ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারি সিকিউরিটিজের বাই-ব্যাক নীতিমালা জারি

প্রকাশিত: ০২:১৭, ১০ জানুয়ারি ২০১৮

সরকারি সিকিউরিটিজের বাই-ব্যাক নীতিমালা জারি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ অলস অর্থ ফেলে না রেখে তা অগ্রিম ঋণ শোধে ব্যবহার করতে চায় সরকার। এজন্য সরকারি সিকিউরিটিজের (ট্রেজারি বিল ও বন্ড) বাই-ব্যাক পদ্ধতি চালু করেছে সরকার। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেট ম্যানেজম্যান্ট বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা জারি করা হয়েছে। মূলত সরকারি সিকিউরিটিজ ধারণ করা প্রাইমারি ডিলার (পিডি) ব্যাংকগুলোকে এ কার্যক্রমে আগ্রহী করতে এ নীতিমালা করা হয়েছে। সরকারের পক্ষে এই বাই-ব্যাক কার্যক্রম পরিচালনা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। নীতিমালা অনুযায়ী, এখন থেকে বিক্রি হওয়া ট্রেজারি বিল ও বন্ড পুনরায় কিনে নেবে সরকার। এছাড়া ক্রেতারা ট্রেজারি বিল ও বন্ড মেয়াদ পূর্তির আগেও সরকারের কাছে বিক্রি করতে পারবে। বর্তমানে ক্রেতাকে বন্ডের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তা ধারণ করতে হয়। ট্রেজারি বন্ডের সংখ্যা কমানো এবং এগুলোর মেয়াদ অবসায়নের বিষয়টি সুষম করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের নির্ধারণ করে দেওয়া ক্যালেন্ডার অনুযায়ী রিভার্জ অকশন ও ওভার দ্য কাউন্টারের মাধ্যমে ট্রেজারি বিল ও বন্ড বাই-ব্যাক কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এক লাখ টাকা বা এক লাখ টাকার গুণিতক অংকের বিল ও বন্ড বাই-ব্যাক করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কারেন্ট একাউন্ট আছে এমন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাই-ব্যাক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে। বাংলাদেশে বসবাসরত ও অনিবাসী ব্যক্তি এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যাদের কারেন্ট একাউন্ট নেই, তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কারেন্ট একাউন্ট রয়েছে এমন কোনো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাই-ব্যাক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন।
×