ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

প্রাইম ব্যাংকের কাছে ধরাশায়ী আবাহনী

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ৩ মার্চ ২০১৮

প্রাইম ব্যাংকের কাছে ধরাশায়ী আবাহনী

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অবশেষে ধরাশায়ী হলো আবাহনী। টানা ৬ ম্যাচ জেতার পর ষষ্ঠ ম্যাচে এসে ধরা খেল। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের কাছে ধরাশায়ী হলো আবাহনী। ৯ রানে হারল। এরপরও ১২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেই আছে আবাহনী। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের যে কি হলো, হারের গোলকধাঁধায় আটকে আছে। শুক্রবার যেমন ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগের (ডিপিএল) সপ্তম রাউন্ডের খেলাতেও হারল। এবার সৈকত আলীর সেঞ্চুরিতে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের কাছে ৯৫ রানের বড় ব্যবধানে হার হলো গাজী গ্রুপের। একইদিন মোহামেডান ও প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যকার তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচটি টাই হয়েছে। দুই দলই সমান ১ পয়েন্ট করে পেয়েছে। তাতে করে ৯ পয়েন্ট নিয়ে প্রাইম দোলেশ্বর দ্বিতীয় স্থানে উঠে গেছে। ম্যাচটিতে প্রাইম দোলেশ্বরের লিটন কুমার দাস সেঞ্চুরি করেও ম্যাচ জেতাতে পারেননি। মোহাম্মদ আজিম যে ৬ উইকেট নিয়ে দ্যুতি ছড়িয়েছেন। আবাহনী-প্রাইম ব্যাংক ম্যাচ ॥ বিকেএসপিতে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচটিতে টস জিতে আগে ব্যাট করে প্রাইম ব্যাংক। আল-আমিনের ৮৪, জাকির হাসানের ৬২ রানে ৪৯.২ ওভারে ২৪৬ রান করে প্রাইম ব্যাংক। আবাহনীর মাশরাফি বিন মর্তুজা বল হাতে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখান। তার ৪ উইকেট শিকারে প্রাইম ব্যাংকের স্কোরবোর্ডে আড়াই শ’ রানও যুক্ত হয় না। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় আবাহনী আর জিততে পারেনি। সাইফ হাসান ৭৫ ও অধিনায়ক নাসির হোসেন ৬৫ রান করেন। মাশরাফির ব্যাট থেকেও আসে ২২ রান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে ২৩৭ রানের বেশি করতে পারেনি আবাহনী। ৪ উইকেট নেয়া শরিফুল ইসলাম যে দুর্দান্ত বোলিং করেন। অসাধারণ বোলিং করে ম্যাচ সেরাও হন শরিফুল। মোহামেডান-প্রাইম দোলেশ্বর ম্যাচ ॥ ফতুল্লায় এ ম্যাচটিতে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় মোহামেডান। তাতে করে তিন হাফ সেঞ্চুরিতে (শামসুর রহমান শুভর ৭৫, রকিবুল হাসানের ৭২ ও বিপুল শর্মার ৫৩ রান) ৪৯.৫ ওভারে ২৮৬ রান করে অলআউট হয় মোহামেডান। স্কোরবোর্ডে অনেক রান জমা হয়। কিন্তু লিটন কুমার দাসের ১২৯ রানের ইনিংসের পর ফরহাদ হোসেনের ৫২ রানে ম্যাচটি জিততে পারেনি মোহামেডান। একটা সময় হারের শঙ্কাতেই পড়ে গিয়েছিল মোহামেডান। কিন্তু মোহাম্মদ আজিম এমনই দুর্দান্ত বোলিং করেন, শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি টাই হয়। ৬ উইকেট শিকার করেন আজিম। আর তাতে করে লিটনকে ম্যাচসেরাও হন আজিম। ৯ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে ২৮৬ রান করে প্রাইম দোলেশ্বরও। শেখ জামাল-গাজী গ্রুপ ম্যাচ ॥ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচটিতে টস জিতে আগে ব্যাট করে শেখ জামাল। তাতেই বাজিমাত করে। রিটায়ার্ড হার্ট ওপেনার সৈকত আলীর ১১৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে ২৬৫ রান করে শেখ জামাল। জবাব দিতে নেমে গাজী গ্রুপের শুধু ভারতের পাঞ্জাবের গুরকিরাত সিং (৬৭) প্রতিরোধ গড়তে পারেন। বাকিদের ব্যর্থতাতে ৪২.৪ ওভারে ১৭০ রান করতেই গুটিয়ে যায় গাজী গ্রুপ। ম্যাচও হারে বড় ব্যবধানে। স্কোর ॥ প্রাইম ব্যাংক-আবাহনী ম্যাচ, প্রাইম ব্যাংক ইনিংস ২৪৬/১০; ৪৯.২ ওভার (আল-আমিন ৮৪, জাকি ৬২; মাশরাফি ৪/৪১)। আবাহনী ইনিংস ২৩৭/৯; ৫০ ওভার (সাইফ ৭৫, নাসির ৬৫; শরিফুল ৪/৫১)। ফল ॥ প্রাইম ব্যাংক ৯ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ শরিফুল ইসলাম (প্রাইম ব্যাংক)। মোহামেডান-প্রাইম দোলেশ্বর ম্যাচ, মোহামেডান ইনিংস ২৮৬/১০; ৪৯.৫ ওভার (শামসুর ৭৫, রকিবুল ৭২, বিপুল ৫৩; ফরহাদ ৩/৬৬)। প্রাইম দোলেশ্বর ইনিংস ২৮৬/৯; ৫০ ওভার (লিটন ১২৯, ফরহাদ ৫২; আজিম ৬/৬৭)। ফল ॥ ম্যাচ টাই। ম্যাচসেরা ॥ মোহাম্মদ আজিম (মোহামেডান)। শেখ জামাল-গাজী গ্রুপ ম্যাচ, শেখ জামাল ইনিংস ২৬৫/৮; ৫০ ওভার (সৈকত ১১৫, হাসানুজ্জামান ৪৫, সোহাগ ৪২; নাঈম ২/৪৯)। গাজী গ্রুপ ইনিংস ১৭০/১০; ৪২.৪ ওভার (গুরকিরাত ৬৭, মেহেদী ৩৬; সাজেদুল ২/১৪)। ফল ॥ শেখ জামাল ৯৫ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ সৈকত আলী (শেখ জামাল)।
×