ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জেলা যুবদলের আহবায়ক রিটুকে শারীরিক নির্যাতন ও পরিকল্পিত মামলার প্রতিবাদ

প্রকাশিত: ০০:২০, ২৮ অক্টোবর ২০১৭

জেলা যুবদলের আহবায়ক রিটুকে শারীরিক নির্যাতন ও পরিকল্পিত  মামলার প্রতিবাদ

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা ॥ গাইবান্ধা জেলা যুবদলের আহবায়ক খন্দকার মাহামুদুন নবী রিটুকে অপহরণ, শারীরিক নির্যাতন, হত্যার হুমকি দিয়ে ন্যাক্কারজনক ভিডিও ধারণ ও পরিকল্পিত মামলায় গ্রেফতার করানোর প্রতিবাদে শনিবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। গাইবান্ধা জেলা যুবদল এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোশাররফ হোসেন বাবু লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, যুবদলের ৩৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার জেলা যুবদল দিনব্যাপী নানা কর্মসূচী গ্রহণ করে। এ অবস্থায় জেলা যুবদলের বিভক্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতির আনিসুজ্জামান খান বাবুর ইন্ধনে সদর থানা যুবদলের বহিস্কৃত খন্দকার জামিরুল ইসলাম এনএইচ মডার্ণ হাইস্কুলে সদর থানা যুবদলের ব্যানারে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর পাল্টা কর্মসূচীর ঘোষণা দেয়। এই পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী বন্ধ করতে খন্দকার মাহামুদুন নবী রিটু বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টায় আলোচনার জন্য এনএইচ মডার্ণ হাইস্কুল মাঠে উপস্থিত হলে সেখানে আনিসুজ্জামান খান বাবু, খন্দকার জামিরুল ইসলাম এবং তাদের সহযোগী সন্ত্রাসীরা তাকে গাছের সাথে বেঁধে লোহার রড দিয়ে বেদম মারপিট করে। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি ডাঃ মইনুল হাসান সাদিক ও সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুন নবী টিটুলের নামে মিথ্যা বানোয়াট মন্তব্য করার জন্য বাধ্য করান। আনিসুজ্জামান খান বাবু ও জামিরুল ইসলামের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা মাহামুদুন নবী রিটুর আদায় করার জবানবন্দি ভিডিও করে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করেন। এমনকি তারা তার পকেটে মাদক দ্রব্য ঢুকিয়ে দিয়ে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। সংবাদ সম্মেলনে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আনিসুজ্জামান খান বাবুকে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির পদ হতে অব্যাহতি প্রদান ও তাকে বহিস্কারের জন্য দলীয় চেয়ারপার্সন ও মহাসচিবের প্রতি আবেদন জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুন নবী টিটুল, সাবেক এমপি সাইফুল আলম সাজা, আব্দুল মান্নান সরকার, জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান সেলিম, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মঞ্জুর মোর্শেদ বাবু, আনিছুর রহমান নাদিম, শহর বিএনপির সভাপতি শহিদুজ্জামান শহীদ, তাহেরুল ইসলাম রঞ্জু, জেলা যুবদলের ফরিদুল ইসলাম রুবেল, আব্দুর রাজ্জাক ভুটটু, রাগিব হাসান চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম লিপন, শহর যুবদলের সভাপতি রাগিব হাসান উৎপল, সদর থানা যুবদলের সভাপতি আল আমিন, সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান খান তুষার, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ মোস্তাক, খন্দকার জাহেদুন্নবী তিমু, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি খন্দকার জাকারিয়া আলম জিম, সিনিয়র সহ-সভাপতি রাজিউল আলম রনি, শাহিমুন ইসলাম শহীদ, মাহফুজার রহমান রানা, মাহমুদার রহমান রতন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি জহুরুল ইসলাম জুয়েল, শরিফুল ইসলাম সুজন, খন্দকার আল আমিন প্রমুখ। এদিকে জেলা যুবদলের আহবায়ক খন্দকার মাহামুদুন নবী রিটুকে অপহরণ, শারীরিক নির্যাতন, হত্যার ভীতি প্রদর্শন পূর্বক ন্যাক্কারজনক ভিডিও ধারণ ও পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা মামলা দেয়ার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেছে গাইবান্ধা জেলা বিএনপি, জেলা ছাত্রদল।
×