ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

শিল্পকলায় উত্তরায়ণের গীতি আলেখ্য ‘আমাদের রবীন্দ্রনাথ’

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ১৩ নভেম্বর ২০১৭

শিল্পকলায় উত্তরায়ণের গীতি আলেখ্য ‘আমাদের রবীন্দ্রনাথ’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মঞ্চের লাল আলোর আভার মধ্যে ধীরে ধীরে নেমে আসছে বাংলাদেশের পতাকা। শিল্পী লিলি ইসলাম গাইছেন রবীন্দ্রনাথের ‘সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে’ গানটি। মিলনায়তনজুড়ে বিরাজ করছে রবীন্দ্র আবোহ। সবমিলিয়ে রবীন্দ্রসঙ্গীত চর্চার অন্যতম সংগঠন উত্তরায়ণের সপ্তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ‘আমাদের রবীন্দ্রনাথ’ শিরোনামের গীতি আলেখ্যানুষ্ঠান ছিল চোখে পড়ার মতো। রাজধানীর সেগুনবাগিচার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে শনিবার সন্ধ্যায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। অনুষ্ঠানের সূচনালগ্নে সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, উত্তরায়ণের এ অনুষ্ঠানের শিরোনাম যথার্থ। কারণ রবীন্দ্রনাথ তো আমাদেরই বটে। আমরা বহুদিন যাবত রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে হাঁটছি। তিনি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অনতম সেনাপতি। মুক্তিযুদ্ধে আমরা রবীন্দ্রনাথের হাতটাকে শক্ত করে ধরেছিলাম। তিনি চিরকাল আমাদের সঙ্গে আছেন থাকবেন। সুখে-দুখে-আনন্দে সব সময় রবীন্দ্রনাথ আমাদের সঙ্গে আছেন। এর আগে আবৃত্তি শিল্পী ডালিয়া আহমেদের কণ্ঠে ধ্বনিত হয় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে লেখা কবি নির্মলেন্দু গুনের একটি কবিতা। বক্তব্যের পরে সম্মেলক কণ্ঠে পরিবেশিত হয় পর পর তিনটি রবীন্দ্রসঙ্গীত। এগুলো হচ্ছে ‘আনন্দেরি সাগর হতে’, ‘ ভেঙ্গেছ দুয়ার এসছ জ্যোতির্ময়’ ও ‘আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে’। পরে ‘বিশ্ব সঙ্গে যোগে’, ও ‘ও আমার দেশের মাটি’, গান দুটি পরিবেশন করেন যথাক্রমে শিল্পী ইশরাত জাহান বীথি, নাহিদা পারভীন ও রতন মজুমদার। এরপর একে একে পরিবেশিত হয় রবীন্দ্রনাথের গান-আজ ধানের ক্ষেতে, খাঁচার পাখি ছিল, পূর্বাচলের পানে তাকাই, বধূ মিছে রাগ করও না, আমরা চাষ করি আনন্দে, বাংলার মাটি বাংলার জল, তোমার হাতের রাখি, হিংসায় উন্মত্ত পৃত্থী, বহে নিরন্তর অনন্ত, ব্যর্থ প্রাণের আবর্জনা, উড়িয়ে ধ্বজা অভ্রভেদী, আমার মুক্তি আলোয় আলোয়, আমি ভয় করব না, মরণ সাগর পারে, সন্ত্রাসের বিহ্ববলতা, এই কথাটা ধরে রাখিস, তোমার এই খেলা ঘরে ও আমি কোথায় পাব তারে। সবশেষে পরিবেশিত হয় জাতীয় সঙ্গীত।অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও পরিচালনায় লিলি ইসলাম। পান্ডুলিপি সোহেল আনোয়ার, সহ পরিচালনা হিমাদ্রী শেখর। যন্ত্রানুসঙ্গে ছিলেন বিপ্লব মন্ডল, সুব্রত মুখার্জী, সন্দীপন গাঙ্গুলী, সৌম্যজ্যোতি ঘোষ, প্রসেনজিৎ ঘোষ ও নাজিমুদ্দিন রাজু।
×