চবি সংবাদদাতা ॥ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ৩৩৯ কোটি ১৮ লাখ টাকার বাজেট পেশ করা হয়েছে। বরাবরের মতোই এবারও শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতাকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। এদিকে গবেষণা খাতে বরাদ্দ মাত্র ২ কোটি ১৩ লাখ; যা মোট বাজেটের মাত্র শূন্য দশমিক ৬৩ শতাংশ।
শনিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে ৩১তম সিনেট সভায় এই বাজেট উপস্থাপন করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমদ। চলতি অর্থবছরে প্রস্তাবিত মূল বাজেট ৫০৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা চাহিদার অনুকূলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাব্য নিজস্ব আয় ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকাসহ মোট ৩৩২ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। বাস্তবতা যাচাই-বাছাই করে ৩৩৯ কোটি ১৮ লাখ টাকার বাজেট প্রণয়ন করা হয়। মোট বাজেটের মধ্যে ৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যয় ধরা হয়েছে।
বাজেট অধিবেশনের বক্তব্যে উপাচার্য (দায়িত্বপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. শিরীন আখতার বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদার তুলনায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে প্রাপ্ত বাজেট অপ্রতুল। তাই আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ উৎস হতে আরও আয়ের ব্যবস্থা করতে চাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বাৎসরিক ফিস আদায় করা হয় ১৭৭৫ টাকা এবং জনপ্রতি শিক্ষার্থীর পেছনে বাৎসরিক ব্যয় ১ লাখ ৯ হাজার ৭৭৪ টাকা।’ সভায় প্রাক্তন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, চাহিদার তুলনায় গবেষণা বাজেট খুবই অপ্রতুল। গবেষণা খাতে বরাদ্দ আরও বাড়াতে হবে। উক্ত সভায় চাকসু নির্বাচনের দাবি জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও বর্তমানে এমপি ওয়াসিকা আয়েশা খান ।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: