ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের আহ্বান

নির্বাচনে স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তিকে রুখে দাঁড়ান

প্রকাশিত: ০৬:০১, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮

নির্বাচনে স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তিকে রুখে দাঁড়ান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় নির্বাচনে স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রার্থীদের ভোট দেয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানরা। তারা বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বাধীনতা বিরোধী ও স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তির মধ্যে লড়াই হবে। এবারের নির্বাচন স্বাধীনতা সপক্ষের আপামর জনগণের জন্য অগ্নি পরীক্ষা। স্বাধীনতার সপক্ষের মহাজোটের নেতৃত্বে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় এলে দেশ আবার পাকিস্তানী এজেন্টদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। ব্যাহত হবে উন্নয়নের ধারা, দেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে। বেড়ে যাবে আগুন সন্ত্রাস, দুর্নীতি, জঙ্গী ও সহিংস উগ্রবাদের মাত্রা। আর যুদ্ধাপরাধী ও তাদের সন্তানদের গাড়িতে লাখো শহীদ ও মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের পতাকা উড়বে, যা হবে দেশের স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্য অপমান ও লজ্জার। নৌকায় ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে দেশ ও স্বাধীনতাবিরোধীদের ষড়যন্ত্রের উন্মুক্ত জবাব দিতে হবে। মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘ন্যাশনাল ফ্রিডম ফাইটার্স ফাউন্ডেশন আয়োজিত’ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বস্তরের মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের ভূমিকা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মোঃ শামছুল হুদা, সুবেদা আবদুল ওহাব, বীর প্রতীক, ন্যাশনাল এফ এফ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. এস এম জাহাঙ্গীর আলম ও মহাসচিব মেঃ মহিউদ্দিন আহমেদ, মোঃ আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ডের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মোঃ নজরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ফাউন্ডেশনের নেত্রী লামিয়া খানম প্রমুখ। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রার্থীদের ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বিচারপতি মোঃ শামছুল হুদা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছে বাংলাদেশ। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ। বসে থাকার সময় নেই। প্রত্যেক স্বাধীনতাকামী মানুষের উচিত স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির মোকাবেলা করা। তাদের বিরুদ্ধে ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে আসুন তাদের আরেকবার পরাজিত করি। সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধে বলা হয়েছে, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির কাছ থেকে দেশকে রক্ষা করতে এবং চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে আহ্বান জানিয়েছেন। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানরা নির্বাচনী মাঠে কাজ করছেন। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় থাকলেই মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানরা সম্মানিত হয়, বেঁচে থাকার অবলম্বন খুঁজে পায় এবং সংরক্ষিত থাকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস। আওয়ামী লীগ ক্ষমতার আসার পর দেশের সব সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, যা দেশে ও আন্তর্জাতিক মহলে আজ প্রশংসিত ও স্বীকৃত। অন্যদিকে, দেশের উন্নয়ন ব্যাহত করতে, দেশকে অন্ধকারে পরিচালিত করতে রাজাকার, জামায়াত, শিবিরসহ স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিরা হয়েছে একত্রিত। এমন অবস্থায় দেশপ্রেমিক আপামর জনগণের বসে থাকার সময় নেই। পাকিস্তানী আদর্শে পরিচালিত স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে সম্মিলিতভাবে রুখে দিতে হবে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনেই তাদের আগ্রাসনের যথোপযুক্ত জবাব দেয়া সম্ভব। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, সহিংস উগ্রবাদ সৃষ্টিতে বিগত সময়ে বিএনপি-জামায়াতের সম্পৃক্ততাই বিষয়টি দেশবাসী অবগত। দেশের সাধারণ মানুষ সব সময় উগ্রবাদ, জঙ্গী ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। বিগত বিএনপি-জামায়াত সরকারের মদদপুষ্ট বাংলা ভাই, হুজিসহ বিভিন্ন সহিংস উগ্রবাদী ও জঙ্গী সংগঠনের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের কর্মসূচীসমূহকে স্বাগত জানিয়ে জনগণ তা বুঝিয়ে দিয়েছে। তাই সহিংস উগ্রবাদ, জঙ্গী ও সাম্প্রদায়িকতার উন্মাদনা সৃষ্টির দায় বিএনপি-জামায়াতের মতো রাজনৈতিক দলগুলো কখনও এড়াতে পারে না।
×