তাবাখখারুলের স্বীকারোক্তি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম নামে আরেক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। রবিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী রেকর্ড করার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এ নিয়ে এই মামলায় সাতজন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিলেন। অপর ছয় আসামি হচ্ছেন, অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ, মেহেদী হাসান ওরফে রবিন, মেফতাহুল ইসলাম, মুজাহিদুল ও মনিরুজ্জামান মনীর। আদালত ও পুলিশ সূত্র বলছে, আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা আদালতের কাছে স্বীকার করেছেন এই আসামিরা। তাদের জবানবন্দীতে উঠে এসেছে কীভাবে আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামি অমিত সাহা ও সামছুল আরেফিনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। আদালতকে পুলিশ প্রতিবেদন দিয়ে বলছে, বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে আসামিরা। বুয়েটের শেরেবাংলা হলের যে ২০১১ নম্বর কক্ষে ফেলে নির্যাতন করা হয়। সেই কক্ষটি অমিত সাহার। আবরার ফাহাদ বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন। তিনি থাকতেন বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলায় ১০১১ নম্বর কক্ষে। ৬ অক্টোবর রাত আটটার দিকে তাকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় মামলা করেন।