ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

তরুণদের আগ্রহের বিষয় ‘সিএসই’

প্রকাশিত: ০৭:০৫, ১৬ জানুয়ারি ২০১৮

তরুণদের আগ্রহের বিষয় ‘সিএসই’

আপনি কি জানেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত আমেরিকান তরুণ রুশু কাজি ফেসবুকের প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছেন? হয়ত তথ্যটি পিলে চমকে দিল, তবে শুনুন চাইলে আপনার পক্ষেও সম্ভব গুগল, ফেসবুকের চাকরি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ক্যারিয়ার নিয়ে সবারই কমবেশি ভাবনা থাকে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শেষ দশকে যে সাবজেক্টটি তরুণদের আগ্রহের বিষয়ে পরিণত হয়েছে, সেটি কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই)। ১৯৮৭ সালে বুয়েটে এবং ১৯৯২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএসই ডিপার্টমেন্ট প্রতিষ্ঠার পর এদেশে একবিংশ শতাব্দীতে সিএসই পড়াশোনার বিষয় হিসেবে জনপ্রিয়তা পায়, এরপর সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পর্যাপ্ত ল্যাব সুবিধা এবং বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় সেভাবে প্রসার না পাওয়াতে বিষয়টির প্রসার ঘটেনি তখন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সর্বশেষ পাঁচ বছরে উল্লেখযোগ্যহারে বাড়ছে বিষয়টির কদর আবারও, আমরা এখন দেখব কি কারণে তরুণ-তরুণীরা বিষয়টিকে বেছে নিচ্ছে এবং সিএসই বিভাগের নানা সুবিধা সম্পর্কে... যদি হোন ক্রিয়েটিভ- ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরের যে কয়েকটি বিষয় আছে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ সাবজেক্ট বলা হয়ে থাকে সিএসই কে। কারও কারও মতে, সিএসই পড়ার ক্ষেত্রে বড় বিষয় হলো তুমি নিজে কেমন ক্রিয়েটিভ? হ্যাঁ, এটা কোন মুখস্থ বিদ্যার বিষয় না। তোমার যদি চিন্তাশক্তি, কল্পনা করার ক্ষমতা, কঠোর পরিশ্রম করার মনোবাসনা, লেগে থাকার তীব্র ইচ্ছা, কম্পিটারের সামনে বিরক্ত না হয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকার ধৈর্যশক্তি, নতুন কিছু বানানোর স্বপ্ন থাকে, তাহলে ৫০% কাজ হয়েই গেছে। সিএসইর ক্ষেত্রসমূহ- আপনি যদি কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করেন তবে আপনার সামনে এমন অনেক পথ পাবেন যেখান থেকে খুব সহজে নিজের পছন্দমতো একটি পথ বেছে নিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। আমাদের দেশের বেকার সমস্যা প্রকট, যথাযথ ডিগ্রী ও যোগ্যতা থাকার পরও অনেকেই চাকরি পান না। আপনি একজন কম্পিউটার গ্র্যাজুয়েট হিসেবে খুব সহজেই অনলাইন ফ্রিল্যান্স মার্কেট প্লেসে নিজেকে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন। এজন্য আপনার দরকার হবে একটি নির্দিষ্ট কাজের দক্ষতা। আপনি একটু খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন। দেখবেন আপনার বন্ধুদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা ফ্রিল্যান্স মার্কেট প্লেসে কাজ করছে এবং সেখান থেকে মোটামুটি ভাল টাকা আয় করছে। লেখাপড়ার পাশাপাশি এটি বেশ ভাল একটি পেশা। এবং এখান থেকে মোটামুটি ভাল আয় করতে পারবেন। অনেকে আবার নিজেকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবেও গড়ে তুলতে পারেন। যুগ যেহেতু এখন তথ্যপ্রযুক্তির, তাই তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অনেক ধরনের নতুন নতুন বিজনেস শুরু“করা যেতে পারে। যেমন ধরুন, গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার পরপরই কয়েকজন বন্ধু মিলে একটা সফটওয়্যার ফার্ম গড়ে তুলতে পারেন। চাকরির সুযোগ যদি আমরা বর্তমান ক্যারিয়ার মার্কেট ও এর ট্রেন্ড বিবেচনায় নেই, তবে দেখব অন্তত আগামী আরও ১৫-২০ বছর কম্পিউটার ক্যারিয়ারের রমরমা অবস্থা বিরাজ করবে। এটা যতটা আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য প্রযোজ্য ঠিক তেমনি বাংলাদেশের জন্যও প্রযোজ্য। ডিপ্রজন্ম ডেস্ক
×