ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

শ্রীনগরে সরকারী রাস্তার কারণে জনদুর্ভোগ

প্রকাশিত: ২৩:৫২, ৫ নভেম্বর ২০১৭

শ্রীনগরে সরকারী রাস্তার কারণে জনদুর্ভোগ

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে সরকারী প্রকল্প পাওয়ার আশায় ব্যক্তি উদ্যোগে প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তার কাজে হাত দিয়ে ২ বছর ধরে তা ফেলে রাখা হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এম.কে প্রাঃ লিঃ এর কর্ণধার পিকে বাড়ৈ এর সেই সেচ্ছাচারিতার মাসুল দিচ্ছে দশটি গ্রামের প্রায় বিশ হাজার মানুষ। সম্প্রতি প্রকল্পের মাধ্যমে রাস্তটি নির্মানের জন্য উপজেলা প্রকৌশলী অফিস থেকে তা পরিমাপ করতে গেলে পিকে বাড়ৈ তাতে বাধা দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি প্রকৌশলীকে জানান, কাজটি তিনিই বাস্তবায়ন করবেন। তবে পিকে বাড়ৈ এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দুই বছর আগে প্রকল্প পাওয়ার আশায় কাজে হাত দিলেও শেষ পর্যন্ত প্রকল্প না পাওয়ায় কাজটি অসম্পূর্ণ রয়েছে। প্রকল্প পেলে কাজটি শেষ করা হবে। অথচ ২ বছর আগে ২১ জনের নাম উল্লেখ করে ফেসবুক ষ্ট্যাটাসে তিনি দাবী করেছিলেন রাস্তাটি তাদের ব্যক্তি উদ্যোগে হচ্ছে। সরজমিনে উপজেলার বিবন্দী-কাজীপাড়া রাস্তায় গিয়ে দেখা যায়, রাস্তাটির বেহালদশা। ফলে ২ বছর ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে কুকুটিয়া ইউনিয়নের বিবন্দী, বনগাঁও, পাচঁলদিয়া, রানা, সিন্দুরদী, দত্তগাঁও, মুসলিমপাড়া, জুরাসারসহ ১০টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ। বিবন্দী-পাঁচলদিয়া-কাজীপাড়া নামের ওই রাস্তাটিতে গত ২০১৬ সালের মে-মাসের দিকে নিজের স্বেচ্ছাচারিতা প্রতিষ্ঠা করার জন্য পিকে বাড়ৈ ১০ ফুট প্রশস্থ ওই রাস্তাটিতে কাজে হাত দিয়ে তা ৩ ফুট উচু ও মাত্র ২ ফুট প্রশস্থ করে রেখে দেন। এতে ওই এলাকার একমাত্র রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পরে। খারাপ রাস্তার কারণে এলাকার কৃষিকাজের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। পিকে বাড়ৈ যে ২১ জনের নামের তালিকা ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন তাদের মধ্যে লৌহজং কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ শহিদুর রহমান সিকদার, ব্যবসায়ী আলী আহমেদ, এসএম নেকবর আলী শেখ, মোঃ শহিদুল ইসলাম, শ্যামল চন্দ্র বাড়ৈসহ অনেকেই জানান, আমাদের ব্যক্তিগত টাকায় রাস্তাটির উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে বলে যে প্রচার করা হয়েছে তা আমাদের অজান্তে। তাছাড়া আমরা রাস্তার উন্নয়নে কোন টাকা পয়সা দেইনি। পিকে বাড়ৈ তার ব্যক্তিসার্থে আমাদের নাম ব্যবহার করেছে। কুকুটিয়া ইউপি সদস্য আব্দুল কাইয়ূম মিন্টু জানান, পিকে বাড়ৈ এতোদিন ব্যক্তি উদ্যোগের কথা বললেও এখন সরকারি ভাবে টেন্ডার পাওয়ার দাবি করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। যেভাবেই হোক তিনি এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘভের দাবী জানান। এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান জানান, আমরা সরজমিনে গিয়ে রাস্তাটির প্রস্তাবনা তৈরির জন্য পরিমাপ করার সময় পিকে বাড়ৈ মোবাইল ফোনে জানান রাস্তাটির প্রস্তাবনা দেওয়া আছে। নতুন করে প্রস্তাবনা তৈরির প্রয়োজন নেই। উপজেলা এলজিইডির মাধ্যমে কাজটি সমাধান করার চেষ্টা অব্যাহত আছে।
×