ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ঠাকুরগাঁওয়ে বেহাল সড়ক

প্রকাশিত: ০৭:৪২, ৬ মে ২০১৮

ঠাকুরগাঁওয়ে বেহাল সড়ক

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ৫ মে ॥ পৌর শহরের প্রায় সকল রাস্তাঘাট ভাঙ্গাচোরা ও খানাখন্দে ভরপুর থাকায় বেহাল দশা চলছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। ফলে পথচারীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। লোকজন বলছেন ভোগান্তির মাত্রা সহ্যসীমা অতিক্রম করেছে। এলাকাবাসী দ্রুত সকল রাস্তাঘাট সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন। নইলে আসন্ন বর্ষায় চরম বিপাকে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, সংস্কারের অভাবে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে আশ্রমপাড়া, গোয়ালপাড়া, মুন্সিপাড়া, বশিরপাড়া, সরকারপাড়াসহ প্রায় সকল মহল্লার সড়ক। যার ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ওইসব মহল্লার বাসিন্দা ও পথচারীগণ। পাশাপাশি বিপাকে পড়েছেন স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও অফিসগামী লোকজন। তাদের অভিযোগ তারা ভাঙ্গাচোরা রাস্তাঘাটের কারণে সময়মত স্কুল-কলেজ ও অফিসে পৌঁছাতে পারছেন না। রাস্তায় নেই কোন কার্পেটিং। যানবাহন চলাচলও হয়ে পড়েছে ঝুঁকিপূর্ণ। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাগুলোতে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। অপরদিকে অধিকাংশ ড্রেন ভাঙ্গা চোরা হওয়ায় নর্দমার ময়লা-আবর্জনা চলে আসছে রাস্তার উপড়। বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দা তরুণ, আলিফ, বাপ্পি, নিউমুন নামের কয়েক বাসিন্দা জানান, অল্প বৃষ্টি হলেই এইসব রাস্তা কাদামাটিতে একাকার হয়ে যায়। আর এতে তাদের অনেক সমস্যা হয়। ঠিক মতো চলাচল করা যায় না। এখনও বর্ষা শুরু হয়নি তাতেই এই অবস্থা। না জানি বর্ষা শুরু হলে কি হবে। হয়তো আমাদের রাস্তায় চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। তাই দ্রুত এইসব রাস্তাঘাট সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি। স্থানীয় একজন ব্যবসায়ী তৈমুর রহমানসহ আরও কয়েকজন বলেন, কাদার কারণে দোকানে ঠিক মতো লোকজনই আসতে পারে না। যার জন্য দোকানে বেচা বিক্রি কম হয়। দোকানদারি করা খুবই সমস্যা হয়। রাস্তায় কাদা থাকলে তো ক্রেতারা আসে না। ক্রয়-বিক্রর উপর তো আমরা নির্ভরশীল। আমরা খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এ বিষরে পৌর মেয়র মির্জা ফয়সাল আমিন বলেন, খুব শীঘ্রই রাস্তাগুলো সংস্কার কাজ শুরু করা হবে। তাছাড়া রাস্তাগুলোর বিষয়ে জনগণকেই সচেতন হতে হবে। তারা যেন রাস্তা কেটে ড্রেন নির্মাণ না করে। সখীপুর-গারোবাজার সড়ক নিজস্ব সংবাদদাতা টাঙ্গাইল থেকে জানান, সখীপুর-গারোবাজার সড়কের অধিকাংশ অংশ ভাল থাকলেও এখনও সংস্কার হয়নি সখীপুর পৌর শহরের মাত্র ১৭০ মিটার সড়কের বেহাল অংশটুকু। সড়কের ওই অংশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষা শুরুর আগেই অল্প একটু বৃষ্টিতেই এ পথে চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। কাদা পানি শুকানোর আগেই ১৫/২০ দিনের মধ্যে বৃষ্টির ফোঁটা পড়লে আবার একই অবস্থা হচ্ছে। বৃষ্টির পানি জমে ওইসব গর্ত বড় খাদে পরিণত হচ্ছে। প্রতিদিনই বাস-ট্রাকসহ নানা যানবাহন আটকে পড়ে দিনদিন দুর্ভোগ বেড়েই চলছে। স্থানীয়রা ওই সড়কটুকুকে সখীপুরের বিষফোঁড়া বলে আখ্যা দিয়েছেন। জানা যায়, গত বছর সখীপুর থেকে গারোবাজার ৩০ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আগামী ৫ বছর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকার কাজটি পায় ‘হক ইন্টারন্যাশনাল’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০ জুন ঠিকাদারের সঙ্গে এলজিইডির চুক্তি হয়। ঠিকাদার টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য ও সখীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া বাদল। গত কয়েকদিন আগে ওই সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ করা হলেও সখীপুর পৌরসভার তালতলা থেকে খাদ্য গুদাম পর্যন্ত ১৭০ মিটার, বড়চওনা বাজারে ২৫০ মিটার এবং সাগরদীঘি বাজারের ৭০ মিটার সড়কের সংস্কার বাকি রাখেন। এ বিষয়ে জানতে ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া বাদলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘পানি জমে থাকার কারণে বারবার ভাঙনের কবলে পড়া ওই অংশটুকু আরসিসি ঢালাই করা হবে জানিয়ে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। তাই খানাখন্দে ভরা ওই অংশের কাজ করতে নিষেধ দিয়েছেন। আরসিসি করার বিষয়ে এখনও কোন নির্দেশনা পাইনি। কর্তৃপক্ষের এ গাফিলতির কারণেই বর্তমানে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।এ বিষয়ে সখীপুর উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফাহাদ কুদ্দুস বলেন, বৃষ্টিতে আগের চেয়ে রাস্তা আরও বেশি ভেঙ্গেছে। তিন স্থানে মোট ৫৭০ মিটার ভাঙ্গা অংশ আরসিসি ঢালাই করার জন্যে উর্ধতন অফিসে কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। আশা করছি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে।
×