ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ

-

প্রকাশিত: ২০:৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪

প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রাণিসম্পদ খাত যে নীরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে, সেটিকে সবার সামনে নিয়ে আসার জন্য ‘প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভিশন হচ্ছে ‘সকলের জন্য নিরাপদ, পর্যাপ্ত ও মানসম্মত প্রাণিজ আমিষ নিশ্চিতকরণ’।

এই ভিশন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিরাপদ প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণে গবাদিপশু, হাঁস-মুরগি, দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধিসহ সংরক্ষণ, রোগনিয়ন্ত্রণ ও জাত উন্নয়নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে দেশে দুধ, মাংস ও ডিমের উৎপাদন নিকট অতীতের চেয়ে কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। মাংস উৎপাদনে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। দুধ-ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পথে। ছাগল উৎপাদনে বিশ্বে পঞ্চম। মাছ উৎপাদনে বিশ্বে রোলমডেল। সম্প্রতি বাংলাদেশে প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে গবাদিপশু, হাঁস-মুরগি ও দুধ উৎপাদন বৃদ্ধিসহ সংরক্ষণ, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও জাত উন্নয়নে অর্জন করেছে অভাবনীয় সাফল্য।

প্রাণীর বিবিধ স্বাস্থ্য সমস্যা, যেমন- রোগ শনাক্তকরণ, চিকিৎসা, রোগ নিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ মোকাবিলা ইত্যাদি প্রাণিসম্পদ উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত কয়েকটি প্রধান দিক। জাতীয় অর্থনীতিতে প্রাণিসম্পদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান থাকায় টেকসই জাতীয় উন্নয়নের স্বার্থে প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন অপরিহার্য। শ্রমনির্ভর খাত হওয়ায় বাংলাদেশের জন্য এ খাতটি অপার সম্ভাবনাময়।
‘প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৪’ এর উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি গবেষণা ও উৎপাদনে সফলতার কথা তুলে ধরে বলেছেন, এখন অন্তত বলতে পারি, মাছ-ভাতের অভাব নেই। ডাল-ভাতেরও অভাব নেই। তবে দেশের পোল্ট্রি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে আরও এগিয়ে আসতে হবে। বেসরকারি খাতকেই উদ্যোক্তা হিসেবে দেখতে চাই। তাদের সবরকম সহযোগিতা করতে চাই। এর ফলে দেশের মানুষের কর্মসংস্থান বাড়বে।’
বর্তমান সরকার একটি  প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। যে সমস্ত পশু পালন করা হয়, সেগুলোকে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পালন করার ব্যবস্থা নিতে হবে। মাছ, হাঁস-মুরগি, পশুপালন স্বাস্থ্যসম্মতভাবে করা এবং উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণটাও স্বাস্থ্যসম্মতভাবে করতে হবে। এ বিষয়ে হতে হবে আরও যতœবান। কেননা, দেশের চাহিদা মিটিয়ে হালাল মাংস রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের একটি সুযোগ আমাদের রয়েছে। এক্ষেত্রে গবেষণা আরও বাড়াতে হবে।

আমরা কারও মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে চাই না। প্রতিটি জিনিস আমরা নিজেরাই উৎপাদন করব। তার সরকার খামারিদের সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে উৎসাহিত করে যাচ্ছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। আমাদের প্রত্যাশা, সরকারের দেওয়া সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে যুবসমাজ প্রাণিসম্পদ ক্ষেত্রের উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের পাশাপাশি বহু মানুষের কর্মসংস্থানে ভূমিকা রাখায় আগ্রহী হয়ে উঠবে।

×