ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সুযোগের অভাবে সিলেটে বিনিয়োগ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন প্রবাসীরা

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ২৪ এপ্রিল ২০১৭

সুযোগের অভাবে সিলেটে বিনিয়োগ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন প্রবাসীরা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও শুধু সুযোগের অভাবে সিলেটে বিনিয়োগ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন প্রবাসীরা। শতবাধা মাড়িয়ে যে ক’জন বিনিয়োগ করেছেন মাঝপথে থমকে গেছেন তারা। সব ধরনের সুবিধা দেয়া হবে, এমন আশ্বাসে প্রবাসীদের বিনিয়োগে আকৃষ্ট করলেও গ্যাসের অভাবে বন্ধ হয়ে আছে শত কোটি টাকার কারখানা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি করতে না পারলে আগের বিনিয়োগও তুলে নিয়ে যেতে পারেন প্রবাসীরা। সিলেট গোটাটিকর বিসিকে এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ হয় খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফিজা এ্যান্ড কোম্পানিতে। এতে প্রায় শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন একজন প্রবাসী। কিন্তু গ্যাস সংযোগ না দেয়ায় কারখানাটি দীর্ঘদিন ধরে চালু করা যাচ্ছে না। অথচ শিল্প এলাকায় বিনিয়োগ করলে গ্যাস-বিদ্যুতসহ সকল সুযোগ-সুবিধা দেয়ার কথা সরকারের। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ফিজা এ্যান্ড কোম্পানি স্বত্বাধিকারী নজরুল ইসলাম বাবুল জানান, উৎপাদনে না আসায় ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে পথে নামার উপক্রম। আর কারখানাটি চালু হলে এখানে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। তিনি বলেন, ‘কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগের পরও গ্যাস ও অন্যান্য সুযোগের অভাবে শিল্প প্রতিষ্ঠান চালু করা যাবে না এমন শঙ্কায় সিলেটে বিনিয়োগ বন্ধ করে দিয়েছেন প্রবাসীরা। ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বারের নেতারা বলছেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশে রেমিটেন্স আসাও কমে যাবে।’ প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজ মামলায় সব আসামি খালাস অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ১৯৯৬ সালে শেয়ার কেলেঙ্কারির প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজ মামলায় র‌্যাগংস গ্রুপের কর্ণধার এম এ রউফ চৌধুরী ও এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ এইচ চৌধুরী খালাস পেয়েছেন। একই সঙ্গে অভিযোগ থেকে প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজকে দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে। রবিবার শেয়ারবাজার-সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তিতে গঠিত বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক আকবর আলী শেখ এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিচারক বলেন, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের ১৯৬৯ অধ্যাদেশের ২৪ ধারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি এম এ রউফ চৌধুরী, সাঈদ এইচ চৌধুরী ও কোম্পানি প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজকে এ মামলা থেকে দায়মুক্তি দেয়া হলো। আদালতে রায় ঘোষণাকালে আসামি এম এ রউফ চৌধুরী, সাঈদ এইচ চৌধুরী, আসামিপক্ষের আইনজীবী শেখ বাহারুল ইসলাম, আবদুস সালাম খান, আলহাজ মোঃ বোরহান উদ্দিন ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাসুদ রানা খান, আবদুল্লাহ এম রফিকুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর সাঈদ এইচ চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক ও ব্যক্তিগত জীবনে কোন কলঙ্ক ছিল না। আর ভবিষ্যতেও থাকবে না। তবে ১৯৯৬ সালে কিছু দুষ্টু লোকের সঙ্গে পরিচয় হয়।
×