.
ভারতের তামিল সিনেমার মহাতারকা তিনি। কোনো এক সময়ে ছিলেন কুলি, জীবিকার জন্য বাসের কন্ডাক্টরের কাজও করেছেন। আজ তিনি চারশ’ কোটিরও অধিক রুপির মালিক। স্বজাতিরা তাকে বলেন থালাইভা, যার অর্থ গুরু। ভারতীয় সিনেমার এই দক্ষিণী তারকা রজনীকান্তর বায়োপিক হচ্ছে। তার জীবনের সংগ্রাম-সাফল্য এবার বড় পর্দায় আনছেন বলিউডি প্রযোজক-নির্মাতা সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা। রজনীকান্ত এমন একজন অভিনেতা, যাকে নিয়ে ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশনের সিলেবাসে একটি অধ্যায় আছে, যার শিরোনাম ‘ফ্রম বাস কন্ডাক্টর টু সুপারম্যান।’
সংবাদ প্রতিদিন লিখেছে, ভারতীয় সিনেমার দক্ষিণী তারকা রজনীকান্তের বায়োপিক তৈরিতে অভিনেতার পরিবারের সময় সময় কাটাচ্ছেন সাজিদ। সিনেমার চিত্রনাট্যও তিনিই সাজিয়েছেন। সিনেমা তৈরিতে রজনীকান্তের সঙ্গে চুক্তিও সেরে ফেলেছেন তিনি।
সাজিদ বলেন, রজনীকান্তর এই বাস কন্ডাক্টর থেকে সুপারস্টার হয়ে ওঠার জীবন সংগ্রামের কাহিনী গোটা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার তাগিদ আমি অনুভব করেছি। সিনেমায় রজনীকান্তর বহু অজানা দিক তুলে ধরা হবে। তবে কে রজনীকান্তর বায়োপিকে অভিনয় করবেন, সে কথা এখনো জানা যায়নি। মেয়ে ঐশ্বর্য পরিচালিত ‘লাল সেলাম’ সিনেমায় শেষবার ধরা দিয়েছেন রজনীকান্ত।
রজনীকান্তের প্রকৃত নাম শিবাজি রাও গায়কোয়াড়। মারাঠি এর পরিবারে জন্ম ১৯৫০ সালের ১২ ডিসেম্বর। তার জীবনের শুরুটা এখনকার মতো মসৃণ ছিল না মোটেই। অভিনয়ের স্বীকৃতিতে নামি-দামি পুরস্কারের পাশাপাশি ভূষিত হয়েছেন সম্মানজনক ‘পদ্মভূষণ’ (২০০০)ও ‘পদ্মবিভূষণ’ (২০১৬) পুরস্কারে। এ ছাড়া ২০১০ এর ‘ফোর্বস ইন্ডিয়া মোস্ট ইনফ্লুয়েন্সিয়াল’র তালিকায় নাম উঠেছিল তার। রজনীকান্তকে নিয়ে নির্মাণ করা সিনেমা ‘ফর দ্য লাভ অব এ ম্যান’ প্রদর্শিত হয় ২০১৫ সালে ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে।