ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

আমতলী ও ভোলায় টর্নেডো ॥ লণ্ড ভণ্ড শতাধিক ঘর

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ৩ জুন ২০১৭

আমতলী ও ভোলায় টর্নেডো ॥ লণ্ড ভণ্ড শতাধিক ঘর

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ২ জুন ॥ তালতলী উপজেলার তালতলী বন্দর, তুলতলী ও আমতলী উপজেলার সোনাখালী গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে টর্নেডো আঘাত হানে। এর স্থায়িত্ব ছিল ১০ মিনিট। টর্নেডোতে তিনটি গ্রামের শতাধিক ঘর ও সহস্রাধিক গাছ উপড়ে ল- ভ- করে দিয়েছে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে আমতলী উপজেলার সোনাখালী ও তালতলী উপজেলার তালতলী বন্দর ও তুলাতলী তিনটি গ্রামে টর্নেডো আঘাত হানে। এতে তালতলী বন্দরের শামিম মিয়া, আফজাল মাঝি, বাবুল মিয়া, ছালাম মিয়া, আবুল বাসার, এসডিএস অফিস ঘর এবং তুলাতলী গ্রামের মোকলেস তালুকদার, নিজাম খলিফা, প্রতিবন্ধী কামালের ঘর ও জামে মসজিদ সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত, ৮০টি ঘর আংশিক এবং সোনাখালী গ্রামের ২০টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। তালতলী বন্দরের ক্ষতিগ্রস্ত শামীম মিয়া, বাবুল, নিজাম খলিফা জানান, রাত পৌনে ১২টার সময় একটু ঠা-া বাতাস ছেড়ে বৃষ্টি আসে। মুহূর্তের মধ্যে ঝড়ো হাওয়ায় বাড়ি ঘর ল- ভ- করে দিয়ে যায়। নিজস্ব সংবাদদাতা ভোলা থেকে জানান, বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মনপুরায় ঘূর্ণিঝড়ের ছোবলে প্রায় অর্ধশত ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় হাজির হাট ইউনিয়নের চরযতিন ও সোনারচর গ্রামে এবং কলাতলীর চরে উপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত হানে। স্থানীয়রা সূত্র জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোরার প্রভাব কাটতে না কাটতে হঠাৎ মনপুরা উপজেলার হাজির হাট ইউনিয়নের চরযতিন গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে ঝড়ে তা-বে বেশ কিছু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। ২নং ওয়ার্ডের আঃ গফুর মিয়া, আঃ রব, মোঃ মিজান এবং সোনার চর গ্রামের রিপন চন্দ্র দাস, কর্তা চন্দ্র দাস এবং ঢালচরের মোঃ মহিউদ্দিনের ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া ঘরের চালের টিন ও টিনের বেড়া উড়িয়ে নিয়ে গেছে চরযতিন গ্রামের মহিমা বেগম, হাজেরা বেগম, কর্তাচন্দ্র দাস, লিপস চন্দ্র দাস রবং চরজ্ঞানের মোঃ রফিক মিয়ার। এদিকে উত্তর চরযতিন জামে মসজিদের টিনের চাল উড়িয়ে নিয়ে গেছে। অসংখ্য গাছপালা অর্ধেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছ পড়ে অধিকাংশ ঘর নষ্ট হতে দেখা গেছে।
×