ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

অধিকারবঞ্চিত কক্সবাজার পৌরবাসী

প্রকাশিত: ০৪:০১, ৬ মে ২০১৭

অধিকারবঞ্চিত কক্সবাজার পৌরবাসী

এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার ॥ নির্বাচিত ও ভারপ্রাপ্ত মেয়রের রশি টানাটানিতে কক্সবাজার পৌরসভার উন্নয়ন বিঘিœতসহ নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রায় ৪ লাখ মানুষ। একটি ফৌজদারি মামলার চার্জশীটভুক্ত আসামি হওয়ায় প্রায় ১৭ মাস আগে নির্বাচিত মেয়র সরওয়ার কামালকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তদ্বস্থলে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয় কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান চৌধুরীকে। পরবর্তীতে শহরের আবুল কাশেম নামে এক পৌর বাসিন্দা ওই আদেশের বিরুদ্ধে বিচার প্রার্থনা করে উচ্চ আদালতে মামলা করেন। দায়েরকৃত মামলায় মন্ত্রণালয়ের ইতোপূর্বে দেয়া নির্দেশের সকল কার্যক্রম স্থাগিতাদেশ দেন হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের দেয়া আদেশের প্রেক্ষিতে মেয়র সরওয়ার কামাল ২৬ এপ্রিল পৌরসভার দায়িত্ব নিয়ে মারাদিন অফিসও করেন। পরদিন বৃহস্পতিবার থেকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী ও তার সহযোগীরা সরওয়ার কামালকে অফিসে যেতে দেননি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করে মেয়র পদে আসীন দুই জনের টানাটানির মাঝখানে পড়ে পৌরবাসীর দুর্ভোগ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন অনেকে। নির্বাচিত ও ভারপ্রাপ্তের দ্বন্দ্বে পৌর নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয়রা। এছাড়াও শহরে থেকেই যাচ্ছে ময়লা আবর্জনায় ভরাট নালা-নর্দমাসহ ব্যাপক অনিয়ম। দেখা গেছে, পর্যটন শহরের নালা ও প্রধান সড়কসহ সর্বত্র ময়লা আবর্জনার উৎকট দুর্গন্ধ। বেড়ে চলছে শত শত ইজিবাইক টমটমের লাইসেন্স দেয়ার প্রতিযোগিতা। প্রতিটি টমটমের লাইসেন্স থেকে ৪০-৫০ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। পৌর এলাকাসহ টমটমের শহরে পরিণত হয়েছে পর্যটন এলাকা। পৌর বাসটার্মিনালে গাড়ি রাখার একাধিক স্পটে নীতিমালা উপেক্ষা করে সেখানে নতুন নতুন দোকান বরাদ্দ দেয়ায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালটি মার্কেটে রূপান্তর হয়েছে। বর্ধিত পৌর এলাকায় নালার অভাবে বৃষ্টির সময় পৌরবাসীর উঠানে হাঁটু পরিমাণ পানি জমে থাকে বলে জানা গেছে। উন্নয়নের অভাবে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে এলাকার রাস্তা-ঘাট। উন্নয়ন ও নাগরিক অধিকার বঞ্চিত পৌরবাসী মেয়রের পদ নিয়ে টানাটানি এবং হাইকোর্টের আদেশ উপেক্ষা না করে জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে নির্বাচিত মেয়র ও ভারপ্রাপ্ত মেয়রকে এক টেবিলে বসে সিদ্ধান্ত নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন।
×