ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাড়ছে সামুদ্রিক শৈবাল চাষ

প্রকাশিত: ২১:৩০, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

বাড়ছে সামুদ্রিক শৈবাল চাষ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সুপারফুড সামুদ্রিক শৈবাল। একসময় গভীর সমুদ্র থেকে জোয়ারে ভেসে আসা এই শৈবালের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় শুরু হয়েছে চাষাবাদ। বিশ্বে প্রতি বছর এই সামুদ্রিক সবজির উৎপাদন হয় প্রায় এক কোটি টন। তাই দেশীয় চাহিদা পুরণের পাশাপাশি রপ্তানি করা গেলে এটি হতে পারে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেরও একটি বড় মাধ্যম। তবে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় দেশের একমাত্র কোরাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনকে শৈবাল চাষের বাইরে রাখার আহবান সমুদ্র বিজ্ঞানীদের। এভাবেই সমুদ্রের নোনাপানির নিচে রশিতে দুলছে কক্সবাজারের চাষীদের স্বপ্ন। কেননা এসব রশিতেই চাষ হচ্ছে সুপারফুড সামুদ্রিক শৈবাল। দেশের পাহাড়ী অঞ্চলের মানুষের কাছে জনপ্রিয় সামুদ্রিক শৈবাল। একসময় গভীর সমুদ্র থেকে জোয়ারে সৈকতে ভেসে আসা শৈবালে নির্ভর থাকলেও এখন বেড়েছে চাহিদা। তাই যোগান দিতে শুরু হয়েছে চাষাবাদ। কোলেষ্টেরল মুক্ত ওষুধি এই সবজিতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমানে ভিটামিন এ, বি, ও সি। আছে খনিজ ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়োডিন, আয়রন, পটাসিয়াম আর আমিষ। বিশ্বে প্রতিবছর এই সামুদ্রিক সবজির উৎপাদন ১০ মিলিয়ন টন। যার বাজার মূল্য ১২ বিলিয়ন ডলার। দেশীয় চাহিদা পুরণের পাশাপাশি রপ্তানী করতে পারলে এই বৈদেশিক মুদ্রার অংশ হতে পারবে বাংলাদেশও। জাপান, কোরিয়া, চীনসহ অনেক দেশে শৈবালের বাণিজ্যিক উৎপাদন হলেও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় চাষের আওতায় রাখা হয়নি কোরাল দ্বীপগুলোকে। তাই দেশের একমাত্র কোরাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনকে শৈবাল চাষের বাইরে রাখার আহবান সমুদ্র বিজ্ঞানীদের।
×