বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, তরুণ প্রজন্মকে নতুন নতুন উদ্ভাবনী কাজে উৎসাহিত করতে হবে। সমাজের সকল সেক্টরে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। পরিবর্তন বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তরুণদের জন্য প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা নিশ্চিত করণ, দারিদ্র্যতা ও বৈষম্য দূর করে সকলের জন্য সমতা নির্ভর সমাজ গঠন করতে হবে। তাহলে আগামী শতাব্দী এশিয়ানদের।
শুক্রবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে এক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়েজন করা হয় ‘দক্ষিণ এশীয় সমাজবিজ্ঞান’ বিষয়ক সম্মেলন। দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনে দক্ষিন এশিয়ার প্রেক্ষাপটে সমাজবিজ্ঞানের অবস্থান, ভূমিকা ও গুরুত্ব তুলে ধরা হবে।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নেহাল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ। সম্মেলনে ‘কলোনিয়ালিজম, কোল্ড ওয়ার অ্যান্ড গেøাবালাইজেশন : সিচুয়েটিং সোসিওলজি ইন সাউথ এশিয়া’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সমাজবিজ্ঞানী পদ্মভূষণ ইন্টারন্যাশনাল সোসিওলজিক্যাল এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক টি. কে উমেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক কে এ এম সা’দ উদ্দীন, অধ্যাপক অনুপম সেন, অধ্যাপক ড. মনিরুল ইসলাম, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম প্রমুখ।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বিগত ৬০ বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আজকের এই সম্মেলন মাইলফলক হয়ে থাকবে। এসময় তিনি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম অধ্যাপক একে নাজমুল করিমকে স্মরণ করেন।
অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ বলেন, ২০২১ সালে গৌরবময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১০০ বছর পূর্ণ করবে। সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ৬০ বছর পূর্তি সেই গৌরবেরই একটি অংশ। এসময় মুক্তিযুদ্ধে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী যারা শহীদ হয়েছেন তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, সম্মেলনের আটটি সেশনে মোট ৩২ টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে। দেশ-বিদেশের সমাজবিজ্ঞানের গবেষকরা এই সেশনগুলোতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন।