ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

সুরে সুরে জাপান বাংলাদেশ ভালবাসা বিনিময়

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সুরে সুরে জাপান বাংলাদেশ ভালবাসা বিনিময়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সুরে সুরে উচ্চারিত হলো দুই দেশের বন্ধুত্বের কথা। গানে গানে সূর্যোদয়ের দেশের শিল্পীদের সঙ্গে ভালবাসা বিনিময় হলো লাল-সবুজের প্রতিচ্ছবিময় দেশের শিল্পীদের। সেই সূত্র ধরে বাংলাদেশ ও জাপানের সম্মেলক সুরে গেয়ে যান ‘এই বন্ধন হবে নাতো শেষ তুমি লাল সবুজের দেশ, আমি সূর্যোদয়ের দেশ’। ঢাকা কেন্দ্রিক জাপানী ব্যান্ডদল ‘বাজনা বিট’-এর সঙ্গে বাংলাদেশী শিল্পীদের সমন্বিত পরিবেশনাটি হয়ে ওঠে অনন্য। সংস্কৃতির আশ্রয়ে জাপান ও বাংলাদেশের শিল্পীরা মেলে ধরলেন উভয় দেশের মধ্যকার বন্ধুত্বের গভীরতা। হৃদয়ের উষ্ণতার এমন দৃশ্যকল্প ছড়িয়ে শনিবার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় অনুষ্ঠিত হলো ‘জাপান ফেস্ট ২০১৮’। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ও ঢাকার জাপান দূতাবাস যৌথভাবে শনিবার বিকেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। দিনব্যাপী জাপান ফেস্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোয়াসু ইজুমির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। আসাদুজ্জামান নূর বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের পথে জাপান অন্যতম অংশীদার। মুক্তিযুদ্ধের পরে ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর জাপান সফরের মধ্য দিয়ে দু’দেশের সম্পর্কের যে নতুন মাত্রা পেয়েছিল বাংলাদেশ জাপানের সেই মৈত্রী, বন্ধুত্বের দৃঢ়তা সেভাবেই সামনে এগিয়ে যাবে। লিয়াকত আলী লাকী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। জাপানের মানুষের দার্শনিক গভীরতা তাদের জীবনভাবনাকে উন্নত করেছে। তাদের এই সাংস্কৃতিক ভিত্তি বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক সৃষ্টিতে ভূমিকা রেখেছে। জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোয়াসু ইজুমি বলেন, জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। জাপান ও বাংলাদেশের মানুষের সম্পর্ক দিন দিন আরও গভীর হচ্ছে। অনুষ্ঠানে গানে গানে জাপানের ঋতু বৈচিত্র্য, ফুল-ফল ও নদীর সঙ্গে বাংলাদেশের রূপময় প্রকৃতির বর্ণনা করেন জাপানী শিল্পীরা। ‘আমি তোমার সঙ্গে সারাজীবন পথ চলতে চাই, আমি বিভোর হয়ে তোমার প্রেমে পড়ে যাই’ জাপানী শিল্পীর এমন বাংলা গানের সুরে চঞ্চল হয়ে শ্রোতার হৃদয়। করতালির মাধ্যমে প্রকাশ ঘটে সেই মুগ্ধতার। গানের সঙ্গে আলো ঝলমলে মঞ্চের পর্দায় ভেসে বেড়ায় জাপান ও বাংলাদেশের মানুষের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের নানা চিত্র। জাপানী ট্র্যাডিশনাল ইনস্ট্রুমেন্টাল মিউজিক পরিবেশনার মাধ্যমে এ আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে। বন্ধুত্বের এই অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে মিলনায়তনের লবিতে ছিল জাপানী বনসাই এবং বাংলাদেশ ও জাপানের সংস্কৃতি ও বন্ধুত্বের স্মারক আলোকচিত্রের প্রদর্শনী। নদ্দিউ নতিম নাটকের ৪৪তম প্রদর্শনী ॥ শনিবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে ম্যাড থেটারের ‘নদ্দিউ নতিম’ নাটকের ৪৪তম প্রদর্শনী হয়। কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘কে কথা কয়’ উপন্যাসের নাট্যরূপ ‘নদ্দিউ নতিম’। প্রযোজনাটি রচনার পাশাপাশি নির্দেশনা দিয়েছেন আসাদুল ইসলাম। একটি শিশুকে কেন্দ্র করে এগিয়েছে নাটকের কাহিনী। মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী শিশুটির জীবন বাঁচাতে নির্বিকারভাবে আত্মহত্যা করে এক ক্ষ্যাপাটে কবি। তিন চরিত্রে সাজানো নাটকটিতে অভিনয় করেছেন একই পরিবারের তিন সদস্য আসাদুল ইসলাম, সোনিয়া হাসান ও আর্য মেঘদূত।
×