ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

ধান ক্ষেতে ইটভাটি ॥ হুমকির মুখে ফসলি জমি

প্রকাশিত: ২২:২১, ৮ ডিসেম্বর ২০১৭

ধান ক্ষেতে ইটভাটি ॥ হুমকির মুখে ফসলি জমি

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা ॥ আইন ও নিয়মনীতি উপেক্ষা করে বরগুনার আমতলী-তালতলী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ধান ক্ষেতে ইটভাটি গড়ে উঠেছে। স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সাথে আতাত করেই ইটভাটির মালিকরা অবৈধভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ইটভাটির মালিকরা নিয়মনীতির কোন তোয়াক্কা করছে না। এতে হুমকির মুখে পরেছে ফসলি জমি। জানাগেছে, কৃষি জমি ও পরিবেশ রক্ষায় ফসলি জমিতে ইটভাটি না গড়ার আইন থাকলেও অবৈধ ইটভাটি মালিকরা তা মানছে না। বরগুনার আমতলী ও তালতলী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ফসলি জমিতে পরিবেশ অধিদপ্তর, কৃষি অফিসের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স ছাড়া ২৫ টি ঝিকঝ্যাঁক, ড্রাম চিমনি (ব্যারেল) ও পাজা ইট পোড়ানোর কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। স্বল্প উচ্চতার ড্রাম চিমনি ১২০ ফুট উচ্চতার স্থায়ী চিমনির ইটভাটি স্থাপন করা হয়েছে। কৃষি জমিতে ইটভাটি নির্মাণ করায় ফসল নষ্ট হচ্ছে। ইট প্রস্তুত ও ভাটি স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর ৮ ধারা অনুযায়ী কৃষি জমি, আবাসিক এলাকায় ভাটি স্থাপন দন্ডনীয় অপরাধ। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক নির্মিত উপজেলা, ইউনিয়ন বা গ্রামীণ সড়ক থেকে কমপক্ষে আধা কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে ইটভাটি স্থাপন করাও নিষিদ্ধ। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৮-এর উপধারা (১)-এর বিধান লঙ্ঘন করে নিষিদ্ধ এলাকায় ইটভাটা স্থাপন করেন, তাহলে তিনি অনধিক ৫ বছরের কারাদন্ড বা অনধিক ৫ লাখ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন। পরিবেশ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কর্যালয়ের সহকারী পরিচালক আরেফিন বাদল বলেন আমতলীতে অনেক ইটভাটির পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন ছাড়পত্র নেই। পরিবেশ অধিদপ্তরের নীতিমালা লঙ্ঘন করে কেউ ইটভাটি নির্মাণ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য এ সপ্তাহে অভিযান পরিচালনা করা হবে। আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সরোয়ার হোসেন বলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ করে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×