ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মহাব্যবস্থাাপকের তাৎক্ষণিক চাকরি হারানোয় আতঙ্কে ডিএসইর কর্মকর্তারা

প্রকাশিত: ০০:০০, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫

মহাব্যবস্থাাপকের তাৎক্ষণিক চাকরি হারানোয় আতঙ্কে ডিএসইর কর্মকর্তারা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ মহাব্যবস্থাপকের মতো একজন পদস্থ কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিক চাকরিচ্যুত করায় দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তার মধ্যে চাকরি হারানোর আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। ডিমিউচ্যুয়ালাইজ স্টক একচেঞ্জে এভাবে চাকরি হারানো কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ না দেখিয়েই গত বৃহস্পতিবার রাতে ডিএসইর বোর্ডসভায় মহাব্যবস্থাপক পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেদিনই রাত ৯টায় সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্তের চিঠি ওই কর্মকর্তার বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে মহাব্যবস্থাপক (হিসাব) জীবনচন্দ্র দাসকে তাৎ্ক্ষণিক চাকরিচ্যুত করার ঘটনায় ডিএসইর অন্য কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। তবে ঠিক কি কারণে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, সে বিষয়ে কেউ কিছু বলেননি। বিষয়টিকে রহস্যজনক বলে মনে করছেন ডিএসইর কর্মকর্তারা। ডিএসইর ইতিহাসে এটি নজিরবিহীন ঘটনা। জীবনচন্দ্র দাসও জানেন না ঠিক কি কারণে তাকে চাকরিচ্যুত করা হলো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ডিএসই কর্মকর্তা বণিক বার্তাকে জানিয়েছেন, তার পেশাগত যোগ্যতা ও সততা নিয়ে কখনো কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হয়নি। ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালকও এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি। এদিকে ডিএসইর স্বতন্ত্র পরিচালক মো. রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে ডিএসইর দৈনন্দিন কার্যক্রমে হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে। সূত্র জানায়, বোর্ডসভার দিন ছাড়াও অন্যান্য কার্যদিবসে বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত তথ্য চেয়ে পাঠান তিনি। অনেক সময়েই সশরীরে বিভিন্ন বিভাগে উপস্থিত হয়ে দৈনন্দিন কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করেন রুহুল আমিন। স্বাধীন পরিচালক হিসেবে নিয়োগের পর থেকেই তিনি এমন হস্তক্ষেপ করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার এ আচরণে ডিএসইর কর্মকর্তারাও বিরক্ত। গত মঙ্গলবারও ডিএসইর ফিন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস বিভাগে বিভিন্ন ধরনের চাহিদাপত্র চেয়ে পাঠান রুহুল আমিন। তবে সেদিন ওই বিভাগের সব কর্মকর্তা এর প্রতিবাদ জানান। প্রতিবাদ জানানোর কারণেই জীবনচন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবারের বোর্ডসভায় তাৎক্ষণিক চাকরিচ্যুতির সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানা গেছে। কয়েকদিন আগে স্টক এক্সচেঞ্জের সংস্কার ও পুনর্গঠন বিষয়ে দেয়া প্রস্তাব বোর্ডসভায় গৃহীত না হওয়ায় পদত্যাগ করেন ডিএসইর উপদেষ্টা খালিদ রহিম।
×