ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

হরতাল-অবরোধের নামে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের চক্রান্ত বন্ধ কর

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ১৫ মার্চ ২০১৫

হরতাল-অবরোধের নামে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের চক্রান্ত বন্ধ কর

জনকণ্ঠ রিপোর্ট ॥ অবিলম্বে হরতাল-অবরোধের নামে শিক্ষা ধ্বংসকারী সহিংসতা বন্ধ করার দাবিতে দেশজুড়ে একযোগে আওয়াজ তুলল ২০ লাখ শিক্ষার্থীর আশ্রয়স্থল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সারাদেশের দুই হাজার ১৫৪ কলেজে শনিবার একযোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচী থেকে লাখ লাখ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী তুলেছেন একই দাবি। হরতাল-অবরোধের নামে তৎপর নাশকতাকারীদের তীব্র সমালোচনা করে তারা বলেছেন, ‘হরতাল অবরোধ বন্ধ করুন, শঙ্কামুক্ত জীবন চাই/ নিরাপদে ক্লাস করতে পরীক্ষা দিতে চাই/ শিক্ষা ধ্বংসকারী সহিংসতা বন্ধ কর, করতে হবে।’ গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে কেন্দ্রীয়ভাবে ও সারাদেশে কলেজগুলোর শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ ক্যাম্পাসে অভিন্ন ব্যানার হাতে একযোগে এ কর্মসূচীতে অংশ নেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজধানী থেকে শুরু করে সারাদেশে বেলা ১১টা থেকে পৌনে ১২টা পর্যন্ত একযোগে অভিন্ন ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। শিক্ষাবিরোধী হরতাল-অবরোধ বন্ধের দাবিতে রাজধানীর সরকারী টিচার্স ট্রেনিং মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) সৈয়দ সাদিক জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে কর্মসূচীতে সহস্রাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন। অধ্যক্ষ সৈয়দ সাদিক জাহিদুল ইসলাম বলেন, লাগাতার অবরোধ ও হরতাল দিয়ে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের চক্রান্ত চলছে। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার মেরুদ- ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে। পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে ছাত্র-শিক্ষকসহ নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। এইসব আর চলতে দেয়া যায় না। এই ধ্বংসযজ্ঞের বিরুদ্ধে সবাইকে এখনই রুখে দাঁড়াতে হবে। তিনি আরও বলেন, দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের নেতৃত্বে শিক্ষাখাতে যখন বিপ্লব ঘটছে, তখনই এর অগ্রগতি রুখে দেয়ার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে বিএনপি-জামায়াত জোট, যা হচ্ছে এটা কোন আন্দোলন হতে পারে না। একথাই আজ দেশজুরে বলছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। একই দাবিতে রাজধানীর সরকারী ইডেন কলেজের সামনেও মানববন্ধন করেছেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ছাত্রীরা। এতে বক্তারা বলেন, শিক্ষা ধ্বংসকারী এই অবরোধ-হরতাল বন্ধ করতে হবে। বিএনপি-জামায়াত জোট হরতাল ও অবরোধের নামে পেট্রোলবোমায় মানুষ পুড়িয়ে মেরে গণতন্ত্র কায়েম করতে পারবে না। কর্মসূচী পালন করা হয়েছে তিতুমীর কলেজ, ঢাকা কলেজ, তেজগাঁও কলেজ, সিদ্ধেশ্বরী কলেজ, বদরুন্নেসা মাহিলা কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, হাবিবুল্লা বাহার কলেজ, আবুজর গিফারী কলেজসহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজে। এদিকে গাজীপুর থেকে আমাদের নিজস্ব সংবাদদাতা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন সড়কে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদের নেতৃত্বে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আসলামুল হক, অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক নোমান উর রশিদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অভিন্ন ব্যানার নিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন। ড. হারুন-অর রশিদ বলেন, লাগাতার সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচীর কারণে এসএসসি, এইচএসসি ও স্নাতকের ২০ লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন ধ্বংসের পথে। প্রায় তিন হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ছাড়াও শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে আমরা একযোগে মানববন্ধন করেছি। তিনি আরও বলেন, আমরা এখানে এসেছি পেট্রোল বোমাসহ সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ বন্ধের দাবি নিয়ে। আমরা চাই, আমাদের শিক্ষাজীবন যাতে হরতাল ও সন্ত্রাসের কারণে ব্যাহত না হয়। খালেদা জিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই আমরা এখানে মানববন্ধন করতে এসেছি। গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়াল মির্জাপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্র-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করছেন। কলেজের পাশে ঢাকা-মির্জাপুর সড়কের দু’পাশে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় কলেজ অধ্যক্ষ মোঃ মাহমুদুল হক ও সহকারী অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। শিক্ষা ধ্বংসকারী সহিংসতা বন্ধের দাবিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের অংশ হিসেবে কালীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রী কলেজের সামনে শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন করে। কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ নাজমুল ইসলামের নেতৃত্বে কলেজের সকল প্রভাষক ও শিক্ষার্থী এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ফেরদৌস মিয়ার নেতৃত্বে কলেজের সামনে শিক্ষার্থীরা একই ইস্যুতে মানববন্ধন করেছে। সহিংসতা বন্ধের দাবিতে ক্লাস ছেড়ে রাস্তায় নেমেছেন চট্টগ্রামে অবস্থিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বিভিন্ন কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। শনিবার বেলা ১১টা থেকে ১১টা ৪৫মিনিট পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সব কলেজে একযোগে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রছাত্রী ও কলেজের কর্মকর্তারা। চট্টগ্রম কলেজ, মহসিন কলেজ, সিটি কলেজ, সরকারী মহিলা কলেজ, সরকারী কমার্স কলেজ, নাজিরহাট কলেজ, হাটহাজারী কলেজ, রাউজান কলেজ, বোয়ালখালীর স্যার আশুতোষ সরকারী কলেজ, এমইএস কলেজসহ নগরী ও বিভিন্ন উপজেলায় শিক্ষক শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে অংশ নেন। যেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলেছেন, শিক্ষকরা চায় পড়াতে আর শিক্ষার্থীরা চায় পড়তে। রাজনৈতিক কর্মসূচীর নামে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার চক্রান্ত চলছে। যা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। সহিংস আন্দোলন বন্ধ করে শিক্ষা ব্যবস্থাকে রক্ষা করা প্রয়োজন। কর্মসূচীর অংশ হিসেবে নিরাপদে ক্লাস ও পরীক্ষা দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী নাসিরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা। দুপুরে কলেজের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। নাসিরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রিন্সিপাল আশরাফ উদ্দিনের নেতৃত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক মানিক লাল সাহা, শেখ আমজাদ আলী, রেজাউল কবীর, খন্দকার হাফিজুর রহমান, হাফিজুর রহমান প্রমুখ। তারা পরীক্ষা চলাকালে হরতাল-অবরোধ না দেয়ার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। তারা বলেন, জাতির ভবিষ্যৎ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ধ্বংস না করে ক্লাস ও পরীক্ষা সকল রাজনৈতিক কর্মসূচীর আওতামুক্ত রাখতে হবে। সামনে এইচএসসি এবং ডিগ্রী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শঙ্কামুক্ত জীবন ও নির্বিঘেœ ক্লাস পরীক্ষার দাবিতে সিলেটে মানববন্ধন করেছেন জাতীয় মদনমোহন কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। দুপুরে নগরীর রিকাবিবাজার মদনমোহন কলেজের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে কলেজের সর্ব শ্রেণীর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এতে কলেজের অধ্যক্ষ ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচীর নামে দেশে শিক্ষাবিরোধী অবস্থা বিরাজ করছে। স্কুল-কলেজে লেখাপড়া বিঘœ হচ্ছে, পরীক্ষা নেয়া যাচ্ছে না। তিনি শিক্ষার্থী ও শিক্ষাঙ্গনকে এ অবস্থা থেকে মুক্ত রাখার জন্য রাজনৈতিক দল এবং নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। নিরাপদে ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবিতে ফেনীতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কলেজের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা কোন রাজনৈতিক দলের অধীনে পড়াশুনা করছি না। আমাদের ভবিষ্যত ধ্বংস করার অধিকার কারও নেই। আমরা সরকার ও আন্দোলনকারী উভয়ের কাছেই নিরাপদে ক্লাস ও পরীক্ষা দেয়ার গ্যারান্টি চাই। আমরা চাইনা অনিক-হৃদয়ের মতো আর কোন শিক্ষার্থী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসতে গিয়ে তাদের চোখ হারায়। ফেনী সরকারী কলেজের উপাধ্যক্ষ মুহাম্মদ মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীরা চায় নিরাপদে ক্লাস ও পরীক্ষা দিতে। আন্দোলনকারীদের উচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের আওতার বাইরে রাখা। খুলনায় মানববন্ধন করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত আহছানউল্লাাহ কলেজের শিক্ষার্থীরা। কলেজের সামনে এ কর্মসূচী পালন করেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসূচী অনুযায়ী ‘শঙ্কামুক্ত জীবন চাই, নিরাপদে ক্লাস করতে পরীক্ষা দিতে চাই’ শীর্ষক সেøাগানকে ধারণ করে কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এ সময় কলেজের অধ্যক্ষ শহীদুল হক মিন্টু, উপাধ্যক্ষ মকবুল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন। নির্বিঘেœ শিক্ষা ও পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং শিক্ষাবিধ্বংসী সহিংসতা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছেন বরিশালের প্রত্যেকটি কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। একযোগে অভিন্ন ব্যানারে নগরীর বাইরে সর্ববৃহত মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে গৌরনদীর মাহিলাড়া এলাকায়। মাহিলাড়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ফিরোজ ফোরকান আহমেদের সভাপতিত্বে¡ মানববন্ধন চলাকালীন সময় অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন জেলার দু’বারের শ্রেষ্ঠ মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু। ‘শঙ্কামুক্ত জীবন চাই, নিরাপদে ক্লাস ও পরীক্ষা দিতে চাই’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে মাদারীপুরে মানববন্ধন করেছে সরকারী নাজিমউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কলেজ শাখা ছাত্রলীগ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষে নাজিমউদ্দিন কলেজের সামনে শনিবার সকালে অনুষ্ঠিত ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে কলেজের শিক্ষকসহ কয়েক শ’ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এ সময় তারা শিক্ষা ধ্বংসকারী সহিংসতা বন্ধের জোর দাবি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে সেশনজটমুক্ত করার আহ্বান জানান। শিক্ষা ধ্বংসকারী সহিংসতা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছেন জেলার কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। কলেজ চত্বরে মানববন্ধনে তারা নিরাপদে ক্লাস ও পরীক্ষা দেয়া এবং শঙ্কামুক্ত জীবনেরও দাবি তুলেছেন। মানববন্ধনে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। কলেজের অধ্যক্ষ খালেকুজ্জামান, কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব খান শিশির, সহযোগী অধ্যাপক মোঃ মুজিবুর রহমান, বশির আহম্মদ, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ সুমন মোল্লা, সহ-সভাপতি মাজারুল হক মাসুদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। যশোরের বিভিন্ন কলেজে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। সরকারী এমএম কলেজে অধ্যক্ষ অধ্যক্ষ নমিতা রাণী বিশ্বাস, সিটি কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু তোরাব মোঃ হাসান, মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক বাসুদেব বসু, ডা. আব্দুর রাজ্জাক কলেজের উপাধ্যক্ষ ঝর্ণা রাণীর নেতৃত্বে মানববন্ধন কর্মসূচীতে কলেজে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ অংশ নেন। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে নীলফামারীর সরকারী ও বেসরকারী ২৬টি কলেজে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন নীলফামারী সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ লায়লা আরজুমান্দ বানু, সরকারী মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইলিয়াছ আহমেদ, ডোমার ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ গোকুল চন্দ্র পাল, চিলাহাটি সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ জগদীশ চন্দ্র রায়, সৈয়দপুর সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. আমির আলী ও শিক্ষার্থীরা। নারায়ণগঞ্জে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। সরকারী তোলারাম কলেজে অধ্যক্ষ প্রভাত কুমার দত্তের নেতৃত্বে কলেজ ক্যাম্পাসে মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। গাইবান্ধায় আইন কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী, ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন আইন কলেজের অধ্যক্ষ এ্যাডভোকেট মকবুলার রহমান, সিদ্দিক হোসেন সেলিম, আবু আহম্মেদ আব্দুল্লাহ কনক, মোঃ শামসুজ্জোহা, সমীরণ কুমার সরকার, ইব্রাহিম খলিল, কামাল হোসেন প্রমুখ। কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে জেলার আইন মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন। শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা। মেহেরপুর সরকারী কলেজের সামনের সড়কে মানবন্ধন কর্মসূচী পালন করেন সরকারী কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা। একই দাবিতে মেহেরপুর সরকারী মহিলা কলেজ ও গাংনী উপজেলাতেও এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। দিনাজপুর আদর্শ কলেজের উদ্যোগে অধ্যক্ষ মোঃ খালেকুজ্জামানের নেতৃত্বে কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন। এছাড়া দিনাজপুর সরকারী মহিলা কলেজে উদ্যোগে শিক্ষক ও ছাত্রীবৃন্দ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে। কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আনজুমান আখতারের নেতৃত্বে সরকারী মহিলা কলেজের শিক্ষক ও ছাত্রীবৃন্দ মানববন্ধন কর্মসূচীতে অংশ নেন। সহিংসতার প্রতিবাদে বাগেরহাটের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছেন। একই দাবিতে শরণখোলা ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা মানববন্ধন করে। শেরপুর সরকারী মহিলা কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাসে মানববন্ধন কর্মসূচ পালন করেছে। মৌলভীবাজারে নিরাপদ ক্লাস, পরীক্ষা দেয়ার নিশ্চয়তা ও সহিংসতা বন্ধের দাবিতে শিক্ষক, অভিবাবক ও শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন পালন করেছেন। মৌলভীবাজার কুলাউড়া সড়কের রাজনগর ডিগ্রী কলেজ প্রাঙ্গণে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে বক্তব্য রাখেন আছকির খান, জিলাল উদ্দীন আহমদ, রজত কান্তি গোস্বামী প্রমুখ। মানিকগঞ্জে সরকারী দেবেন্দ্র কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছেন। মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে মাগুরা আদর্শ কলেজে। জামালপুর সদর উপজেলার নান্দিনা শেখ আনোয়ার হোসাইন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রায় চার হাজার ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক- শিক্ষিকা ও কর্মচারীরা এক র‌্যালি, মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে।
×