ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

মেট্রোরেল প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের বাস্তবায়ন

অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান

প্রকাশিত: ২০:৪২, ১৭ জানুয়ারি ২০২৩

মেট্রোরেল প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের বাস্তবায়ন

রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন যত্ন করতে হবে রেল, স্টেশন, টিকিট সংগ্রহের সকল সিস্টেম

যখন বিদেশের মাটিতে মেট্রোরেলে চড়তাম তখন কখনো ভাবিনি ঢাকা শহরে একদিন মেট্রোরেল হবে এবং আমরা সেই রেলে চড়ে ঘুরে বেড়াব। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আমাদের সেই স্বপ্ন দেখিয়েছেন এবং বাস্তবায়ন করেছেন। গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা নিজে সবুজ পতাকা উড়িয়ে ঢাকা শহরে মেট্রোরেলের যাত্রা শুরু করে এক অভাবনীয় ঘটনা ঘটালেন।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা আধুনিক বিশ্বের কাতারে পদার্পণ করল এবং এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের নতুন যুগের সূচনা হলো। গোটা বাংলাদেশের মানুষ সেদিন আনন্দে-বিস্ময়ে ভাসতে লাগল। ভাবতেই শরীরে চিমটি কাটতে হয় সত্যিই দেখছি তো- ঢাকা শহরে মেট্রোরেল চলছে, গত বছরের ২৫ জুন স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর দেশের মানুষ এখনো আনন্দ-আবেগে আপ্লুত হয়ে আছে। দেশ-বিদেশ থেকে মানুষ যখন বিস্ময়ের সঙ্গে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে অহর্নিশ ঘুরে বেড়াচ্ছে, তখন বাংলাদেশের মানুষের আরেকটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন- ঢাকা শহরে মেট্রোরেলে চড়ে আনন্দে আত্মহারা-উচ্ছ্বসিত হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
ঢাকার যানজটের নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়েছে। দুর্বিষহ যানজট নিরসনের স্বপ্ন পূরণে আধুনিক গণপরিবহন মেট্রোরেল চালুর মাধ্যমে আরও একধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। মেট্রোরেলের এমআরটি-৬ লাইনের দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও অংশের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পথ পাড়ি দিতে এখন প্রায় দুই ঘণ্টা লাগে সড়ক পথে। মেট্রোরেলে লাগছে ১৭ মিনিট।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের হিসাবে, শুধু ঢাকার যানজটের কারণেই বছরে আর্থিক ক্ষতি হয় ১ লাখ ১ হাজার ৩৬ কোটি টাকা। যা মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২ দশমিক ৯ শতাংশ। মাসে ৫০ লাখ এবং বছরে ৬ কোটি কর্মঘণ্টা খেয়ে ফেলছে যানজট। ১৯৯৮ সালে ঢাকায় গাড়ির গতি ছিল ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) গত বছরের ৩ এপ্রিলের গবেষণা অনুযায়ী, তা কমে এখন ঘণ্টা ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার।
যানজটের কারণে হৃদযন্ত্র, ফুসফুসের রোগ হচ্ছে। শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মেজাজ খিটখিটে হওয়ার রোগ তৈরি করছে। এআরআইয়ের হিসাবে, যানজটের কারণে তৈরি স্বাস্থ্য সমস্যায় দৈনিক ক্ষতির পরিমাণ গড়ে ৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। ট্রাফিক সিগন্যালে দুর্ঘটনায় আর্থিক ক্ষতি ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
মেট্রোর নির্মাণকাজের কারণে দুর্ভোগ হয় মিরপুর এলাকায়। যানজটের কারণে মিরপুর ছেড়েছেন এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়। সেই দুঃসময় পেছনে ফেলে চালু হয়েছে মেট্রোরেল। যাত্রী নিয়ে চলছে ট্রেন। সড়কের মাঝ বরাবর মাটি থেকে ১৩ মিটার উঁচুতে নির্মিত ভায়াডাক্টে (উড়ালপথ) চলছে অত্যাধুনিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মেট্রো। যানজটে আটকা পড়ছে না। সাধারণ ট্রেনের মতো ক্রসিংয়ে পড়ছে না। শত কিলোমিটার গতিতে ঘড়ির কাঁটা মেনে চলে। যানজটের অভিশাপ থেকে মিলেছে মুক্তি।
তবে এখনই যানজট থেকে মুক্ত হচ্ছে না ঢাকা। জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী, ঢাকায় দিনে ৪ কোটি ট্রিপ হয়। এমআরটি-৬ লাইন ৪ লাখ ৮৩ হাজার ট্রিপ দিতে পারবে। অর্থাৎ, মোট ট্রিপের মাত্র ১ শতাংশের কিছু বেশি হবে ২০২৩ সালে এমআরটি-৬ লাইন পুরোপুরি চালু হওয়ার পর। তবে ২০৩০ সালে ছয়টি মেট্রোরেল চালুর পর মোট ট্রিপের ১৭ শতাংশ হবে মেট্রোতে। ততদিনের অপেক্ষায় এমআরটি-৬ এর একাংশ চালুর মাধ্যমে এক ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ।
বহুল প্রতীক্ষার মেট্রোরেলের উদ্বোধনের দিনে শুধু দিয়াবাড়ী, আগারগাঁও নয়- উৎসবের আমেজ ছিল রাজধানীজুড়ে। উদ্বোধনের দিন ট্রেনে চড়া যাবে না জেনেও দুরন্ত গতির মেট্রোরেল দেখতে ভিড় করেন হাজার হাজার মানুষ। পরদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দিয়াবাড়ী-আগারগাঁও অংশে ১০ মিনিট অন্তর চলেছে ট্রেন। পথিমধ্যে সাতটি স্টেশনে আপাতত থামছে না।

পূর্ণ সক্ষমতা নিয়ে চলবে ধাপে ধাপে। উদ্বোধনী দিনে প্রধানমন্ত্রীর যাত্রাসঙ্গী হন বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধি, নারী, আগুন সন্ত্রাসে আহত ও নিহতদের স্বজন। যানজটের শহরে অসম্ভবকে সম্ভব করে ১৭ মিনিটে দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও পৌঁছতে মেট্রোরেলকে দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে হয়েছে।
২০০৫ সালে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় ২০ বছর মেয়াদি কৌশলগত পরিকল্পনা (এসটিপি) করা হয়। তাতে যানজট নিরসনে ঢাকায় তিনটি মেট্রোরেল ও তিনটি বিআরটি নির্মাণের সুপারিশ করা হয়। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় ফেরার পর এসটিপির সমীক্ষায় দিয়াবাড়ী থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল লাইন (এমআরটি-৬) নির্মাণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।

প্রকল্প সমীক্ষা শেষে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় অনুমোদন পায়। তবে প্রকল্প বাস্তবায়নের পথ মসৃণ ছিল না। কোন্ পথে মেট্রোরেল হবে, তা নিয়ে বাধা-বিপত্তিতে তিন দফা অ্যালাইনমেন্ট বদল করা হয়। ২০১৬ সালে হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলায় মেট্রোরেলের সাত জাপানি পরামর্শক নিহত হওয়ায় নির্মাণকাজ বাধাগ্রস্ত হয়।

ওই বছরের ২৬ জুন নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। করোনা মহামারিতে কাজের গতি শ্লথ হলেও নির্ধারিত সময়, অর্থাৎ ২০২২ সালের ডিসেম্বরে চালু হয় মেট্রোরেল। এ কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। পরিকল্পনা মতে, আগামী বছরের ডিসেম্বরে মতিঝিল পর্যন্ত এবং ২০২৫ সালের জুনে কমলাপুর পর্যন্ত চলবে ট্রেন।

মেট্রোরেল সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য

নির্মাণ ব্যয় : ৩৩,৪৭২ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাইকা দিয়েছে ১৯ হাজার ৬৭৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। বাকি ১৩ হাজার ৭৯৬ কোটি ২৯ লাখ টাকা সরকারি তহবিল থেকে খরচ করা হচ্ছে। ঋণের গ্রেস পিরিয়ড ১০ বছর। পরিশোধ করতে হবে ৩০ বছরের মধ্যে। দৈর্ঘ্য-দিয়াবাড়ী থেকে কমলাপুর-২১,২৬ কি.মি. দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও ১১,৭৩ কি.মি.। স্টেশন সংখ্যা ১৭টি।
ট্রেন : এমআরটি-৬ লাইনে চলবে ২৪টি, গতি-১১০ কি.মি. ঘণ্টায়। ভ্রমণ সময়- দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও-১৭ মিনিট, মাঝের সাত স্টেশনে যাত্রাবিরতি ১০ মিনিট, দিয়াবাড়ী থেকে মতিঝিল ৩৮ মিনিট, স্টেশনে যাত্রাবিরতি ১৫ মিনিট। যাত্রীসংখ্যা- প্রতি ট্রেনে একসঙ্গে ২,৩০৮ জন। দৈনিক যাত্রী উভয় দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০,০০০, দিনে ৪,৮৩,০০০ জন। ভাড়া- ৫ টাকা/কি.মি. সর্বনিম্ন ২০ টাকা, ২০ টাকায় দুই স্টেশন ভ্রমণ, পরবর্তী প্রতি স্টেশনের জন্য ১০ টাকা। দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও ৬০ টাকা এবং দিয়াবাড়ী থেকে মতিঝিল ও কমলাপুর ১০০ টাকা।

মেট্রোরেলের উদ্বোধন নিয়ে রাজধানীর মানুষের মধ্যে ছিল বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। সড়কের আশপাশে অবস্থানের সুযোগ না থাকায় তারা দূরবর্তী ছাদে অবস্থান নিয়ে উন্মুখ হয়েছিলেন, কখন স্বপ্নের মেট্রোরেল দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও যাবে আর সেই ট্রেনটি দেখতে পারবেন। মেট্রোরেল রুটের দুই পাশের দূরবর্তী ভবনগুলোতে মানুষ সকাল থেকেই অবস্থান নিয়ে এ দৃশ্য দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে ছিলেন।

রোকেয়া সরণির শেরেবাংলা নগর থেকে পল্লবী পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল ছিল প্রায় বন্ধ। সড়কের দুইপাশের সব দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও ছিল বন্ধ। ভবনগুলোর প্রায় প্রতিটির ছাদেই ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান। মূল সড়কেও ছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সড়কের পার্শ্ববর্তী ভবনগুলোর ছাদে অবস্থান বা জানালা-দরজা খোলা ও বারান্দায় অবস্থানে ছিল নিষেধাজ্ঞা। ফলে, দূরবর্তী ভবনগুলোর ছাদগুলোতে অবস্থান নেয় উৎসুক নগরবাসী। মেট্রোরেল দেখার সঙ্গে সঙ্গে নারী-পুরুষ-শিশুরা নির্বিশেষে মেট্রোরেলের দেখা পেয়ে উল্লাসে ফেটে পড়ে।
তবে প্রথমদিকে মেট্রোরেল চলবে সীমিত পরিসরে, সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। মাঝপথে কোথাও থামছে না। প্রথমদিকে ১০ মিনিট পরপর ট্রেন চলবে। আগামী ২৬ মার্চ থেকে এই রুটে উত্তরা-আগারগাঁও রুটে মেট্রোরেল পুরোদমে চলবে। পুরোদমে চলাচল শুরু হলে চলবে ভোর থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত। যাত্রীর অভ্যস্ততার জন্য ধাপে ধাপে পথের সাতটি স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে যাত্রী ওঠানামার জন্য। তখন ১৭ মিনিট সময় লাগবে। এর মধ্যে যাত্রা বিরতির ১০ মিনিট। ট্রেনের সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা ২ হাজার ৩০৮ জন হলেও আপাতত ২০০ যাত্রী নিয়ে চলবে।
ভাড়া : মেট্রোরেলে কিলোমিটারে ভাড়া ৫ টাকা। মেট্রোরেলে সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা। দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁওয়ের ভাড়া ৬০ টাকা। কমলাপুর পর্যন্ত ভাড়া হবে ১০০ টাকা। শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ পাস নেই। ভাড়া লাগবে না যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তিন ফুটের কম উচ্চতার শিশুদের। স্মার্ট কার্ডে ভাড়া পরিশোধ করলে ১০ শতাংশ ছাড় পাবেন যাত্রীরা।
বিনা ভাড়ায় বা অতিরিক্ত ভ্রমণ করলে ১০ গুণ জরিমানা গুনতে হবে। ট্রেন ও স্টেশনে ধূমপান, পান খাওয়া নিষেধ। পোষা প্রাণী নিয়েও চড়া যাবে না মেট্রোতে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য রয়েছে নানা সুবিধা। নারী ও শিশুদের জন্যও থাকছে বিশেষ সুবিধা। মেট্রোরেল চলবে বিদ্যুতে। জাতীয় গ্রিড থেকে পাঁচটি বিকল্প সংযোগ রয়েছে। তাই লোডশেডিংয়ের শঙ্কা নেই।
টিকিট : মেট্রোরেলে দুই ধরনের টিকিটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। একটি দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারের এমআরটি পাস। অন্যটি দিয়ে চড়া যাবে একবার। শুরুতে কেবল মেট্রোরেল স্টেশনের কাউন্টার থেকে নির্দিষ্ট জামানত দিলে মিলবে এমআরটি পাস।
বাংলাদেশের চারটি মাইলফলক অর্জন : মেট্রোরেল উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশ চারটি মাইলফলক অর্জন করেছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেগুলো হলো-
১. মেট্রোরেল নিজেই একটি মাইলফলক।
২. মেট্রোরেলের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক ট্রেনের যুগে প্রবেশ করেছে দেশ।
৩. মেট্রোরেল পরিচালিত হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে, ফলে এটি হলো স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ।
৪. মেট্রোরেলের মাধ্যমে দ্রুতগতির ট্রেনের যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ।
মেট্রোরেলে নতুন করে ১২ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে জানা গেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেট্রোরেলের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে এক আধুনিক নতুন যুগের সূচনা হলো। সূচনা হলো এক স্মার্ট বাংলাদেশের। ফলে, বদলে যাবে মানুষের জীবনযাত্রার মান। সময়মতো অফিসে যাওয়া, রেলে উঠানামার সময় সতর্ক থাকা, মেট্রোরেলের সকল পরিবেশ রক্ষা করায় সচেতন হওয়া- এক নতুন শৃঙ্খল জীবনে অভ্যস্ত হওয়া।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাবে নির্মাণকাজ। আগামীতে ছড়িয়ে যাবে মেট্রোরেল শহর ছেড়ে উপশহরে-বাংলাদেশ প্রবেশ করবে শেখ হাসিনার উন্নত বাংলাদেশে।
এ অভিযাত্রার অগ্রগতি অব্যাহত রাখার স্বার্থে সরকারের পাশাপাশি জনগণের নিজেদের প্রয়োজনে দায়িত্ব হচ্ছে, একে সুরক্ষা করা এবং সহযোগিতার হাত প্রসারিত করা। যত্ন করতে হবে রেল, স্টেশন, টিকিট সংগ্রহের সকল সিস্টেম। মেনে চলতে হবে সকল নিয়ম, যাতে বাধাহীন চলতে পারে স্বপ্নের মেট্রোরেল। ঐক্যবদ্ধ বাঙালি জাতির রয়েছে অনেক সাফল্যগাথা, অনেক বিজয়ের কাহিনী। বাংলাদেশের মানুষের মাথায় আরেকটি উন্নয়নের পালক পরিয়ে দেওয়ার জন্য নাগরিকদের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে, ধন্যবাদ সরকারকে।  

লেখক : সাবেক উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়

×