ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নাইট ক্লাবের রক্ষী এই মহিলা বাউন্সার!

প্রকাশিত: ১৮:৪৪, ২৭ জুলাই ২০১৭

নাইট ক্লাবের রক্ষী এই মহিলা বাউন্সার!

অনলাইন ডেস্ক ॥ ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখতেন সেনাবাহিনী বা পুলিশে চাকরি করবেন। বাবার অনুমতি না মেলায় সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। পরিবারের আপত্তির পেছনে যুক্তি ছিল, বাড়ির মেয়ে সেনা বা পুলিশে চাকরি করবে, সেটা মোটেই ভাল দেখায় না! হ্যাঁ, তিনি মেয়ে বলেই হয়তো নিজের এই স্বপ্ন পূরণের ক্ষেত্রে বাবা বা পরিবারকে পাশে পাননি। কিন্তু তা-ও থেমে থাকেননি তিনি। আজ তিনি দিল্লির একটি নামী ক্লাবের বাউন্সার। ক্লাবে আসা মহিলাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব তাঁর কাঁধে দিয়ে নিশ্চিন্ত ক্লাব কর্তৃপক্ষও। দিল্লির বিখ্যাত এক ক্লাবের জনপ্রিয় এই মহিলা বাউন্সারের নাম মেহেরুন্নিশা শোকাত আলি। বছর ত্রিশের মেহেরুন্নিশা বিগত প্রায় এক দশক ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। বিগত তিন বছর ধরে দশ ঘণ্টার নাইট সিফ্টে ক্লাবে কাজ করেন তিনি। প্রতি রাতে শতাধিক মানুষ আসেন এই ক্লাবে। রয়টার্সকে মেহেরুন্নিশা বলেন, এতজনের নিরাপত্তার দায়িত্ব, বিশেষ করে মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটা মোটেই সহজ কাজ নয়। নাইট ক্লাবের বাউন্সার ছাড়াও চুক্তির ভিত্তিতে প্রিয়ঙ্কা চোপড়া, প্রীতি জিন্টা, বিদ্যা বালনের মতো প্রথম সারির বলিউড অভিনেত্রীদের দেহরক্ষীর কাজও করেছেন মেহের। বাবার আপত্তি সত্বেও মার সহযোগিতায় হাইস্কুলের গণ্ডি পেরোতে পেরেছিলেন মেহেরুন্নিশা। উত্তরপ্রদেশের শাহারানপুরের বাসিন্দা মেহেরুন্নিশার বোন বছর সাতাশের তরন্নুমও এই একই পেশার সঙ্গে যুক্ত। ইদের সময় বা রমজান মাসে মেয়েদের ক্লাবে নাইট সিফ্ট করা নিয়ে আজও অনেকেই প্রশ্ন তোলেন। মেহেরের সাফ জবাব, “আমার বাবা, মা আমাকে বিশ্বাস করেন। আর আমি জানি, আমি কোনও অন্যায় করছি না। ক্লাবের এক নিয়মিত সদস্য নিকিতা লাম্বা বলেন, ক্লাবে এসে যখন একজন মহিলা বাউন্সারকে দেখি, অনেক নিশ্চিন্ত লাগে। আর মেহের বলেন, আমার কাজ মোটেই সহজ কিছু নয়। তবে যা করি তাতে আমি গর্বিত।
×