ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

অচিরেই ৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ ॥ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী

প্রকাশিত: ০১:১৫, ১৪ জানুয়ারি ২০১৮

অচিরেই ৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ ॥ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ বিদ্যালয়হীন গ্রামে যে ১৫শ’ স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, সেসব স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে অচিরেই এসব স্কুলের জন্য ৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে সংসদে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার। রবিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির এক সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। মন্ত্রী জানান, আদালতে মামলা থাকার কারণে আমরা ওই ১৫শ’ স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। অন্য স্কুল থেকে শিক্ষক নিয়ে এসব স্কুল চালানো হচ্ছে। তবে অচিরেই প্রতিটি স্কুলে ৪ জন করে অর্থাৎ ১৫শ’ স্কুলে ৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারবো। এরইমধ্যে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বিদ্যালয়হীন গ্রাম আর এখন নেই। মাত্র ৪টি বাকি আছে। এছাড়া চর ও হাওর অঞ্চলে কিছু গ্রাম আছে সেখানে বিদ্যালয় নেই। এজন্য আরো এক হাজার স্কুল করার চাহিদা দিয়ে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় চর ও হাওর অঞ্চলে বিদ্যালয় করা হবে। মুক্তিযুদ্ধকালীন সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, যেসব স্কুলে ক্লাস রুমের সঙ্কট রয়েছে সেগুলো চাহিদার ভিত্তিতে পূরণ করা হবে। এরজন্য ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৫ হাজার ক্লাশ রুম করা হবে। যেখানে ছাত্র-ছাত্রী বেশি যেসব স্কুলে এই ক্লাশরুম করা হবে। ২১ হাজার প্রাথমিক স্কুলে প্রধান শিক্ষকের ঘাটতি ॥ সরকার দলীয় সংসদ সদস্য পংকজ দেবনাথের সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী জানান, বর্তমানে ২১ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে। শীঘ্রই এসব স্কুলে সহকারি শিক্ষকদের চলতি দায়িত্ব দেওয়া হবে। তিনি জানান, প্রধান শিক্ষকের পদটি দ্বিতীয় শ্রেণী হওয়ার কারণে এটা এখন পিএসসির মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হয়। তিনি এ প্রসঙ্গে আরও জানান, ২১ হাজার স্কুলে প্রধান শিক্ষকের ঘাটতি থাকলেও তা পূরণ ৬৫ ভাগ পদোন্নতি দিতে পারি। কিনউত সেই পদোন্নতির ক্ষেত্রে পিএসসির অনুমোদন লাগে। আমরা চাহিদা পাঠিয়েছি, কিন্তু পিএসসিতে চাহিদা পাঠানোর পর একটা মামলা হয়েছে। নতুন জাতীয়করণকৃত স্কুলের প্রধান শিক্ষক যাদের কেউ কেউ হয়তো হতে পারবেন না। এরকম বিবিধ নিয়মাবলী রয়েছে। ওই সব শিক্ষকরা মামলা করেছে যেন তাদেরসহ পদোন্নতি দেওয়া হয়। একারণে আমরা পিছিয়ে আছি। তবে শীঘ্রই সারাদেশে যেসব স্কুলে প্রধান শিক্ষক নেই, সেগুলোতে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হবে।
×