ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

কলাপাড়ায় ত্রিশ রাখাইন পল্লীতে নজরদারি

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

কলাপাড়ায় ত্রিশ রাখাইন পল্লীতে নজরদারি

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ১৭ সেপ্টেম্বর ॥ কলাপাড়ার ৩০ রাখাইন পল্লীতে বিশেষ পুলিশী নজরদারির ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রতিদিন রাখাইন পাড়াগুলোতে পুলিশী টহলের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা নিধনের তা-বের পর থেকেই এমন বিশেষ পদক্ষেপ নেয়া হয়। সম্প্রীতির বন্ধনে বসবাস করে আসছে সাগরপাড়ের পর্যটন সমৃদ্ধ জনপদ কলাপাড়া উপজেলাবাসী। যেখানে প্রায় আড়াই শ’ বছরের আগে আসা রাখাইন জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে। রয়েছে মুসলিম, হিন্দু এবং খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের বসবাস। এখানে ছিল না কখনও সাম্প্রদায়িক সংঘাত। চোখে পড়ার মতো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে বসবাস করে আসছে কলাপাড়ার সকল বর্ণ সম্প্রদায়ের মানুষ। তাই মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা নিধনের ভয়াবহ তা-বের জের ধরে কেউ যেন কোন প্রকার সহিংসতা ঘটাতে না পারে এ জন্য এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কলাপাড়ার আলীপুর-মহিপুর বন্দরে রয়েছে ৭৪টি রোহিঙ্গা পরিবারের বসবাস। সেখানেও যেন কেউ কোন ধরনের সহিংসতা ঘটাতে না পারে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রাখাইন সমাজকল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি টেনসুয়ে জানান, কলাপাড়া থানা পুলিশ তাদের খোঁজখবর রাখছে। তবে গ্রামের রাখাইনরা কিছুটা আতঙ্কে রয়েছে। কিছুটা মানসিক চাপে রয়েছে। বালিয়াতলী ইউনিয়নের সবকটি পাড়ায় সার্বক্ষণিক পুলিশী টহলের জন্য তিনি দাবি জানান। পক্ষিয়াপাড়া রাখাইন পল্লীর বাসিন্দা রাখাইন কৃষিবিদ ও প্রকৌশলী টেনথান জানান, আমরা এখানে ১৬ পরিবার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্যে বসবাস করে আসছি। তারপরও কেউ যাতে মাঝখান দিয়ে কোন ফায়দা লুটতে না পারে এ জন্য প্রশাসনের সচেষ্ট থাকা প্রয়োজন।কলাপাড়া থানার ওসি জিএম শাহনেওয়াজ জানান, রাখাইন পল্লীতে কোন ধরনের অঘটন কেউ ঘটাতে না পারে এ জন্য সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মহিপুর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, সবকটি রাখাইন পল্লী এবং রোহিঙ্গা পরিবারগুলোর প্রতি বিশেষ নজরদারি রাখা হয়েছে। এছাড়া সার্বক্ষণিক পুলিশী টহলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার শঙ্কা নেই।
×