ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

সেদিন স্বাধিকারের চেতনায় উদযাপন হয়েছিল বর্ষবরণ

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ১১ এপ্রিল ২০১৭

সেদিন স্বাধিকারের চেতনায় উদযাপন হয়েছিল বর্ষবরণ

মনোয়ার হোসেন ॥ রমনার বটমূলে বর্ষবরণের ৫০ বছর পূর্ণ হচ্ছে এবার। সবাই জানে ১৯৬৭ সালে ছায়ানট প্রথম প্রথম বর্ষবরণের আয়োজন করে। তবে শুরুটা হয়েছিল আরও আগে। সময়টা ছিল ১৯৬৩ সাল। ঢাকা ইউনিভার্সিটি এলাকার ইংলিশ প্রিপারেটরি স্কুলের সঙ্গে মিলে প্রথম আয়োজনটি করেছিলাম। সেটা ছিল আসলে ওই স্কুলের বর্ষপূর্তির আয়োজন। সরু একটা গলির ভেতর অপূর্ব সুন্দর এক কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে প্রথম নববর্ষ উদ্যাপন করেছিলাম। এরপর চৌষট্টি সালেও একই স্থানে করলাম। সেই আয়োজনে যুক্ত হলো কিছু নববর্ষের গান। পঁয়ষট্টিতে এসে পড়ল ঈদ-উল আজহা। সেবার কিছুই হলো না। ছেষট্টি সালে আমাদের বন্ধুমানুষ ড. নওয়াজেশ আহমেদ বকুনি দিলেন। বললেন, এই এসব কি হচ্ছে? আমরা কি এখানে স্কুলের অনুষ্ঠান দেখতে আসি? আমরা আসি নববর্ষ দেখতে। নববর্ষের একটা বাণী থাকবে। একটা বার্তা থাকবে। এতটুকু জায়গায় কি সেটা হয়? এরপর তিনি বিস্তৃত পরিসরে বর্ষবরণের জন্য রমনা বটমূলের জায়গাটি দেখিয়ে দিলেন। আমাদেরও টনক নড়ল। উপলব্ধি করলাম, নববর্ষ বাঙালীর জীবনের অনেক বড় ব্যাপার। বাঙালিত্বের এই গৌরবকে সবার কাছে যথাযথভাবে তুলে ধরতে না পারলে এর সার্থকতা থাকে না। আমাদের ভাবনায় ছিল, মানুষের মধ্যে বাঙালিত্বের গৌরববোধের উপলব্ধি ছড়িয়ে দিতে হবে। কারণ, সেই সময় আমাদের বাঙালীর পরিবর্তে মুসলমান বানানোর চেষ্টা চলছিল। তাই আমরা মুসলমানের আগে বাঙালীর বোধটিকে জাগ্রত করতে চেয়েছি সবার মনে। বর্ষবরণের মাধ্যমে স্বাধিকারের চেতনা ছড়িয়ে দিতে চেয়েছি। সেই স্বাধিকারের চেতনা থেকেই এসেছিল স্বাধীনতা। জাতিসত্তার জাগরণের সেই ভাবনায় রমনা বটমূলের প্রধম বর্ষবরণ অনুষ্ঠিত হয়। স্বাধিকারের চেতনায় উদ্যাপিত হয়েছিল বটমূলের বর্ষবরণ। সেই বর্ষবরণ ছিল বাঙালী জাতির জাগরণের যাত্রা। এভাবেই সাতষট্টিতে বটমূলের প্রথম বর্ষবরণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন সংস্কৃতির আলোকবর্তিকা ছায়ানট সভাপতি সন্্জীদা খাতুন। এ বছর বটমূলে পঞ্চাশতম বর্ষবরণ উপলক্ষে জনকণ্ঠের এই প্রতিনিধির সঙ্গে কথা হয় সন্্জীদা খাতুনের। সেই কথোপকথনে উঠে এসেছে সংস্কৃতির সঙ্গে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা, প্রান্তিক স্তরে সংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দিতে না পারার আক্ষেপ, বাঙালিত্বের বোধ, রাজনীতি, সমাজ ভাবনাসহ নানা বিষয়। আলাপে ছায়ানট বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাবনা তুলে ধরে সন্্জীদা খাতুন বলেন, প্রজ্ঞা ও মেধার কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বুঝতে পেরেছিলেন ১৯৬৭ সালে ছায়ানটের বর্ষবরণের তাৎপর্যটি। তাই দেশ স্বাধীনের পর ছায়ানটকে ছোট পরিসরে আটকে না রেখে বৃহৎ পরিসরে ছড়িয়ে দিতে সরকারীকরণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তবে আমরা তখন রাজি হইনি। কারণ, আমরা নিজেদের মতো করে সাংস্কৃতিক আন্দোলন করতে চেয়েছি। রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য গঠনমূলক কিছু করতে চেয়েছি। সরকার পরিবর্তন হলে নতুন সরকারের মনোভাব কেমন হবেÑ সেটা নিয়েও আমাদের সংশয় ছিল। তাছাড়া কথা বলার জন্যও কিছু লোক থাকা দরকার। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় পহেলা বৈশাখে রমনা বটমূলে কোন নববর্ষের আয়োজন ছিল না। কেমন ছিল সে বছরের পহেলা বৈশাখের দিনটিÑসে প্রশ্নের জবাবে সন্জীদা খাতুন বলেন, সেদিন আমরা ছিলাম সাভারের গ্রামে একটি মাটির ঘরে। সেখানেই বটমূল কল্পনা করে বসে ছেলেমেয়েদের নিয়ে আমি ও ওয়াহিদুল হক সকালবেলায় গান গেয়েছিলাম। মনে হয়েছিল, পহেলা বৈশাখ উদ্্যাপিত হবে নাÑসেটা হতে পারে না। আমরা পারিবারিকভাবে পালন করেছিলাম। বড় করে আয়োজন করার কোন সুযোগ ছিল না। পরিস্থিতি ছিল ভয়াবহ। অনেকেরই নাম ছিল এলিমিনেশন লিস্টে। বাঙালিত্বের বোধ প্রসঙ্গে সন্জীদা খাতুনের বলাটা এরকমÑআমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষই জানে না বাঙালিত্ব কাকে বলে? দুঃখের সঙ্গে বলছি, এমনকি রাষ্ট্রও সেটা জানে না। সে কারণেই গালে পতাকা এঁকে কিংবা একতারা হাতে নিয়ে বাঙালী হওয়ার চেষ্টা করে। মূল বিষয়টি অনুধাবনের চেয়ে সেখানে হৈ-হুল্লোড়টাই মুখ্য হয়ে ওঠে। অনেকে এসে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের গান শোনে কিন্তু গানের ভেতরের অর্থগুলো বোঝা বা উপলব্ধির চেষ্টা করে না। বর্ষবরণ উদ্্যাপনে আমাদের ভাবনায় ছিল মানুষের মনের উৎকর্ষ সাধন করতে হবে। মনের সঙ্গে সংস্কৃতির সংযোগ হলে মানুষ বদলে যায়। চেষ্টা করেছি, পুরোটা সফল হতে পারিনি। যতটা হওয়ার কথা ছিল, ততটা হয়নি। তবুও আমরা আশাবাদী। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। মানবিক উৎকর্ষ সাধনে নিরন্তর কাজ করতে হবে। সংস্কৃতির সঙ্গে শিক্ষার সংযোগ প্রসঙ্গে বলেন, ২০০১ সালে রমনা বটমূলে বোমা হামলার সময় আমরা বুঝেছিলাম, শুধু গান গেয়ে কিছু হয় না। এর সঙ্গে শিক্ষার প্রয়োজন আছে। আমাদের দেশটা শিক্ষাবঞ্চিত। তাই বলে সবসময় রাষ্ট্রের দিকে তাকিয়ে থাকলে ব্যর্থ হব। আমরা স্কুল গড়তে পারি। শুধু শহরে বসে সংস্কৃতি চর্চা করলে হবে না। যেতে হবে গ্রামের মানুষের কাছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের মানবতার বিষয়গুলো তুলে ধরতে হবে। ধর্মের নামে যে অন্যায় হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। আমাদের একার সে সাধ্য নেই যে সবাইকে শিক্ষা দিত পারব। পহেলা বৈশাখে বর্ষবরণের আয়োজনটি দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টাকে কিভাবে দেখেন জানতে চাইলে সন্জীদা খাতুন বলেন, আমি দুঃখের সঙ্গে বলবো এটা একটা ফ্যাশন হয়ে গেছে। যতটা হওয়া উচিত ছিল, তা হয়নি। এটা এখন ‘ফ্যাশন’ হয়ে গেছে। আর কে কত ভাল করতে পারে, কোন টেলিভিশনে কত ভালভাবে দেখানো যায় সেই প্রতিযোগিতা চলছে। অথচ আমরা তো টেলিভিশনের জন্য বর্ষবরণের আয়োজন করিনি। আমরা করেছিলাম অন্তরের তাগিদে। আমাদের এখনও সেই তাগিদ নিয়েই চালিয়ে যেতে হবে। আমাদের কিন্তু অন্য কথা ভেবে লাভ নেই। আমাদের গঠনমূলক কাজ করে যেতে হবে এবং সে কাজের ধরনও একুট বদলানো দরকার। কেবল শহরে বসে গান গাইলে হবে না। আামদের একটু বেরুতে হবে, গ্রামে গ্রামে যেতে হবে। আসলে আমি নিজে তো বুড়ো হয়ে গেছি। তাই নিজে আর পারছি না। আমি না পারি তরুণ-তরুণীরা পারবে। তাহলে হয়তো একটু ভাল কাজ হবে। কারণ সংস্কৃতির বাহন মানুষের মনকে অনেক বেশি স্পর্শ করে। সেদিকটায় আমাদের যাওয়া উচিত বলে আমি খুবই অনুভব করি। দেশের রাজনীতির অবস্থা তুলে বলেন, দীর্ঘকাল ধরে দেখে আসছি, রাজনীতি যারা করেন যারা, মানুষের জন্য ‘হায় জনগণ’ ‘হায় জনগণ’ করেন তারা আত্মোন্নতির কথা ছাড়া আর কিছুই ভাবেন না। আমি যখন ছাত্রী তখন থেকে দেখে আসছি যে অত্যন্ত প্রগতিশীল কাজ করেন যারা তারা চকচকে জুতো পরে, জামা-প্যান্ট সব ধোলাই করা, কিন্তু গ্রাম থেকে যে ছেলেটি আসে তাকে তারা কাছে টানে না। তার কাছে যায় না, নাক কুঁচকে তার দিকে তাকায়। এ চিরকাল দেখে এসেছি। আমরা মানুষকে আপন করতে জানি না। এই করে কিন্তু মানুষকে ঠেলে দূরে ঠেলে দিচ্ছি সমানে। এই বিষয়টাতেও সচেতন হওয়া দরকার। মানুষের কাছে মানবতার কথা পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথের কথা বলার দরকার নেই। রবীন্দ্রনাথের অনেক ভাল ভাল কথা আছে। কিন্তু মানুষ সেসব বোঝে না। তাই বলতে হবে নজরুলের কথা। রবীন্দ্রনাথ নয় নজরুলের কথা তুলে ধরা দরকার গ্রামের মানুষদের কাছে। লালনের সহজ কথাগুলো তুলে ধরতে হবে প্রান্তিক মানুষের কাছে। লালন বলেছে, সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে? লালন বলছে জাতের কি রূপ দেখলাম না, এই জীবনে বুঝলাম না। এই যে কথাগুলো কিন্তু মানুষ শুনে। সুরে সুরেও গ্রহণ করে। এগুলো যদি আমারা একেবারে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে বলতে পারি, তাহলে কিন্তু আমাদের মনে হয় কাজ খানিকটা এগোবে। এই যে পিছিয়ে পড়ে আছি তার কারণ আমরা কেবল শহরে বন্দী হয়ে আছি বলে। নজরুলে একটি গান আছে ‘ক্ষমা কর হযরত’। সেখানে বলা হয়েছে, তুমি আমাদের যে পথ দেখিয়েছিলে আমরা সেই পথে চলিনি। আমরা অন্যায় করেছি। আমরা বিধর্মীর কথা ভাবিনি। আমরা ছুটি মন্দির ভাঙ্গতে। এই যে আমাদের মানসিকতা এই শিক্ষা কিন্তু তুমি দিয়ে যাওনি। ক্ষমা করো হযরত। এখন বুঝি এই জন্যই তোমার রহমত আমাদের ওপর বর্ষিত হচ্ছে না। আমাদের মধ্যে মুসলামান বাতিক আছে, মানুষ বাতিকটা নেই। এই বাতিকটাই সর্বনাশ করছে। সে জন্যই আমাদের একটু কৌশল করতে হবে। প্রগতিশীল সমাজ থেকে ডানপন্থী সমাজের দিকে ধাবিত হওয়া এবং পরবর্তীতে জঙ্গীবাদের বিস্তারÑএ প্রসঙ্গগুলো টানতেই সন্জীদা খাতুন বলেন, মধ্যপ্রাচ্য থেকে টাকার যে প্রবাহ আসে এই টাকাটা এ দেশে কিভাবে ব্যাবহার হয় তা অনেকেরই জানা। আমরা মুখের কথায় গানের সুরে সাধারণ মানুষের সেই অর্থের চাহিদাটা তো মেটাতে পারবো না। আমি দেখেছি গ্রামের দিকে রিক্সা কিনে দেয় দরিদ্র মানুষকে। যে সুবিধা পেল সে বলছে এরাই আমাদের জন্য ভাবে, করে। একটা আমলে এক ধর্মব্যবসায়ী মন্ত্রিত্বে ছিলেন। তার আমলে কৃষি ঋণ কৃষকদের বাড়িতে পৌঁছে গেছে। অন্যসময় সেটা হয় না। যত রকমের প্রগতি হোক, যত রকমের বড় বড় কাজ হচ্ছে তার পেছনে কিন্তু অন্যরকমের কিছু ব্যাপার চলছে। ঠিকমতো অগ্রসর আমরা হতে পারছি না। ওরা যে কৌশলে চলেছে তারই জন্য দীর্ঘকাল সময় পেয়েছে আমাদের হটিয়ে দিতে। আমাদের কিন্তু সমর্থনটা কম। আমরা যে কথা বলতে চাই বা বলে আসছি তার সমর্থন কত জনে করেছে। খুব বেশি না। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, এখন যা চলছে তার সবই তো ডানপন্থার ব্যাপার। এখানে বামপন্থার কোন জায়গা নেই। আমি শুনেছি একবার এক রাজনীতিক বলেছিলেন, ও কমিউনিস্ট পার্টি, ওদের তো আমি হেরেমে ভরেছি। এইরকম কথাও তারা হজম করে। তাদের কিছু যায় আসে না। এবং তারা নিয়ন্ত্রিত সংস্কৃতির কথা বলে। কিছু যায় আসে না। বোঝে না এটা হলো রেজিমেনটেশান। এই রেজিমেনটেশনের দিকে চলে যায় বড় বড় বামপন্থী প-িতরা। বর্ষবরণের অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণটি আসলে অশ্বথমূল না বটমূলÑএ প্রসঙ্গে সন্জীদা খাতুন বলেন, যে গাছটির নিচে আমরা বর্ষবরণের আয়োজন করি, সেটা বট নয় অশ্বথ গাছ। যদি আমরা বলতাম, অশ্বথতলায় অনুষ্ঠান, তাহলে মনে হতো গ্রামের হাট বসেছে এখানে। অশ্বথের মঙ্গে পঞ্চবটির সম্পর্ক রয়েছে। এ কারণেই অশ্বথতলাকে বটমূল বলেছিলাম। সেটা নিয়েও অনেকে সমালোচনা করেছে। এমনকি পত্রপত্রিকায় পোস্ট এডিটোরিয়ালও লেখা হয়েছে। মানুষ ভাবে আমরা বুঝি আহাম্মক! এটা আমাদের মস্ত বড় দুঃখ। বর্ষবরণে পান্তা-ইলিশ প্রসঙ্গে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের এই পুরোধা ব্যক্তিত্ব বলেন, নববর্ষ উদ্্যাপনে পান্তা ইলিশ খেতে হবে- এমনটা কখনও দেখিনি, শুনিনি। কারণ গ্রামের মানুষ পান্তা ভাত খায়। কিন্তু সেখানে ইলিশ থাকে না। কাঁচা লংকার সঙ্গে কাঁচা পেঁয়াজ দিয়ে অথবা মরিচ পুড়িয়ে পান্তা খায়। ইলিশ তো দামী মাছ, এটা গ্রামের মানুষ কোথায় পাবে? এ এক অদ্ভুত জিনিস ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে বর্ষবরণের আয়োজনে। নিজের পরিচয়টি সম্পর্কে সন্্জীদা খাতুন বলেন, [জঞঋ নড়ড়শসধৎশ ংঃধৎঃ: }থএড়ইধপশ[জঞঋ নড়ড়শসধৎশ বহফ: }থএড়ইধপশআমাকে অনেকে ডেকেছে, কমিউনিস্ট পার্টি ডেকেছে, একসময় এমপি হওয়ার জন্য বিশেষ দলের সদস্য হতে বলা হয়েছে। আমার একটাই কথা, কোন দলের হতে পারবো না। তাহলে আমার নিজের কোন কথা আমি বলতে পারবো না। আমার কথা বলতে হবে। কথা বলারও কিছু লোক চাই। সংস্কৃতির আশ্রয়েই নিজের ভাবনাটাকে তুলে ধরতে চেয়েছি। নিজে মঞ্চে উঠে গান গাওয়ার পরিবর্তে সংগঠকের ভূমিকাটাকেই বড় করে দেখেছি। প্রতিদানে কিছুই চাইনি। সব সময় সংস্কৃতির আলোয় মানুষের মনের কথাটি বলতে চেয়েছি। মুসলমানিত্বের চেয়ে বাঙালিত্বের গৌরববৌধকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। মানুষের মানবিক হয়ে ওঠাকে গুরুত্ব দিয়েছি।
×