ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

অতীশ দীপঙ্করের স্মৃতিধন্য নাটেশ্বর হতে চলেছে বৌদ্ধ তীর্থভূমি

মুন্সীগঞ্জে হাজার বছর আগের দৃষ্টিনন্দন বৌদ্ধস্তূপ আবিষ্কার

প্রকাশিত: ০৬:২২, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৫

মুন্সীগঞ্জে হাজার বছর আগের দৃষ্টিনন্দন বৌদ্ধস্তূপ আবিষ্কার

মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল, নাটেশ্বর, মুন্সীগঞ্জ থেকে ॥ ‘স্তূপ হল ঘর’। একটি হল ঘরে আবার চারটি বিশাল স্তূপ। আর হল ঘরটি ৩ দশমিক ৫ মিটার চওড়া ইটের দেয়াল দিয়ে ঘেরা। এমন একটি নয়, চারদিকে চারটি ‘স্তূপ হল ঘর’। সব মিলিয়ে ১৬ স্তূপ। চওড়া ইটের প্রাচীর থাকলেও প্রতিটির সঙ্গেই কানেকশন রয়েছে। স্তূপগুলোর নির্মাণশৈলী নান্দনিক। একবারেই বতিক্রম, যা দেখলে অতি সহজেই স্থাপত্য দক্ষতার প্রমাণ মেলে। সদ্য আবিষ্কৃত স্থাপত্যটি বাংলাদেশে এই প্রথম, যা স্থাপত্য জগতে ইউনিক। আর এই স্থাপনাগুলো প্রায় এক হাজার বছর আগের তৈরি। এতদিন ছিল মাটিচাপা। মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার নাটেশ্বর দেউলে এবারের খননে বেরিয়ে এসেছে নতুন এ সভ্যতার নিদর্শন। চীন ও বাংলাদেশ যৌথভাবে এই খননকাজ করছে এখানে। গত বছর এরই পূর্ব পাশে আবিষ্কৃত হয়েছে প্রায় ১৩শ’ বছর আগের বৌদ্ধনগরী। যেখানে বৌদ্ধ স্তূপ ছাড়াও প্রাচীন রাস্তা এবং ড্রেনসহ নানা স্থাপনা বেরিয়ে আসে। সবকিছু মিলিয়ে নাটেশ্বর বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হতে চলেছে বলে দৃঢ়ভাবে জানিয়েছেন এই খনন কাজের গবেষণা পরিচালক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতœতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সুফী মুস্তাফিজুর রহমান ও চীনের হুনান প্রাদেশিক প্রতœতাত্ত্বিক ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. চাই হুয়ানব। খনন প্রকল্পটির পরিচালক অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. নূহ-উল-আলম লেনিন জানান, বৌদ্ধ ধর্মের দ্বিতীয় শীর্ষ ধর্র্মীয় নেতা জ্ঞান তাপস অতীশ দীপঙ্করের পুণ্যভূমি বজ্রযোগিনীর পার্শ্ববর্তী এই নাটেশ্বর বৌদ্ধদের তীর্থভূমিতে পরিণত হবে। আর দৃষ্টিনন্দন এই অনন্য সাধারণ স্থাপনাগুলো পর্যটকদের জন্য হবে আকর্ষণীয়। তাই খননকাজে নিয়োজিত চীনা প্রতœতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এখানে ‘আর্কিওলজি পার্ক’ স্থাপনে। জাদুঘর ছাড়াও, গবেষণার স্থান ও সেমিনারের জন্য হল রুমসহ পর্যটকদের জন্য থাকার ব্যবস্থাসহ নানারকম সুবিধা থাকবে। তিনি জানান, এ খননকাজে প্রশিক্ষিত ২শ’ বাংলাদেশী খনন কর্মী ছাড়াও চীনা প্রতœতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ এ খননকাজে অংশ নিচ্ছে। এ খননে আধুনিক নানারকম প্রযুক্তিও ব্যবহার করা হচ্ছে। ড. সুফী মুস্তাফিজুর রহমান জানান, আমেরিকার ল্যাব টেস্টে প্রমাণিত হয়েছে নাটেশ্বরে আবিষ্কৃত প্রতœস্থান ১১শ’ বছরেরও অধিক পুরনো। ওই স্থান হতে প্রাপ্ত কাঠকয়লা পরীক্ষা করে দেখা গেছে এখানকার এই প্রতœস্থানে দুটি পর্যায়ের মানব বসতি ছিল। প্রথম পর্যায় ৭৮০-৯৫০ খ্রিস্টাব্দ এবং দ্বিতীয় পর্যায় ৯৫০-১২২৩ খ্রিস্টাব্দে। ২০১০ সাল থেকে বিক্রমপুর অঞ্চলে প্রতœতাত্ত্বিক জরিপ ও খননকাজ শুরু হয়। ২০১৩ সাল পর্যন্ত অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের নেতৃত্বে বিক্রমপুর অঞ্চলে নয়টি প্রতœস্থানে খনন করে প্রাচীন মানববসতির চিহ্ন আবিষ্কৃত হয়। ইতোমধ্যে রঘুরামপুরে বিক্রমপুরী বৌদ্ধবিহারে সাতটি ভিক্ষু কক্ষ আবিষ্কৃত হয়েছে। রঘুরামপুরে প্রতœতাত্ত্বিক খনন চলমান রয়েছে। ২০১২ সাল থেকে টঙ্গীবাড়ি উপজেলার নাটেশ্বর প্রতœস্থানে খননকাজ শুরু হয়। প্রায় ১০ একর জায়গাজুড়ে প্রতœতাত্ত্বিক ঢিবিতে কাজের বিশালতার কারণে যুক্ত করা হয় চীনের হুনান প্রাদেশিক প্রতœতাত্ত্বিক ইনস্টিটিউটকে। ২০১৪ সাল থেকে চীনা এ ইনস্টিটিউটের প্রতœতাত্ত্বিক দল উৎখনন কাজে যোগ দেয়। ২০১৫ সালে তারা সাত প্রতœতাত্ত্বিক উৎখননে অংশ নিচ্ছে। যৌথ উৎখননে এবার বেশকিছু তাৎপর্যপূর্ণ প্রতœবস্তু আবিষ্কৃত হয়েছে। এছাড়াও ইতোমধ্যে উৎখননে প্রাপ্ত প্রতœবস্তুর কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষণও সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে আমেরিকার বিখ্যাত বেটা ল্যাবরেটরি থেকে ২৬ কাঠকয়লার কার্বন-১৪ পরীক্ষায় এর ব্যবহারের তারিখ পাওয়া গেছে। কার্বন-১৪ ভিত্তিতে নাটেশ্বর প্রতœস্থানে মানব বসতির দুটি পর্যায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আবিষ্কৃত মৃৎপাত্রগুলোকে লাল এবং কালো শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছে। মৃৎপাত্রের মধ্যে অধিকাংশ সঞ্চয় আধার, রান্নার হাঁড়ি, গামলা, পানির পাত্র, প্রদীপ প্রভৃতি। মৃৎপাত্রগুলোতে বিভিন্ন নক্সা পরিলক্ষিত হয়েছে। ভাঙ্গা মৃৎপাত্র অংশ থেকে গত জুন মাসে চীন থেকে আগত ৩ মৃৎপাত্র বিশেষজ্ঞ ১ মাস কাজ করে প্রায় ১শ’ মৃৎপাত্র পুনর্গঠন করেছেন। সদ্য আবিষ্কৃত হয়েছে ‘স্তূপ হল’। প্রতি স্তূপ হলে চারটি করে স্তূপ রয়েছে। ৩.৫ মিটার প্রশস্ত চারটি মনোরম দেয়াল দ্বারা স্তূপ হলগুলো পরিবেষ্টিত। প্রতিটি দেয়াল ১৬ মিটার দীর্ঘ; ফলে স্তূপ হলগুলো চমৎকার বর্গাকৃতির আকার পেয়েছে। বিশেষ আকৃতির দেয়াল দ্বারা চারটি স্তূপ হল পারস্পরিকভাবে সংযুক্ত। চারটি বিশাল আকৃতির স্তূপ হল একত্রে দেখলে একটি ক্রুশাকৃতির অপূর্ব স্থাপত্য নিদর্শন মনে হয়। দশম থেকে ত্রয়োদশ শতকের স্তূপ ও স্তূপ হলগুলো তৎকালীন স্থাপত্য পরিকল্পনা ও নক্সাকারীদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার এক দারুণ ফসল। স্তূপ বৌদ্ধদের কাছে খুবই পবিত্র এবং পূজনীয় স্থান। পুরাকীর্তি বিশেষজ্ঞ ড. সুফী মুস্তাফিজুর রহমান জানান, সাধারণত স্তূপ স্থাপত্যের মধ্যে বৌদ্ধ দর্শনের বিভিন্ন দিক প্রতীকী রূপে প্রকাশ পায়। নাটেশ্বর প্রতœস্থানে আবিষ্কৃত অষ্টকোণাকৃতির স্তূপটি বৌদ্ধদের আটটি পবিত্র মন্ত্র অষ্টমার্গকে স্মরণ করিয়ে দেয়। এবারে আবিষ্কৃত একটি কক্ষে চারটি করে স্তূপ বৌদ্ধ দর্শনের চতুষ্কোটির কথা মনে করিয়ে দেয়। আবার একই ধরনের চারটি স্তূপ হলের মুখোমুখি অবস্থান চতুষ্কোটির দর্শনকে দ্বিতীয়বার স্মরণ করিয়ে দেয়। উত্তর-দক্ষিণে ৩০ মিটার দীর্ঘ, দুই মিটার প্রশস্ত ইট-নির্মিত একটি অসাধারণ রাস্তা আবিষ্কৃত হয়েছে (চলমান উৎখননে আরও অংশ উন্মোচিত হচ্ছে)। মূল রাস্তা থেকে ইতোমধ্যে পূর্বদিকে একটি এবং পশ্চিমদিকে আরেকটি পার্শ্ব-রাস্তা আবিষ্কৃত হচ্ছে। কাদামাটির মর্টার দিয়ে গাঁথা রাস্তায় সমান্তরাল এবং উলম্বভাবে ইটের বিন্যাস বিশেষ পুরকৌশল অভিজ্ঞ প্রকৌশলীর দক্ষতার ছাপ বহন করে। অষ্টকোণাকৃতি বৌদ্ধ স্তূপটি নাটেশ্বরের একটি গুরুত্ব তাৎপর্যপূর্ণ আবিষ্কার। অসাধারণ স্থাপত্য নিদর্শনটি দুটি পর্যায়ে নির্মিত এবং ব্যবহৃত হয়েছিল। চমৎকার কেন্দ্রীয় স্মারকাধার অষ্টকোণাকৃতি স্তূপটিতে বৌদ্ধ দর্শনের অষ্টমার্গের (সৎচিন্তা, সৎবাক্য, সৎকর্ম...) প্রতীকী রূপ প্রতিফলিত হয়েছে। প্রথম পর্যায়ের স্তূপটির নিচের অংশে উলম্বভাবে ইটের ব্যবহার মনোরম এবং চমকপ্রদ। এধরনের বিশেষ স্থাপত্য কাঠামো চক্র বা চাকার প্রতীকী রূপ মনে হয়। ৯ মিটার৯ মিটার বর্গাকৃতির বৌদ্ধ মন্দিরটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার। মন্দির বহির্দেয়ালে ইটের অসাধারণ নক্সা বাংলাদেশের মন্দির স্থাপত্যের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। স্থাপত্যটির ভিত্তি-দেয়ালে ঝামা ইটের ব্যবহার তৎকালীন প্রকৌশলীর দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার স্বাক্ষর বহন করে। কারণ বৃষ্টিবহুল ও আর্দ্রতাপূর্ণ পরিবেশে স্যাঁতসেঁতে থেকে রক্ষার জন্য এ রকম ঝামা ইটের ব্যবহার প্রয়োজন ছিল। চলমান প্রতœতাত্ত্বিক খননে আরও অনেক স্থাপত্য নিদর্শন ও প্রতœবস্তু আবিষ্কৃত হচ্ছে। উৎখনন আরও অগ্রসর হলে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবেÑ এরকম প্রতীয়মান হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণাÑ প-িত অতীশ দীপঙ্করের জন্মস্থানে অতীশ দীপঙ্করের সমসাময়িক বৌদ্ধবিহার, বৌদ্ধমন্দির, অনন্য বৌদ্ধস্তূপ, বিশেষ ধরনের রাস্তা ও অন্যান্য আবিষ্কারসমূহ বাংলাদেশসহ বিশ্বের ইতিহাসে বিশেষ গুরুত্ব বহন করবে। বিক্রমপুরের নাটেশ্বর বিশ্ব-বৌদ্ধ তীর্থকেন্দ্র এবং পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হবে। সেতু ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মাটির নিচের এই বৌদ্ধ সভ্যতা দেখে বিস্মিত হন। তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের পর্যটনকে অনেক বেশি সমৃদ্ধ করবে। বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে এই প্রাচীন স্থাপনাটি বিক্রমপুরের সমৃদ্ধ ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দেয়। মাটির নিচ থেকে আবিষ্কৃত এই বৌদ্ধনগরীর সঙ্গে সড়ক যোগাযোগের ওপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতিমন্ত্রী থাকা অবস্থায় পাহাড়পুরের প্রাচীন সভ্যতাকে নিয়ে কাজ করেছি। এখন মন্ত্রণালয়ে না থাকলেও এই সম্পদ পুণ্যার্থী ও পর্যটকদের জন্য যথাযথ সংরক্ষণ এবং খননকাজ অব্যাহত রাখার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি পুরো এলাকাটি ঘুরে দেখে বলেন, এটি বাঙালী জাতির গর্ব। হাজার বছর আগের এই নিপুণ স্থাপত্য যে জাতি তৈরি করতে পারে, তারা কতটা সভ্য ও জ্ঞানী ছিলেন তা সহজেই অনুমেয়। তিনি বলেন, প্রাচীন এই সভ্যতা ঘিরে এ অঞ্চলকে পর্যটন জোনে রূপান্তর করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে তিনি মুন্সীগঞ্জ জেলার নামের সঙ্গে বিক্রমপুর যুক্ত করার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন। মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক সাইফুল হাসান বাদল বলেন, সভ্যতার জনপদ বিক্রমপুর বিশ্বসভ্যতার যে আলোকবর্তিকা হিসেবে অবদান রেখেছে, এ প্রচীন সভ্যতা আবিষ্কারে তা আবারও স্পষ্ট হলো। পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেন, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ এ খননের মাধ্যমে বাঙালী জাতির শেকড় যে কত গভীরে ছিল তারই প্রমাণ মিলছে। এই খননকাজে দেশী-বিদেশীদের সার্বিক নিরাপত্তায় যথাযথ সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আধ্যাপক ড. সোনিয়া নিশাত আমীন জানান, এ খননকাজের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই যা আবিষ্কার হয়েছে, তা বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। এ আবিষ্কারের মাধ্যমে বিশ্বসভ্যতার ইতিহাস আরও সুস্পষ্ট হবে। প্রতœতত্ত্ব অধিদফতরের মহাপরিচালক আলতাফ হোসেন জানান, এ খননকাজে তার অধিদফতর সার্বিক সহযোগিতা করছে। সরকারী অর্থায়নে এ খননকাজে আরও সফলতা মিলবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, এ আবিষ্কারে বিক্রমপুরে পর্যটকদের ভিড় বাড়বে। ঢাকায় চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর চেং সুয়াং জানান, এ খননকাজে চীন অংশ নিতে পেরে গর্ববোধ করছে। তিনি মনে করেন, এ আবিষ্কার বৌদ্ধদের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করা ছাড়াও বিশ্ব ঐতিহ্য সমৃদ্ধ করবে। নাটেশ্বর দেউলঘেঁষা বাড়ির বাসিন্দা প্রবীণ শিক্ষক দীনেশ দত্ত জানান, আমার বাড়ির পাশে যে এতবড় অমূল্য সম্পদ মাটিচাপা ছিল তা কখনও ভাবতে পারিনি। এখন এই আবিষ্কারের নাটেশ্বর গ্রাম বিশ্ব ইতিহাসে স্থান করে নিচ্ছেÑ এটা বড় বেশি গর্বের। নাটেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা নসর উদ্দিন প্রশ্ন করেনÑ যেভাবে গোটা এলাকায় খনন ছড়িয়ে পড়ছে, আমরা বাড়িঘরে থাকতে পারব তো? তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পাশের গ্রাম বাহেরপাড়ার মুরাদ মিয়া বলেন, থাকতে পারবেন আরও ভাল জীবনযাপন করতে পারবেন। এই এলাকার গুরুত্ব বেড়ে গেলে জায়গাজমির দামও বেড়ে যাবে। কর্মসংস্থান বাড়বে। অগ্রসর বিক্রমপুরের জ্ঞানপীঠের নির্বাহী পরিচালক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সুখেন চন্দ্র ব্যানার্জী জানান, চলতি বছর এ পর্যন্ত সাড়ে ৩ হাজার বর্গমিটার এলাকা খনন করা হয়েছে। যত খনন হচ্ছে ততই বিস্ময়কর স্থাপনা বেরিয়ে আসছে। বুধবার আবিষ্কৃত এই পুরাকীর্তির খনন নিয়ে নূহ-উল-আলম লেনিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে গবেষক অতিথি, জনপ্রতিনিধিরা এবং প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা বক্তব্য রাখেন।
×