স্টাফ রিপোর্টার ॥ উড়োজাহাজটি পঁয়ত্রিশ হাজার ফুট ওপরে ওঠার পর স্টুয়ার্ট দেখতে পান একজন যাত্রী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। একেবারে মুমূর্ষু অবস্থা। ক্যাপ্টেন বাধ্য হয়েই নেভিগেটর চেঞ্জ করে মুম্বাই এয়ারপোর্টে জরুরী অবতরণের পর ডাকা হয় ডাক্তার। হাসপাতালে নেয়ার পর ঘোষণা করা হয় তিনি আর বেঁচে নেই। এই হতভাগা যাত্রীর নাম আজগর আলী (৬২)। বুধবার ভোরে বিমানের রিয়াদগামী ফ্লাইটে ঘটে এ ঘটনা। এতে ওই ফ্লাইট পাঁচ ঘণ্টা বিলম্বে ঢাকায় ফিরে। আজগরের বাড়ি ব্রাক্ষণবাড়িয়ায়। তিনি রিয়াদ প্রবাসী। মঙ্গলবার রাত দেড়টার ফ্লাইটে (বিজি ০৩৯) তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। ওই ফ্লাইট মুম্বাই অতিক্রমের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার সেবায় একজন স্টুয়ার্ট এগিয়ে এলে তিনি সিট থেকে ঢলে পড়েন। বিষয়টি তাৎক্ষণিক ক্যাপ্টেন সাজ্জাদকে অবগত করা হয়। আইকাও নিয়ম অনুযায়ী ক্যাপ্টেন ফ্লাইটের দিকনির্দেশনা পরিবর্তন করে মুম্বাই এয়ার কন্ট্রোল টাওয়ারে যোগাযোগ করেন এবং এয়ারপোর্টে অবতরণ করেন। এরপর আজগরকে এয়ারপোর্ট হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক উইং কমান্ডার আসাদুজ্জামান বলেন, মেডিক্যাল রিপোর্ট অনুযায়ী স্ট্রোকজনিত কারণে আজগরের মৃত্যু ঘটে। ডাক্তারের ঘোষণার পর ওই ফ্লাইটেই তার মরদেহ তুলে দেয়া হয় এবং সকাল সোয়া আটটায় সেটা রিয়াদ যায়। এটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। ফ্লাইটে কোন যাত্রীর মৃত্যু ঘটলে আইকাও নিয়মানুযায়ী যা করণীয় বিমান তাই করেছে।
এদিকে রিয়াদ বিমানবন্দর থেকে ওই ফ্লাইট নিয়ে ঢাকায় আসার জন্য অপেক্ষায় থাকা সিøপিং ক্যাপ্টেন শেখ নাসির উদ্দিন আহমেদ জনকণ্ঠকে জানান, আজগরের মৃত্যুর কারণে ফ্লাইটটি প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বিলম্বের শিকার হয়। বিকেল তিনটায় ওই ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণের সিডিউল থাকলেও সেটা ফিরে আসে রাত সাড়ে আটটার দিকে।