ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

জিও ব্যাগ ফেলে রক্ষার চেষ্টা

টাঙ্গাইল শহর রক্ষা বাঁধ হুমকির মুখে

প্রকাশিত: ০০:৪৫, ২৬ জুলাই ২০২০

টাঙ্গাইল শহর রক্ষা বাঁধ হুমকির মুখে

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ২৫ জুলাই ॥ টাঙ্গাইল শহর রক্ষা বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। গত দুই দিনের ভাঙ্গনে সদর উপজেলার শিবপুর পাছ বেথর এলাকায় পুংলী নদীর পাশে বাঁধের ২৫০ মিটার ভেঙ্গে গেছে। ভাঙ্গন ঠেকাতে আপদকালীন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রতিদিনই ফেলছে জিও ব্যাগ। এ পর্যন্ত রাস্তার কিছু অংশসহ বাঁধ অনেকটাই ভেঙ্গে গেছে। টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, টাঙ্গাইল শহরকে রক্ষার করার জন্য ও ভাঙ্গন প্রতিরোধে পুংলী নদীর পাশে ২৫০ মিটারের মধ্যে ১২ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। এতে বাঁধ হুমকির মুখ থেকে রক্ষা পাবে বলে আশা করছি। এদিকে টাঙ্গাইলে বন্যা পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে বন্যার পানি টাঙ্গাইল শহরে ঢুকে পড়েছে। ইতোমধ্যে পৌর শহরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে চরম আকার ধারণ করেছে। বৃষ্টির সঙ্গে বন্যার পানি একাকার হয়ে টাঙ্গাইল শহরের বাস টার্মিনাল থেকে কোর্ট মসজিদ হয়ে মেডিক্যাল কলেজের পেছনের সড়ক, মক্কা আই সেন্টার থেকে কোদালিয়া হয়ে রাবনা বাইপাস পর্যন্ত সড়ক, দেওলা প্রধান সড়কের পাশের প্রতিটি অভ্যন্তরীণ সড়ক, খাদ্যগুদাম থেকে মীরের বেতকা, বৈল্যা ব্রিজের পর থেকে এনায়েতপুর সড়ক এবং পৌরসভার চরজানা ও মীরের বেতকা এলাকা পুরোটাই পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ব্যতীত অভ্যন্তরীণ প্রায় সড়কেই বন্যার পানি হানা দিয়েছে। এদিকে, গত কয়েক দিনে যমুনায় পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধলেশ্বরী ও ঝিনাই নদীসহ জেলার অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে প্রতিদিনই পানি বাড়ছে। ফলে জেলার গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট, ছোট ছোট ব্রিজ-কালভার্ট ও ব্রিজে ওঠার মাটি ধসে বন্যার পানি প্রবাহিত হয়ে জনপদ প্লাবিত হচ্ছে। বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি, পুকুর ও পোল্ট্রি খামারে পানি ঢুকে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে। জেলার অধিকাংশ হাট-বাজারে পানি উঠায় ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে বন্যাকবলিত এলাকায় পানিবাহিত রোগব্যাধিসহ খাবার পানি ও খাদ্যসঙ্কট দেখা দিয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্র ও উঁচু সড়কের পাশে অবস্থান নেয়া বন্যার্তরা শিশুখাদ্য ও গো-খাদ্যের চরম সঙ্কটে ভুগছেন। জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী বানভাসি মানুষের জন্য ৪০০ মে.টন জিআর চাল ও নগদ ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া শিশুখাদ্যের জন্য দুই লাখ ও গোখাদ্যের জন্য দুই লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়ে বিতরণ করা হচ্ছে।
×