সংবাদদাতা, সৈয়দপুর, ১৩ জুন ॥ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি মর্মান্তিক অধ্যায়ের কালো দিন ছিল ১৩ জুন। সৈয়দপুরের অবাঙালী অধ্যুষিত এ জনপদে সামরিক বাহিনী ও তাদের দোসররা জীবন বাঁচানোর মিথ্যে প্রলোভন দিয়ে একটি ট্রেনে উঠিয়ে প্রায় ৫ শ’ নারী,পুরুষ,শিশু,বৃদ্ধকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। যা গোলাহাট ট্রেন ট্র্যাজেডি নামে ইতিহাসে স্থান পেয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে শুধু মোমবাতি প্রজা¡লনের মধ্য দিয়ে দিবসটি নীরবেই পালন করা হয়েছে। ১৯৭১ সালে সৈয়দপুরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে দুটি জঘন্যতম গণহত্যা সংঘটিত হয়। একটি সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ফার্নেস চুল্লিতে কয়েক শ’ বাঙালীকে পুড়িয়ে মারা, অপরটি ভারতে পাঠিয়ে দেয়ার নাম করে সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে এককিলোমিটার দূরে গোলাহাট নামক স্থানে ৪১৩ হিন্দু মাড়োয়ারি, বাঙালী হিন্দু যুবককে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এছাড়া নারীদের আস্তানা ই হক ভবনে অমানুষিক নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়। পাকসেনারা এ গণহত্যার নাম দিয়েছিল, ‘অপারেশন খরচাখাতা’; যা ‘গোলাহাট গণহত্যা’ নামে পরিচিত।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: