কূটনৈতিক রিপোর্টার ।। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট মোকাবেলায় মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য তহবিল সংগ্রহের লক্ষে গত ২৩ অক্টোবর জেনেভাতে মিলিত হয়। এই সংকটের পরিসর বিবেচনা করে সুইজারল্যান্ড তার আর্থিক সহায়তা ৮ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঙ্কে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশের জনগণের দ্বারা প্রদর্শিত সংহতি ও উদারতা সত্ত্বেও রোহিঙ্গাদের জন্য সুরক্ষা, পানি, খাদ্য ও স্যানিটেশনসহ সকল খাতে এখনও ব্যাপক সাহায্যের চাহিদা রয়েছে। ক্রমবর্ধমান এ চাহিদা মোকাবেলায় সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশে মানবিক সহায়তা ৮ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঙ্কে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কোঅপারেশন (এসডিসি)- এর মানবিক সহায়তা বিভাগ ইতিমধ্যে ইউএনএইচসিআর, আইওএম ও ডব্লিউএফপি এবং বিভিন্ন এনজিও পরিচালিত কর্মকাণ্ডে সুইজারল্যান্ডের অঙ্গীকারের প্রায় অর্ধেক পরিমাণ অর্থ ইতিমধ্যে প্রদান করেছে। রোহিঙ্গা আশ্রয়গ্রহণকারীদের জন্য সুইজারল্যান্ড তাবু ও অন্যান্য জরুরী সরঞ্জামাদিও সরবরাহ করেছে। সুইস মানবিক সহায়তা বিভাগের মাধ্যমে নিয়োজিত তিনজন সুইস বিশেষজ্ঞ কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কর্মকাণ্ডে সহায়তা করে যাচ্ছে।
রাখাইন রাজ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে তথ্য বিভিন্ন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, তাতে সেখানকার নিরাপত্তা ও মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে সুইজারল্যান্ড গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সুইজারল্যান্ড রাখাইন রাজ্যে ২৫শে আগস্ট পুলিশ স্টেশনে হামলার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় সরকারী বাহিনী দ্বারা সেখানে সংঘটিত ধ্বংসযজ্ঞেরও নিন্দা জানায়। সুইজারল্যান্ড মায়ানমার সরকারকে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে তার বাধ্যবাধকতাসমূহের প্রতি পুরোপুরি সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানায়। বিশেষতঃ সকল মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধ করা এবং এই ধরনের অপরাধের সাথে জড়িতদের বিচারের সম্মুখীন করার উপর জোর দেয়, যাকিনা উদ্বাস্তুদের প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করবে। অবশেষে, সুইজারল্যান্ড মিয়ানমার সরকারকে রাখাইন রাজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা কমিশনের সুপারিশসমুহ বাস্তবায়নের জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানায়।
