ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

নেত্রকোনায় পান্নার লাশ ১০দিন পর কবর থেকে উত্তোলন

প্রকাশিত: ২৩:২৯, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

নেত্রকোনায় পান্নার লাশ ১০দিন পর কবর থেকে উত্তোলন

নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা ॥ চাঞ্চল্যকর কিশোরী পান্নার গণধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলাটি এবার নাটকীয় মোড় নিতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে পান্নাকে গণ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে মামলায় অভিযুক্ত দুই আসামী মামুন মিয়া ও ছাত্রলীগ নেতা কৌশিক সরকার অপু। নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুল আলম বৃহস্পতিবার জনকণ্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য আত্মহত্যার ১০দিন পর বৃহস্পতিবার কবর থেকে পান্নার লাশ তুলে তা নেত্রকোনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাইদা পারভীনের উপস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টায় কবর থেকে পান্না আক্তারের লাশ তোলা হয়। এ সময় নেত্রকোনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন, ওসি (তদন্ত) শাহনূর-এ-আলম এবং কয়েকজন সংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী উপস্থিত ছিলেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন জানান, আদালতের নির্দেশে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য পান্না আক্তারের লাশ তোলা হয়। তিনি আরও জানান, মামলার অপর আসামী সুলতানকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। জানা গেছে, সদর উপজেলার ঠাকুরাকোনা গ্রামের কৌশিক সরকার অপু, মামুন মিয়া ও সুলতান (পলাতক) গত ঈদুল আজহার পরদিন (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে একই গ্রামের দরিদ্র রিক্সচালক লালচানের কিশোরী কন্যা পান্না আক্তারকে ডেকে পাশ্ববর্তী মাছের খামারের একটি ঘরে নিয়ে গণ ধর্ষণ করে। পরদিন সকাল ১১টার দিকে বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘরে পান্নার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ প্রথমে ‘শ্রেফ অপমৃত্যু’ মামলা রেকর্ড করে। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী ও জেলার বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও মানবাধিকার সংগঠন আন্দোলন শুরু করলে পুলিশ গত রবিবার রাতে ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে পুনরায় মামলা নেয়। পুলিশ সূত্র বলেছে, ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হতে আলামত সংগ্রহ করে ডিএনএ টেষ্টের জন্য পাঠানো হয়েছে।
×