ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

নীলফামারীতে দুই স্কুল মাঠ যেন পুকুর॥ চরম ভোগান্তি

প্রকাশিত: ০৯:২৬, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

নীলফামারীতে দুই স্কুল মাঠ যেন পুকুর॥ চরম ভোগান্তি

তাহমিন হক ববী, নীলফামারী ॥ দেখলে মনে হবে, বন্যায় প্লাবিত এলাকা অথবা কোন জলাশয়। তার পাশেই দুইটি বিদ্যালয়। দুই বিদ্যালয়ে ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। জলাবদ্ধ জায়গাটি বিদ্যালয় দুইটির খেলার মাঠ ও প্রবেশ পথ। বছরের যে কোন সময় বৃষ্টি নামলেই মাঠটি জলাশয়ে পরিণত হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়ে ছাত্রছাত্রী। এ নিয়ে নজর নেই কর্তৃপক্ষের। বিদ্যালয় দুইটির অবস্থান জেলা সদরের চওড়াবড়গাছা ইউনিয়নে। দুই বিদ্যালয়ের মধ্যে একটি নতিবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় অপরটি নতিবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়। বৃষ্টির পানিতে মাঠ প্লাবিত হয়ে পড়লেই স্কুল দুইটি শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা ও প্রতিদিনের সমাবেশ (এ্যাসেম্বলি) থেকে বঞ্চিত হতে হয়। শুধু তাই নয় মাঠটি ওই ইউনিয়নের একমাত্র খেলার মাঠ। বুধবার সরেজমিনে দেখা যায় বিদ্যালয় দুটির পুরো মাঠ পানিতে থইথই করছে। ছাত্রছাত্রীরা তাদের প্যান্ট, পায়জামা গুটিয়ে স্কুলে যায়। এভাবেই তারা স্কুলে যাওয়া-আসা করে। ছাত্রীদের কাপড় ভিজে যাচ্ছে। তবে শরীরে কাদাপানি লাগায় তারা বেশিক্ষণ স্বস্তিতে ছিল না। ভেজা কাপড়ে অস্বস্তিতে ক্লাসে বসে থাকতে হচ্ছিল। কয়েক শিক্ষক জানান, এতে একদিকে শিক্ষার্থীরা ক্লাসের পড়ালেখায় মনোযোগ দিতে পারে না। অন্যদিকে দিনের পর দিন এভাবে ভেজার কারণে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। অনেকে জানান, বিদ্যালয়ের সীমানার বাইরে নতুন নতুন বাসাবাড়ি নির্মাণ হওয়ায় মাঠের পানি নিষ্কাশন হয় না। অপরিকল্পিতভাবে বসতভিটা নির্মাণের কারণে এমনটি হচ্ছে। সেখানকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছিরুল ইসলাম জানান, বর্তমানে প্রায় ২৩৬ ছাত্রছাত্রী লেখাপড়া করছে। বিদ্যালয়ের মাঠটি খানিকটা নিচু হওয়ায় বৃষ্টির পানিতে ডুবে আছে। মাঠটি ভরাট করার জন্য একাধিকবার উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করা হলেও কোন ফল হয়নি। একই কথা বললেন সেখানকার হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোতাহার হোসেন। তিনি জানান, তার স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ২৫০ জন। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, বৃষ্টি নামলেই রক্ষা নেই। স্কুলের মাঠ ও যাওয়া-আসার পথটি হাঁটুপানিতে জমে থাকে। এতে আমরা খেলাধুলাসহ স্বাভাবিক হাঁটাচলাও করতে পারি না। স্কুলে এসে সারাদিন কক্ষে বন্দী হয়ে থাকতে হয়। এলাকার অভিভাবকরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে দুই বিদ্যালয়ের মাঠের এমন বেহাল দশা। উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হলেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ বলেন, উপজেলা পরিষদের বরাদ্দ কম, বিষয়টি আমরা স্থানীয় সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নুরের সহযোগিতা কামনা করেছি। আশা করি, অচিরেই স্কুল দুটির মাঠের জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য নালা নির্মাণ করা হবে।
×