ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আজিজ আহমেদ

লাগামহীন ফেসবুক

প্রকাশিত: ০৯:২৩, ২১ নভেম্বর ২০১৯

লাগামহীন ফেসবুক

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে পৃথিবী আজ বিশ্বগ্রামে পরিণত হয়েছে। আর এখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। কে ব্যবহার করছে না এটি! আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সবাই বুঁদ হয়ে আছে ফেসবুকের রাজ্যে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ফেসবুকের মাসিক সক্রিয় সদস্য দুই বিলিয়ন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেসবুক আমাদের জীবনের বড় একটি সময় কেড়ে নিচ্ছে। আর টিনএজরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আরও বেশি জড়িয়ে পড়ছে। ফেসবুক আসক্তি এখন একটা মারাত্মক নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি ডিজিটাল কোকেন এ্যাডিকশনের মতো হয়ে গেছে। আর এই ফেসবুকের আসক্তির ফলে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হচ্ছে। বাস্তব জীবনের পাশাপাশি মানুষ এখন বসবাস করছে ভার্চুয়াল জগতে। আর ভার্চুয়াল জগতের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হলো এই ফেসবুক। ফেসবুকের কল্যাণে মানুষ খুব সহজেই বিশ্বের কাছে নিজেকে প্রকাশ করতে পারে। কিন্তু বর্তমানে এই জনপ্রিয় মাধ্যমটির অপব্যবহার বেড়েছে। প্রত্যেকটা জিনিসকেই ভাল কাজে ব্যবহার করা যায় আবার খারাপ কাজে ব্যবহার করা যায়। এখন কথা হচ্ছে আমি কোন কাজে ব্যবহার করব কিংবা কোন্ পথে চলব সেটাই হচ্ছে মূল কথা। ১৮৬৭ সালে আলফ্রেড নোবেল ডায়নামাইট আবিষ্কার করেছিলেন মাটির নিচে খনিতে থাকা মূল্যবান সম্পদ উদ্ধারের জন্য কিন্তু পরবর্তীতে এই ডায়নামাইট যুদ্ধে মানুষের প্রাণ নেয়ার জন্য ব্যবহার করা শুরু করে মানুষ। ডায়নামাইট ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী এক ধরনের বোমা। একই জিনিস মানুষের কল্যাণে ও ধ্বংসের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফেসবুকও তেমনি, এটা আপনি ভাল কাজেও ব্যবহার করতে পারেন আবার মন্দ কাজেও ব্যবহার করতে পারেন। সত্যি বলতে আমাদের দেশে স্মার্টফোন এতটাই সহজলভ্য হয়ে গেছে যে এখন বাচ্চা থেকে শুরু করে সবার হাতে হাতেই ফোন চলে গেছে আর ফেসবুক ব্যবহার করছে। আর এই ফেসবুক মানুষের যেমন কল্যাণে আসে ঠিক তেমনি কিছু অসাধু মানুষ এই ফেসবুককে যুদ্ধের অস্ত্র কিংবা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। দেশের মধ্যে অরাজকতা সৃষ্টি করে তারা বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়িয়ে দাঙ্গা সৃষ্টির ফলে দেশ ও দশের শান্তি বিনষ্ট করছে। এ ছাড়াও অপ্রাপ্ত বয়সে, না বুঝে ফেসবুক ব্যবহারের ফলে অনেক মিথ্যাচার ছড়িয়ে পড়ে- এর ফলে সৃষ্টি হয় অপ্রীতিকর ঘটনা যা মোটেও কাম্য নয়। আন্তর্জাতিক পেজ এবং সংবাদে বিভিন্ন ধরনের খারাপ মন্তব্য করে আমাদেও দেশের সুনাম নষ্ট করছে এক জাতীয় মানুষ। এ ছাড়াও ভার্চুয়ালের রঙিন জগতে নারীরা বিভিন্ন ধরনের ফাঁদে পড়ে। আর এর থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হচ্ছে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা। টাঙ্গাইল থেকে
×