ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ২৩ নাবিক, পরিবারে নেই ঈদ আনন্দ 

প্রকাশিত: ১১:০৫, ১০ এপ্রিল ২০২৪

জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ২৩ নাবিক, পরিবারে নেই ঈদ আনন্দ 

জিম্মি পরিবারের সদস্যরা

সোমালিয়ায় জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এমভি আব্দুল্লাহর কোনো নাবিক পরিবারেই দোলা দিতে পারেনি এবারের ঈদ। আপনজনরা ফিরলে কেটে যেত প্রায় ১ মাসের সব কষ্টগাঁথা। ছোট ছেলে আইনুল। ৫ হাজার নটিক্যাল মাইলের বেশি দূরে সোমালিয়ায় জলদস্যুদের হাতে জিম্মি। যার জন্য প্রহর গুনছেন মা লুৎফে আরা বেগম। 

২০১৬ সাল থেকে নাবিক জীবনে সবসময় পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দে মেতে উঠতে পারেননি আইনুল। তা মেনেও নিয়েছেন স্বজনরা। কিন্তু এবারের রূঢ় বাস্তবতাকে কোনভাবেই মানতে পারছেন না মা। বড় ছেলে বন্দীদশায় থাকায় নিজেকে মুক্ত ভাবতে পারছেন না লুৎফে আরা। তাই কেনা হয়নি নতুন পোশাক। নেই ঈদের কোন প্রস্তুতিও।

আরও পড়ুন : বাস মালিকদের সতর্ক করলেন মাশরাফি

এমভি আব্দুল্লাহর অয়লার আইনুল হক অভির মা লুৎফে আরা বেগম জানান, ওরা স্বাভাবিকভাবে বাইরে থাকে সেটা আমরা মেনে নেই। ওরা এখন জলদস্যদের কাছে বন্দী আছে। এখন আমাদের অনুভূতি আগের সঙ্গে এটার কোনো মিল নেই। আমাদের ছেলেরা এখন বন্দী। একই হাহাকার এমভি আব্দুল্লাহর ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভিরের ঘরেও। মা জোছনা বেগমের আশা ছিল ঈদের আগেই ঘরে ফিরবে বুকের ধন। তা আর না হওয়ায় আনন্দ যেন ফিকে।

এমভি আব্দুল্লাহর ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভির আহমেদের মা জোছনা বেগম জানান, আমার মনে হয় আমার এই জীবনে প্রথম এই পরিস্থিতিতে ঈদ করবো। আমার নিজের জন্য না হয় অন্য কারো জন্য হলেও ১৫ থেকে ২০ বার মার্কেটে যাই। এবার একবারও যাইনি।   

নিরানন্দের এই ঈদ এসেছে এবার এমভি আব্দুল্লাহর বাকি ২১ নাবিকের ঘরেও। সবার পরিবারে যেখানে ঈদের আনন্দে ভরে ওঠার কথা, সেখানে এখন অনেকটাই শূন্যতা। যদিও তা দূর করার চেষ্টা করেছিল জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপ। তবে, দস্যুদের সঙ্গে আলোচনায় বেশ অগ্রগতি হলেও এখনো হয়নি পুরোপুরি ফয়সালা। গত ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে ছিনতাইয়ের শিকার হয় এমভি আবদুল্লাহ। যেটি এখন রয়েছে দেশটির উপকূলে।  

এস

×