ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

হয়ত দু’জনই শ্রাবন্তীর নায়ক

প্রকাশিত: ০৬:৫৪, ১৮ জানুয়ারি ২০১৮

হয়ত দু’জনই শ্রাবন্তীর নায়ক

আনন্দকণ্ঠ : শূটিং স্পট নিয়ে কেন এত লুকোচুরি? মোস্তফা কামাল রাজ : শূটিং স্পট আগে থেকেই জানাতে চাই না। গোপনেই সব করতে চাই। আনন্দকণ্ঠ : কেন? প্রচারণার নতুন কৌশল নাকি কোন কারণে মিডিয়াকে এড়িয়ে যাওয়া? মোস্তফা কামাল রাজ : ‘না না মিডিয়া এড়িয়ে যাওয়া না। আসলে আমি চাইছি না আগে থেকেই সিনেমাটির কোন কিছু দর্শকদের কাছে পৌঁছাক। তার মানে এই না যে, একদমই মিডিয়াকে ডাকব না, তা না। এক বা দু’দিন আমরা শূটিং কভারেজের ব্যবস্থা রাখব।’ দর্শকদের যাতে আগ্রহ নষ্ট না হয়, তাই এ ব্যবস্থা। কারণ আগে থেকে শূটিংয়ের ছবি প্রকাশিত হলে দর্শকদের আগ্রহ কিছুটা হলেও নষ্ট হয়ে যায়। আনন্দকণ্ঠ : ‘যদি একদিন’ ছবির গল্পটি কেমন? মোস্তফা কামাল রাজ : সত্যি বলতে আমার নতুন ছবির সবকিছু একটু আলাদাভাবে ভেবেছি। গল্পটা পরিবার কেন্দ্রিক। আপাতত এর বেশি বলব না। ‘যদি একদিন’-তাহসান খান, ওপার বাংলার শ্রাবন্তী, ‘ঢাকা এ্যাটাক’-এর তাসকিন রহমান। আরও আছেন সাবেরী আলম, আফরিন। তাদের পেয়ে আমি আনন্দিত। তাহসান ভাইকে নিয়েছি ফয়সাল চরিত্রের জন্য। গল্পটা লেখার সময় যা ভেবেছি তাতে তাকেই আমার যুতসই মনে হয়েছে। তিনি আমার ছবিতে কাজ করতে রাজি হয়েছেন, এজন্য তাকে ধন্যবাদ। আশা করছি, ভাল কিছু হবে। আনন্দকণ্ঠ : ছবির গুরুত্বপূর্ণ দিক কি? মোস্তফা কামাল রাজ : ‘যদি একদিন’ ছবির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো গান। একেকটি গান একেক রকমের, একেক রঙের। কোন গান শ্রোতাদের মনে করিয়ে দিতে পারে বন্ধুর স্মৃতি। আবার কোন গান হৃদয়ে কষ্ট ফেরি করে বেড়ানো মানুষজনকে জড়িয়ে ধরবে। কোন গান ভালবাসায় ভাসাবে। হয়ত হাসাবে। আমার ‘প্রজাপতি’, ‘ছায়া-ছবি’, ‘তারকাঁটা’ ও ‘স¤্রাট’ ছবির প্রায় সব গান শ্রোতারা আপন করে নিয়েছেন। আশা করি, ‘যদি একদিন’-এর গানগুলো সবার মন ছুঁয়ে যাবে। আমার ওপর আস্থা রাখার জন্য বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া লিমিটেডের চ্যানেল আরটিভিকে ধন্যবাদ। তারা ছবিটি প্রযোজনা করছেন। আনন্দকণ্ঠ : কেন বিদেশী নায়িকা, দেশী নয় কেন? মোস্তফা কামাল রাজ : জয়া আহসান ও শাকিব খান কলকাতায় কাজ করছেন আমাদের দেশ থেকে গিয়ে। সেক্ষেত্রে শ্রাবন্তীকে নেয়ার মাঝে সমস্যা দেখছি না। তাছাড়া শ্রাবন্তী বরিশালের মেয়ে। তার পূর্বপুরুষদের বাড়ি বরিশালে। এর আগে দুই বাংলার যৌথ প্রযোজনায় ‘শিকারী’ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেন শ্রাবন্তী। এবার শুধুই বাংলাদেশের প্রযোজিত ছবিতে কাজ করতে আসছেন তিনি। ‘যদি একদিন’-এ আমরা তাকে দেখব অরিত্রী চরিত্রে। অরিত্রী হিসেবে যেমন অভিনেত্রী দরকার ছিল শ্রাবন্তীর মধ্যে সব গুণই আছে। অনেক ভেবে চিত্রনাট্য অনুযায়ী তাকে নির্বাচন করেছি। ছবিটা পর্দায় এলেই বোঝা যাবে শ্রাবন্তীই এ চরিত্রের জন্য মানানসই। সবচেয়ে বড় কথা, শিল্পীদের কোন সীমান্ত থাকে না। নির্মাতা হিসেবে যদি কাউকে আমার পারফেক্ট লাগে, সে কোন দেশের তা ব্যাপার না। তাহসান ভাই আর তাসকিন রহমানের সঙ্গে শ্রাবন্তীর কেমিস্ট্রি দর্শকদের পছন্দ হবে আশা করছি। ‘যদি একদিন’ মুক্তি পাবে ২০১৮ সালেই। আনন্দকণ্ঠ : ছবিতে রাইসার ভূমিকা কী? মোস্তফা কামাল রাজ : এই প্রশ্নের জবাব এখন দেব না। শুধু বলব আমার ছবির সবচেয়ে ইমপোর্টেন্ট ক্যারেক্টার রাইসা। রাইসা অনেক মেধাবী একটি শিশু। তাকে ঘিরেই আবর্তিত ছবির গল্প। তাকে অনুশীলন করে প্রস্তুত করেছি। তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া আফরিন শিখা রাইসা। মায়াবী চেহারার রাইসাই ‘যদি একদিন’ ছবির প্রাণ। রাইসার বয়স ৯। এর আগেও টুকটাক কাজ করলেও এটাই ওর সবচেয়ে বড় কাজ। রাইসার চরিত্রটির নাম রূপকথা। এই চরিত্রে রাইসাকে বাছাই করেছি ৪৭ জনের মধ্য থেকে। সেটা ছিল বড় একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক বাছাই প্রক্রিয়া। আনন্দকণ্ঠ : কে পাবেন শ্রাবন্তীকে? মোস্তফা কামাল রাজ : ‘হয়ত দুজনই শ্রাবন্তীর নায়ক। আবার হয়ত না।’
×