ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

যে কোন ধরনের সেবা পাওয়া যাবে

চালু হলো ঢাকা উত্তর সিটির হেল্পলাইন ৩৩৩

প্রকাশিত: ১১:৩৬, ১৩ নভেম্বর ২০১৯

চালু হলো ঢাকা উত্তর সিটির হেল্পলাইন ৩৩৩

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নাগরিক সেবা প্রদান সংক্রান্ত যে কোন তথ্য পেতে ও সিটি কর্পোরেশন সংক্রান্ত যে কোন প্রকার অভিযোগ জানাতে হেল্পলাইন নম্বর ৩৩৩ চালু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসি নগর ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সেবাটি যৌথভাবে উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও সংস্থাটির মেয়র আতিকুল ইসলাম। এর মাধ্যমে মোবাইল ফোনেই ডিএনসিসির যে কোন নাগরিক সংস্থাটির আওতাধীন বিভিন্ন ধরনের সেবা ও সেবার তথ্য নাগরিকেরা পাবেন। একইসঙ্গে ডিএনসিসি এলাকার নাগরিক অথচ বিদেশে বসেই যাতে এ সেবা পেতে পারেন সেজন্য ০৯৬৬৬৭৮৯৩৩৩ নাম্বারে ফোন করে সেবা গ্রহণ ও অভিযোগ করতে পারবেন। অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই, একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)-এর প্রকল্প পরিচালক আব্দুল মান্নান প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, তথ্য সেবা সবসময় এই সেøাগানকে সামনে রেখে ২০১৮ সালের এপ্রিলে প্রধামন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ৩৩৩-এর উদ্বোধন করেন। এই সেবার সঙ্গে আজ থেকে যুক্ত হলো ডিএনসিসি। মেয়র আতিকুল ইসলামের বারবার এর জন্য আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। তার ইচ্ছায় সিটি কর্পোরেশনের সেবাগুলো ডিজিটাল হলো। ইতোমধ্যে আমরা আমাদের এক সেবা প্লাটফর্মের মাধ্যমে সরকারী প্রায় ১৬৪টি সেবা ডিজিটাল পদ্ধতিতে দিচ্ছি। তিনি বলেন, ডিএনসিসির কোন নাগরিক যদি নিরক্ষরও হয় তিনিও সেবা পাবেন ৩৩৩-এ। তিনি ফোন দিয়ে সেবা চাইলে সিটি কর্পোরেশন থেকে লোক তার কাছে গিয়ে তাকে সেবা দেবেন, ফরম পূরণ করে দেবেন। এই শহরের দেড় কোটি মানুষকে ডিজিটাল মাধ্যমে বিশ্বের আধুনিক সেবা দিতে চাই। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের চালু হওয়া অন্য হেল্পলাইনগুলোর সঙ্গে ৩৩৩ কে যুক্ত করা হবে। এ লক্ষ্যে আগামী বৃহস্পতিবার একটি চুক্তি স্বাক্ষর করা হবে। যার মাধ্যমে অন্য সংস্থাগুলোর সেবাও এক জায়গা থেকেই নাগরিকদের দেয়া সম্ভব হবে। তিনি বলেন, ১৯৯১ সালে একটি প্রলয়ঙ্করি ঝড়ের কবলে পড়ে বাংলাদেশের প্রায় দেড় লাখ লোক মারা যায়। সে সময় আধুনিক কোন সেবা প্রদান করতে পারেনি তৎকালীন সরকার। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে শুধু আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে এর ক্ষয়ক্ষতি সর্বনিম্ন পর্যায়ে আনতে সক্ষম হয়েছে সরকার। শুধু ডিজিটাল সেন্টারগুলোতে তথ্য চেয়ে ২৮ হাজার লোক ফেন করে ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত খবর নিয়েছেন। যার অন্যতম কারণ ডিজিটাল সেবা চালু করার। যার প্রধান উদ্যোক্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। যিনি বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম কারিগর তথা মূল আর্কিটেক্ট। জনাব পলক বলেন, সরকার সবকিছুতেই ডিজিটাল পদ্ধতিতে কম সময়ে সর্বোচ্চ সেবা দিতেই ৩৩৩-এর সঙ্গে ডিএনসিসিকে যুক্ত করেছে। এর ফলে খুব সহজেই নাগরিকগণ যে কোন প্রকার অভিযোগ ও সেবা পেতে পারবেন। ফলে এর মাধ্যমে দেশের প্রথম কোন সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ ৩৩৩-এর সঙ্গে যুক্ত হলো। যার পথ ধরে অন্য সকল সিটি কর্পোরেশনই সেবার দিকে হাত বাড়াবে। এজন্য তিনি উত্তর সিটির মেয়রকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান। জুনায়েদ আহমেদ বলেন, আমরা নাগরিক জীবন সহজ করতে ডিজিটালাইজড করছি। এরই অংশ হিসেবে একবারের বেশি তথ্য নয় পদ্ধতি চালু করছি। এর ফলে যে কোন নাগরিক সরকারের একটি স্থানে তার তথ্য প্রদান করলে এরপর থেকে আর কোন স্থানেই যে কোন প্রকার সেবা প্রাপ্তিতে কোন প্রকার তথ্য দিতে হবে না। অর্থাৎ নট মোর দেন ওয়ানস পদ্ধতি। এটি চালু হলে নাগরিকদের বারবার তথ্য প্রদান বা ফরম পূরণ করতে হবে না। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজ উত্তর সিটিতে প্রায় দেড় কোটি নাগরিক বসবাস করেন। এমনকি বিশ্বের ১৫২ দেশেও দেড় কোটি রকম নাগরিক বসবাস করে। ফলে ডিএনসিসি যে কোন দেশের চেয়েও বেশি নাগরিককে সেবা দিতে পারবে ৩৩৩-এর মাধ্যমে। যা একটি চ্যালেঞ্জ বটে। এজন্য এ টু আই প্রকল্প সর্বোচ্চ সহায়তা করবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আশা করি আগামী ২০২১ সালের মধ্যেই ডিজিটাল পদ্ধতিতে ২৮০০ প্রকার নাগরিক সেবা প্রদান করতে পারব। এর মধ্যে ৬০০ প্রকার সেবা চালু করা হয়েছে। বাতি সেবা প্রদানের প্রস্তুতি চলছে।
×