননি। এরপর গত ৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত পরীক্ষায়ও পুনরায় কোন প্রকার ঘুষ দিতে রাজি হওয়ায় পাইলটকে সুযোগ দেয়নি। পরবর্তীতে আগামী ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষায় অংশ নিতে হলে ২ লাখ টাকা দিতেই হবে অন্যথায় পাইলটকে এবারও বাণিজ্যিক পাইলট হতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিলে উক্ত পাইলট দুদকে অভিযোগ করেন। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা ইন্সপেক্টর রাশেদ হোসেনকে ফাঁদ পেতে ঘুষের টাকাসহ গ্রেফতার করেছি। প্রাথমিকভাবে রাশেদ বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক তাহসিন মোনাবিল হক একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ৫। তবে পাইলটের পরীক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঘুষ গ্রহণের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে।
×