জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ অসুর দমন এবং শিষ্টের পালন- দুর্গাপূজার এই শিক্ষা কাজে লাগিয়ে ব্যক্তি জীবন ও সমাজ থেকে অন্যায়-অনাচার দূর করতে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। শুক্রবার রাজধানীতে তিনটি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান। খবর বিডিনিউজের।
তিনি বলেন, ‘শারদীয় দুর্গোৎসব অসুর দমন ও শিষ্টের পালনের শিক্ষা দেয়। এই চেতনা কাজে লাগিয়ে ব্যক্তি ও সমাজ জীবন থেকে অন্যায়-অবিচার দূর করতে হবে। আসুরিক চেতনার বিনাশ করে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’ রাষ্ট্রপতি বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা একটি সার্বজনীন উৎসব। এই উৎসব বাংলাদেশের ঐতিহ্য। সারাদেশে উৎসব মুখর পরিবেশে এই উৎসব পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রকৃষ্ট উদাহরণ। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সকলকে দেশ গঠনে এগিয়ে আসতে হবে। শারদীয়া দুর্গাপূজা পরিদর্শনে রাষ্ট্রপতি হামিদ প্রথমে যান রামকৃষ্ণ মিশনে। সেখানে তাকে স্বাগত জানান ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ।
রামকৃষ্ণ মিশনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতিকে সেখানে শাল ও বই উপহার দেয়া হয়। পরে রাষ্ট্রপতি ঢাকেশ্বরী মন্দিরের পূজামণ্ডপে গেলে নৃত্য ও বাদ্যের তালে তালে তাকে স্বাগত জানানো হয়। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজী সেলিম, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত, মহানগর পূজা কমিটির সভাপতি শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদার সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
পরে রাষ্ট্রপতি গুলশান-বনানী পূজামণ্ডপে যান। সেখানে তাকে স্বাগত জানান স্থানীয় সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশনের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুধাংশু কুমার দাস। পূজামণ্ডপে শঙ্খধ্বনির মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিকে বরণ করা হয়। রাষ্ট্রপতি মণ্ডপে আগতদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। পূজা কমিটির পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতিকে নাড়ু, মোয়া, বিভিন্ন রকম মিষ্টি ও ফল দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
‘ইত্যাদি’র অতিথি রাষ্ট্রপতি ॥ এদিকে বাংলা নিউজ জানায়, বিটিভির জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদির এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের হাওড়ের মধ্যে দ্বীপের মতো ভেসে থাকা মিঠামইনের হামিদ পল্লীতে। এবারের পর্বে সেখানকার হাওড় অঞ্চলের জীবন-জীবিকা, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তুলে ধরা হয়েছে। জলে ও ডাঙ্গায় শতাধিক নৌকা রেখে নির্মাণ করা হয় নান্দনিক মঞ্চ।
ইত্যাদির এবারের পর্বে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদও দেন বিশেষ সাক্ষাতকার। তিনি বলেছেন, তখনকার আর এখনকার হাওড় সম্পর্কে তার উপলব্ধির কথা। সাধারণ মানুষের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা। তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধিদের ভবিষ্যত চলার পথের কথা, মানুষের প্রতি মানুষের বিশ্বাসের কথা। বলেছেন ‘ইত্যাদি’কে ভালবাসার কথা।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: