গত বছর এই সময়টায় ঢাকায় বেশ শীত পড়েছিল, তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল দশের নিচে। এবার কোন কোন রাতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকছে ১৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তার মানে আশানুরূপ শীত পড়ছে না। মাঘ আসতে আর এক সপ্তাহেরও কম সময়। অথচ দিনের বেলা গরমে ফ্যান ছাড়তেও হচ্ছে। তবে ঢাকার বাইরে বেশ শীত। শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচী হাতে নেন অনেকেই। এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সেটি সেভাবে চালু হয়নি। এই সুযোগে সবার কাছে এই আবেদনটুকু পৌঁছে দিতে চাইÑ আপনারা সাধ্যমতো শীতবস্ত্র দান করুন। যেসব সংগঠন শীতের কাপড় বিতরণের কাজে যুক্ত হবে, তাদের পাশে এসে দাঁড়ান। শীতে বাংলাদেশের একজন মানুষও যেন কষ্ট না পায়।
ঢাকা দেশের রাজধানী বলেই দেশের কোন প্রান্তে বড় ধরনের অন্যায় সংঘটিত হলে তার বিরাট প্রভাব পড়ে এই মহানগরেই। নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের প্রতিবাদ ও দ্রুত ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়ে শাহবাগে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতার লক্ষ্যে কাজ করা সংগঠন ‘যৌন নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীজোট’। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুধু ক্ষোভ ও প্রতিবাদেই ফেটে পড়েনি তরুণ প্রজন্ম, তাদের উদ্যোগে শাহবাগে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রতিবাদী সমাবেশ, চলছে প্রতিবাদ জানানো। ঢাকা যে এখনও তার প্রতিবাদী সত্তা সমুন্নত রেখেছে, এসব তারই উজ্জ্বল উদাহরণ। ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে নারীমুক্তি কেন্দ্রের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকায়। এছাড়াও কয়েকটি নারীসংগঠন প্রতিবাদ জানায়। একথা বলা দরকার, অপরাধ যেই করুক, তার রাজনৈতিক পরিচয় যেটাই হোক সে কিছুতেই ছাড় পেতে পারে না। সরকার এই জঘন্য অপরাধের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। ইতোমধ্যে সাতজন আসামীকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে, আইনের আওতায় নেয়া হয়েছে অভিযুক্ত আরো দুজনকে।
ধূলিধূসর উত্তরার প্রধান পয়েন্ট
উত্তরার একটি প্রধান ও ব্যস্ত পয়েন্ট হলো হাউস বিল্ডিং মোড়। দেশের উত্তরাঞ্চল এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে ঢাকা মহানগরীর উত্তর প্রান্ত থেকে রাজধানীতে প্রবেশের প্রধান কেন্দ্রস্থলও বলা যেতে পারে এটিকে। তাই গাড়ির চলাচল এক মুহূর্তের জন্যও বন্ধ থাকে না এখানে। তাছাড়া ঢাকার সবচেয়ে জনবহুল এলাকা উত্তরার প্রায় এক চর্তুথাংশ লোককে উত্তরার বাইরে যেতে হলে এই মোড়টি ব্যবহার করতে হয়। আর ঢাকার বাইরে গেলে শতভাগ মানুষকে এই পথটুকু পেরুতে হয়। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানেই চলছে মেট্রোরেলের কাজ, ফলে অর্ধেকটা সংকুচিত হয়ে পড়েছে। অত্যন্ত সীমাবদ্ধ একটি পরিসর দিয়ে প্রতি মুহূর্তে অতিক্রম করছে দূরপাল্লার নানা ধরনের যান। ব্যক্তিগত গাড়ির কথা না হয় বাদই দিলাম। ফলে সারাক্ষণই এখানে ধুলায় আচ্ছন্ন থাকছে চারপাশ। পুরু ধুলো আস্তে আস্তে সরে যাচ্ছে মূল কেন্দ্রের সামনে ও পেছনে। নাকে কাপড় না গুজে পথ চলা দায়। অথচ এই জায়গাটুকুতে নিয়মিত বিরতিতে পানি ছিটানো হলে এলাকাবাসী ও ঢাকায় প্রবেশকারী মানুষ স্বস্তি বোধ করবেন। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণের আশায়। এছাড়া যথাযথ সুরক্ষা না নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজও চলছে। এটির অবসানও কাম্য।
বলাবাহুল্য রাজধানীর প্রায় সব প্রধান সড়কের বেশিরভাগ সারা বছরই থাকে ধূলিধূসর। এতে যানবাহনের যাত্রীর পাশাপাশি ভোগান্তিতে পড়ছে এলাকাবাসী। রাস্তার ধুলা দূর করতে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের আছে তেরোটি পানির গাড়ি। তবে এগুলো কাজ করছে এমন দৃশ্য খুব একটা চোখে পড়ে না নগরবাসীর। দুই সিটির কর্মকর্তারা গণমাধ্যমে স্বীকার করেছিলেন শীতের সময় ছাড়া রাস্তায় নামে না গাড়িগুলো। দক্ষিণ ঢাকায় রাস্তায় পানি ছিটানোর গাড়ি আছে ৯টি, আর উত্তরে আছে চারটি। ঢাকাতে নতুন গাড়ি কেনার উদ্যোগও নেয়া হয়েছে।
ধুলার রাজত্বে অসহায় হয়ে পড়েছেন রাজধানীবাসী। ধুলার কারণে একদিকে বেড়েছে ভোগান্তি, অন্যদিকে রোগবালাই। নগরীর বিভিন্ন স্থানে মেট্রোরেলের কাজ, রাস্তা সংস্কার কিংবা উন্নয়নের নামে খোঁড়াখুঁড়ি চলছে উন্মুক্তভাবে। নিয়ম অনুযায়ী নির্মাণ এলাকা ঘেরাও করে কাজ করার কথা থাকলেও তা না কওে বেশ কয়েকটি এলাকায় মাটি, বালি, পাথর ইত্যাদি রাস্তার ওপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হচ্ছে দিনের পর দিন। গাড়ির চাকায় সেগুলো পিষ্ট হয়ে ধুলা ছড়িয়ে পড়ছে বাতাসে। বিশেষজ্ঞ মতে, ঢাকার বাতাসে ধুলার দূষণ অতীতের সব মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এর ফলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে রাজধানীবাসী। বিশেষ করে নির্মাণ এলাকার বাসিন্দা ও পথচারীদের দীর্ঘমেয়াদে ফুসফুসের ক্যান্সার, শ্বাসকষ্টসহ জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে শিশুরা রয়েছে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে। এক ক্যান্সার গবেষক গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সারের (আইএআরসি) এক গবেষণায় দূষিত বাতাসে ৯৭০টি সিনথেটিক কেমিক্যাল নিরূপণ করা সম্ভব হয়েছেÑ যেগুলোর মধ্যে ৪৬৪টি কেমিক্যালের কারণে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তিনি বলেন, রাজধানীর বাতাসে ধুলার পরিমাণ এখন ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে। এই ধুলাযুক্ত বাতাস গ্রহণের ফলে প্রাথমিকভাবে শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে এর ক্ষতি হবে অনেক বেশি। অনেক রাসায়নিক উপাদান ধুলার সঙ্গে বাতাসে উড়তে থাকে। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে মানুষের শরীরে গিয়ে ধীরে ধীরে ফুসফুসে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। সময় বদলেছে। এসবেরও পরিবর্তন প্রয়োজন। সেজন্যে জরুরি সুদূরপ্রসারি যথাযথ উদ্যোগ।
ঐতিহ্য জাদুঘরের বিশেষ আকর্ষণ
বহু প্রতীক্ষার পর দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত হলো ঢাকার ঐতিহ্য জাদুঘর। এশিয়াটিক সোসাইটির ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে জাদুঘরটি সর্বসাধারণের পরিদর্শনের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এই জাদুঘর প্রতি শুক্রবার ও শনিবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত খোলা থাকবে। শুক্রবার দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত নামাজের বিরতি। পরিদর্শনের জন্য দর্শকের প্রবেশ মূল্য ২০ টাকা এবং শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে ১০ টাকা। বিদেশী দর্শকের জন্য প্রবেশ মূল্য ২০০ টাকা। ঢাকার আদি নবাবদের স্মৃতিবিজড়িত নিমতলী প্রাসাদ বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার ঐতিহ্যবাহী এই স্থাপনাকে সংরক্ষণ করে তাতে ১৭০০ থেকে ১৯০০ শতাব্দীর সময়কালের ইতিহাস ও ঐতিহ্য স্থাপন করা হয়েছে। এই ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাটিকে জাদুঘরে রূপান্তরের পাশাপাশি এটিকে শিক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান, গবেষণা ও সংস্কৃতিককেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। এ পর্যন্ত নবাবি আমলের ৩৪টি নিদর্শন সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে সব শ্রেণীর দর্শকের কাছে বিশেষ আকর্র্ষণ হয়ে উঠবে বোধকরি নবাব নুসরত জঙ্গের দরবারের একটি ছবির অনুসরণে দরবারের একটি ডিওরমা (ছবি দেখুন)। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দেওয়ানি পাকাপোক্ত হওয়ার পরে নায়েব নাজিমরা নামমাত্র পদাধিকারী হয়ে পড়েন। কোন ক্ষমতাই ছিল না তাঁদের। কোম্পানির ভাতায় তাঁদের দিন চলত। তারপরও তাঁরা অতীতের আভিজাত্য ধরে রাখতে দরবার বসাতেন। মামুলি কিছু বিচার-আচারের চেষ্টা করতেন। ক্ষমতা না থাকলেও নবাবেরা ছিলেন শিল্প-সংস্কৃতির গভীর অনুরাগী। বিশেষ করে জসরত খানের পৃষ্ঠপোষকতায় নিমতলী প্রাসাদে নিয়মিতই গানবাজনা-নৃত্যের আয়োজন হতো। চিত্রকলা প্রদর্শনী হতো। ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ঈদের মিছিলটিও হতো নিমতলী প্রাসাদ থেকেই। তার কিছু কিছু নিদর্শন দেখতে পাবেন আজকের ঢাকাবাসী। তাদের বসবাসের শহরটির আদি রূপ কিছুটা হলেও প্রত্যক্ষ করে কালের বিবর্তনে বিচিত্রভাবে বদলে যাওয়ার স্বরূপটিও নতুন করে অনুধাবনের সুযোগ পাবেন। এখানেই ঐতিহ্য জাদুঘর স্থাপনের গুরুত্ব।
উল্লেখ করার মতো কবিসমাবেশ
ঢাকায় এখন আর আগের মতো কবি-লেখকদের আড্ডার নির্দিষ্ট স্থান নেই। কখনও কোন বইপাড়ায় কখনবা কোন লেখকের বাসায় আড্ডা বসে। আশির দশকের শেষ থেকে মাঝ নব্বই পর্যন্ত বছরগুলোয় তিন কবিÑ শামসুর রাহমান, সিকদার আমিনুল হক আর রুবী রহমানের বাসায় বেশ কটি আড্ডার স্মৃতি আমার জীবনের মূল্যবান সঞ্চয়। সেসব আড্ডায় কেউ কবিতা পড়তেন বলে স্মরণে নেই। নিখাঁদ বসতো গালগল্পের আসর, আর পানাহার। হাসি-ঠাট্টা হতো, তার মাঝখানে সাহিত্যের সিরিয়াস প্রসঙ্গও উঠে আসত। এখনকার আড্ডাগুলোয় যোগ হয়েছে স্বরচিত কবিতাপাঠ এবং সঙ্গীত পরিবেশনা। ধানমন্ডিতে কবি রুবী রহমানের বাসায় বছরে অন্তত একবার কবিসমাবেশ ঘটে আসছে বিগত কয়েক বছর ধরে। গত শনিবার সন্ধ্যায় তাঁর বাসায় কুড়িজনের মতো কবি মিলিত হয়েছিলেন। আসাদ চৌধুরীর মতো সিনিয়র কবি থেকে শুরু করে তরুণতর পিয়াস মজিদ পর্যন্ত নানা দশকের এই কবিসমাবেশে প্রত্যেকেই কয়েকটি করে কবিতা পড়ে শোনান। এমনকি কথাসাহিত্যিক হিসেবে পরিচিত আনোয়ারা সৈয়দ হকও শোনান নিজের লেখা কবিতা। সবশেষে ছিল নৈশভোজ। সব মিলিয়ে দারুণ প্রাণসঞ্চারি এক আয়োজন। ঘরোয়া কবিতা পাঠের আয়োজনে মগ্ন হয়ে কবিতা শোনা যায়, মন্তব্য-প্রতিক্রিয়া জানানোর সুযোগ থাকে। আসলেই কবিতা হাটের জিনিষ নয়। এ ধরনের সম্মিলনীতে তরুণ-প্রবীণ লেখকদের মধ্যে একটা সাঁকো গড়ে ওঠে। ব্যক্তিগত পরিচয় এবং দেখাসাক্ষাত একে অপরকে কাছে আনে। পরস্পরের সদ্য সৃজনকর্ম সম্মন্ধেও ধারণালাভ ঘটে। আসরে কেউ কেউ বলাবলি করছিলেন বহুকাল ঢাকায় এমন ঘরোয়া কবিসমাবেশ হয় না। সত্যি বলতে কি, অনেক অনুষ্ঠানেও একসঙ্গে এত কবিকে পাওয়া যায় না।
কবি তারিক সুজাতের কবিতায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দুর্দশা, পিয়াস মজিদের কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশের জীবনের ঘটনা হৃদয়স্পর্শীভাবে উঠে আসে। কিশোরগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষায় লেখা কবিতা শোনান রহিমা আখতার কল্পনা। তাঁর পুত্র দেবাশীষ কায়সার পরিবেশন করেন সংগীত। কবিতা পড়লেন আসাদ মান্নান, মুহাম্মদ সামাদ, মাসুদুজ্জামান, দিলারা হাফিজ, মিনার মনসুর, সাজ্জাদ শরিফ, এনায়েত কবীর, শাহনাজ পারভীন, মুম রহমান, ওবায়েদ আকাশ, সাকিরা পারভীন, সাবেরা তাবাসসুম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অনুবাদক আলম খোরশেদ ও কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক। একটা বিষয় বেশ লক্ষণীয়Ñ প্রত্যেক কবিই আজকাল ভাল আবৃত্তি করছেন। সেখানে আঞ্চলিকতার টান কিংবা ভুল উচ্চারণ, অনাকর্ষণীয় বাচন একেবারে অনুপস্থিত। সবশেষে হোস্ট কবি রুবী রহমানের কবিতা শোনার সৌভাগ্য হলো। ‘তমোহর’ কাব্য থেকে তাঁর কবিতা পাঠের সময় এবারও বারবার চোখ চলে যাচ্ছিল দেয়ালের দুটি ছবির দিকে, আর চোখ ভিজে উঠছিল। অনেকেই জানেন এক দশক আগে কবির লালমাটিয়ার বাসায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে প্রাণ হারান কবির স্বামী কমরেড নূরুল ইসলাম ও ছেলে তমোহর। বলাবাহুল্য তাঁর পঠিত দুটি কবিতায় এ দুজনের উপস্থিতির কারণে উভয়ের মুখই ভেসে উঠছিল আমাদের কারো কারো মানসপর্দায়।
শুক্রবার মসজিদের ভিড়
ঢাকায় যতো মসজিদ রয়েছে পৃথিবীর আর কোনো শহরে বোধকরি ততোটা নেই। এখনও ফিবছর ঢাকার কোথাও না কোথাও মসজিদ নির্মিত হচ্ছে। আবার কোথাওবা মসজিদ সম্প্রসারিত হচ্ছে। একতলা মসজিদ হয়ে যাচ্ছে দোতলা বা তিনতলা। যারা ঘরে নামাজ পড়েন এবং যারা নিয়মিত নামাজ পড়তে পারেন না তাদের মধ্যেও শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়ার আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। এখনও বহু পরিবারের অল্পবয়সী ছেলেরা সপ্তাহে এই একটি দিনের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে যায়। ঢাকায় তাই প্রত্যেকটি মসজিদেই জুম্মার নামাজের সময় অতিরিক্ত সমাবেশ লক্ষ্য করা যায়। আমাদের এলাকার মসজিদটি যথেষ্ট বড়, তারপরও নামাজিদের স্থান সংকুলানের জন্য এটি ত্রিতল পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়েছে। তাতেও জায়গা হচ্ছে না। ফলে প্রধান সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে রাস্তার ওপর কয়েকটি সারি করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে সেখানেও স্থান সংকুলান হলো না। ফলে গলির ভেতর সারিসারি বহুতল ভবনের সামনের রাস্তার ওপর নামাজিরা দাঁড়িয়ে গেলেন।
৬ জানুয়ারি ২০১৯
[email protected]
শীর্ষ সংবাদ: