ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিনিময় অযোগ্য নোট পাওয়া গেলেই জরিমানা বাধ্যতামূলক

প্রকাশিত: ০২:৩০, ১১ জানুয়ারি ২০১৮

বিনিময় অযোগ্য নোট পাওয়া গেলেই জরিমানা বাধ্যতামূলক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ যথাযথভাবে নোট বাছাই (সর্টিং) করে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়ার নির্দেশনা মানছে না দেশের বেশিরভাগ বাণিজ্যিক ব্যাংক। নতুন, পুরনো, ছেঁড়া, ফাটা সব নোটের ক্ষেত্রে হযবরল পাকিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা করছে ব্যাংকগুলো। এতে শ্রম ও সময়ের অপচয় ছাড়াও সরাসরি নোট ধ্বংসকরণের উদ্দেশ্যও ব্যহত হচ্ছে। এমন অবস্থায় সরাসরি নোট ধ্বংসকরণ কার্যক্রম সুচারুভাবে সম্পাদনের লক্ষে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে আরো কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জমাকৃত নোট যাচাই-বাছাইকালে বিনিময় অযোগ্য প্রমাণিত হলেই ব্যাংকগুলোকে বাধ্যতামূলক নির্দিস্ট অংকের জরিমানা গুণতে হবে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর হিসাব হতে এই অর্থ কেটে (বিকলন) নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কারেন্সি ম্যানেজম্যান্ট বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৭ ডিসেম্বর এক সার্কুলারে ব্যাংকগুলোকে তিনভাগে বিভক্ত করে অর্থাৎ পুনঃপ্রচলযোগ্য, অপ্রচলনযোগ্য ও মিউটিলেটেড নোট আলাদাভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। একই সাথে পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোটের সাথে অপ্রচলনযোগ্য, মিউটিলেটেড ও দাবীযোগ্য নোট; অপ্রচলনযোগ্য নোটে সাথে পুঃপ্রচলনযোগ্য, মিউটিলেটেড ও দাবীযোগ্য নোট এবং মিউটিলেটেড নোটের সাথে পুনঃপ্রচলনযোগ্য, অপ্রচলনযোগ্য ও দাবীযোগ্য নোট যেন মিশ্রিত না থাকে সেটিও নিশ্চিত করতে বলা হয়। এ নির্দেশনা না মানলে সংশ্লিস্ট ব্যাংকে নেগেটিভ পয়েন্টের ওপর ভিত্তি করে অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হবে বলেও নির্দেশনায় বলা হয়। কিন্তু ঐ নির্দেশনা যথাযথভাবে পরিপালিত না হওয়ায় বিনিময় অযোগ্য নোট সরাসরি ধ্বংসকরণ প্রক্রিয়া ব্যহত হচ্ছে।
×