ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

জঙ্গীদের খুঁজে বের করে প্রতিরোধ গড়ুন ॥ প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:২২, ১৯ মার্চ ২০১৭

জঙ্গীদের খুঁজে বের  করে প্রতিরোধ  গড়ুন ॥ প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, বাংলাদেশের মাটিতে কোন জঙ্গী-সন্ত্রাসীর স্থান হবে না। জঙ্গী-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থান অব্যাহত থাকবে। আর দেশের মানুষকে সেভাবেই সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। দেশের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে নিজ নিজ এলাকায় জঙ্গী-সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। নিজের সন্তানরা সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ কিংবা মাদকাসক্তের পথে যাতে পা না বাড়ায় সেদিকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। আমরা চাই না দেশে সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদের কোন ঘটনা ঘটুক। ঐতিহাসিক ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৭তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে শনিবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সভাপতির বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, আমাদের সততা ও নিষ্ঠার শক্তি আছে বলেই যে কোন অবস্থা আমরা মোকাবেলা করতে পারি। তাই যে যতই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র করুক, সততা ও নিষ্ঠা নিয়ে আমরা রাজনীতি করি বলেই বাংলাদেশ সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবেই। কারণ আওয়ামী লীগ জনগণের সেবা করতে ক্ষমতায় আসে। একমাত্র আওয়ামী লীগই যে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি করতে পারে, যে কোন সমস্যার সমাধান করতে পারে তা আমরা প্রমাণ করেছি। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ যখন সব দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে, দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে, মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, গৃহহারা মানুষ গৃহ পাচ্ছে, লেখাপড়ার জন্য বিনামূল্যে বই পাচ্ছে- তখন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার অন্তর্জ্বালা ধরে। ক্ষমতায় থাকতে উনি একাত্তরের হানাদারদের মতোই দেশের মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছেন। আবার ক্ষমতার বাইরে থেকেও নির্বাচন ঠেকানোর নামে উনি ৯২ দিন ধরে এয়ারকন্ডিশন রুমে বসে হুকুম দিয়ে দিয়ে শত শত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করিয়েছেন, জ্বালাও-পোড়াও, মসজিদে আগুন, শত শত কোরান শরীফ পুড়িয়েছেন। খালেদা জিয়ার আন্দোলন মানেই জ্বালাও-পোড়াও, ধ্বংসযজ্ঞ আর মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা। কিন্তু জনগণের প্রতিরোধের কারণে বিএনপি নেত্রী ব্যর্থ হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, উপদেষ্টাম-লীর সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, এ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, গোলাম মাওলা নকশাবন্দী। সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তরের সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ এমপি, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান ও দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ। কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত কবিতা আবৃত্তি করেন বিশিষ্ট আবৃত্তিকার আহকাম উল্লাহ। আলোচনা সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উপস্থিত থাকলেও বক্তৃতা করেননি। জাতির জনকের জন্মদিনে এই আলোচনা সভায় তাঁর বড় মেয়ে শেখ হাসিনা দীর্ঘ একঘণ্টা বক্তৃতা করেন। বক্তৃতার অধিকাংশ জুড়েই ছিল দেশকে স্বাধীন করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম, জেল জুলুম নির্যাতনের বর্ণনা। পিতার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বারবারই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন শেখ হাসিনা। তার বক্তৃতার শেষাংশে ছিল বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত এবং তার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের প্রতিজ্ঞা। প্রধানমন্ত্রী দেশের সুশীল সমাজের কিছু প্রতিনিধির ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করে বলেন, দেশের কিছু মানুষ আছে তারা সবসময়ই দেশের জনগণের সঙ্গে বেইমানি ও মোনাফেকি করে। দেশে কিছু মানুষ আছে তারা নাকি দেশে গণতন্ত্র দেখতে পান না। দেশের এতো উন্নয়ন-অগ্রগতি অস্বীকার করতে না পারলেও বলার চেষ্টা করেন দেশের উন্নয়ন হচ্ছে তবে গণতন্ত্র থাকতে হবে। তিনি বলেন, আসলে এসব লোকে মার্শাল ল’ ও কারফিউয়ের মধ্যে গণতন্ত্র দেখেন। দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই দেশের এতো উন্নয়ন ও অগ্রগতি হচ্ছে, দেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এরপরও তারা নানা ছুঁতো তুলে বিরোধিতা করার চেষ্টা করে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও কিছু মানুষ বাঙালীর বিরোধিতা করেছিল, পাক হানাদারদের পদলেহন করেছিল বলেই হানাদারা এতো গণহত্যা চালাতে পেরেছিল। এদের ব্যাপারেও দেশবাসীকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। শেখ হাসিনা এ সময় বন্ধুপ্রতীম দেশ ভারতকে নিয়ে এক শ্রেণীর রাজনীতিক ও মানুষের দ্বৈতনীতির কথা উল্লেখ করে বলেন, ক্ষমতায় থাকতে ভারতের তোষামদি, আর বিরোধী দলে গেলে বিরোধিতা দীর্ঘ ২১টি বছর ধরেই তা দেখেছে দেশের মানুষ। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ২১টি বছর জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়ার দু’দেশের সীমানা নির্ধারণ, গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা, সমুদ্র সীমার অধিকার নিয়ে কোন কথা বলতে সাহস পায়নি। আসলে যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতায় আসে, তারা সাহস নিয়ে কোন কথা বলতে পারে না। বরং তোষামদি, চাটুকারিতা করেই ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে। তিনি বলেন, একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল বলেই গঙ্গা ও শান্তিচুক্তি করতে পেরেছে, দু’দেশের সীমানা চুক্তি হয়েছে, আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে ভারত ও মিয়ানমার থেকে সমুদ্র সীমার ন্যায্য অধিকার আদায় করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি এ সময় প্রশ্ন রেখে বলেন, আওয়ামী লীগ পারলে জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়ারা পারেনি কেন? আসলে তারা ক্ষমতায় থেকে দেশের কোন সমস্যারই সমাধান করতে পারেননি, উল্টো দেশকে পিছিয়ে দিয়ে গেছেন। এ প্রসঙ্গে উদাহরণ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৯১ সালে ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি নেত্রী ভারত সফরে গিয়েছিলেন। তখন গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা নিয়ে ভারতের সঙ্গে কথা বলতে তিনি নাকি ভুলেই গিয়েছিলেন! অথচ ফারাক্কা নিয়ে লংমার্চ ছাড়াও জাতিসংঘে যাবেন বলে অনেক হম্বিতম্বি উনি করেছিলেন। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর খালেদা জিয়ার সেই হম্বিতম্বির বেলুন ফুটো হয়ে যেন চুপসে গিয়েছিল। এটাই হলো খালেদা জিয়ার নীতি। ছিটমহল বিনিময় প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশেই ছিটমহল সমস্যা নিয়ে যুদ্ধ বেঁধেই আছে। কিন্তু পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে জনগণ ও সীমানা বিনিময় করতে সমর্থ হয়েছে। বিশ্বে এটা একটা বিরল দৃষ্টান্ত। পৃথিবীর কোন দেশই এতো শান্তিপূর্ণ উপায়ে জনগণ ও সীমানা বিনিময় করতে পারেনি। মিত্রবাহিনী প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, পৃথিবীর বহু দেশই স্বাধীনতার আন্দোলনে মিত্রবাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে থাকে। মিত্রবাহিনীর সহায়তায় স্বাধীনতা অর্জন করেছে। কিন্তু যেসব দেশের স্বাধীনতার জন্য মিত্রবাহিনী সহযোগিতা করেছে, স্বাধীনতার পর সেসব দেশ থেকে মিত্রবাহিনী চলে যায়নি বরং সেখানে এখনও ঘাঁটি করে আছে। বিশ্বের একমাত্র দেশ বাংলাদেশ, যেখানে স্বাধীনতার মাত্র ৩ মাসের মধ্যে ভারতের সব মিত্রবাহিনী নিজ দেশে ফেরত নিয়ে নজির সৃষ্টি করেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো স্বাধীনচেতা নেতা ছিলেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভাব নেই। পদ্মা সেতু নিয়ে মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আমাদের অনেক ভয়-ভীতি দেখানো হলো। কিন্তু আমি জনগণের জন্য রাজনীতি করি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে রাজনীতি শিখেছি। তাই বাবার মতোই জনগণের জন্য যেকোন ত্যাগ স্বীকার করতে আমি প্রস্তুত। মিথ্যা অভিযোগ তুলে ভয়-ভীতি দেখাবে, কিন্তু আমি শেখ মুজিবের সন্তান। তাই তাদের (বিশ্বব্যাংক) সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করি। পরে কানাডার ফেডারেল কোর্টের রায়েই বেরিয়েছে যে পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভুয়া। বিএনপি নেত্রী আদালতে যেতে ভয় পান উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, দেশে সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ বিএনপিরই সৃষ্টি। ক্ষমতায় থাকতে তারা বাংলা ভাই সৃষ্টি করে পুলিশের প্রহরা দিয়ে তাদের সন্ত্রাস চালাতে সহযোগিতা করেছে, দেশে একই দিনে ৫শ’স্থানে বোমা হামলা হয়েছে। ১০ ট্রাক অস্ত্র ও গোলাবারুদ চোলাচালানের সঙ্গে বিএনপি নেতারাই যে জড়িত ছিলেন, তা প্রমাণিত হয়েছে। আর দেশ থেকে অর্থ পাচারের ঘটনায় বিএনপি নেত্রীর পুত্র সাজাপ্রাপ্ত হয়েছে। আর ক্ষমতায় থেকে এতিমের টাকা মেরে খেয়েছেন বিএনপি নেত্রী। এখন মামলা মোকাবেলা করতে তিনি ভয় পান, আদালত থেকে পালিয়ে বেড়ান। স্বাধীনতার প্রশ্নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম অবদানের কথা তুলে ধরে তাঁর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, বাঙালী জাতির অধিকার আদায়ের প্রশ্নে কোন লোভ-লালসার কাছে কোনদিন আত্মসমর্পণ করেননি বঙ্গবন্ধু। মাত্র ৫৪ বছর বয়সে একটি মানুষ (বঙ্গবন্ধু) দুটি দেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম করে বিজয় অর্জন করেছেন। ব্রিটিশ ঔপনিবেশের বিরুদ্ধে সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে পাকিস্তান সৃষ্টিতে অবদান রেখেছেন বঙ্গবন্ধু। আবার পাকিস্তানের ঔপনিবেশ ও শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রাম ও যুদ্ধ করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন আমাদের জাতির পিতা। তাই বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা কোনদিন স্বাধীনতা পেতাম না, বিশ্বের বুকে স্বাধীন জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে চলতে পারতাম না। আর বঙ্গবন্ধু যদি আর পাঁচটি বছর বেঁছে থাকতেন তবে বাংলাদেশ অনেক আগেই উন্নত-সমৃদ্ধ হতো, দেশের সকল সমস্যার সমাধান হতো। বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ে খুনী মোশতাক ও জিয়াউর রহমানের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৭৫-এর ১৫ আগস্ট শুধু বঙ্গবন্ধুকে নয়, তিনটি বাড়িতে একযোগে হামলা করে বঙ্গবন্ধু পরিবারের ১৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এরপরই শুরু হয়ে হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। ১৫ আগস্টের পর দেশ স্বাধীন ছিল না, মনে হয় পাকিস্তানী পেতাত্মারা দেশের ওপর কালো ছায়া ফেলেছে। ঘরের শত্রু বিভীষণ না থাকলে বঙ্গবন্ধুকে এভাবে জীবন দিতে হতো না। বেইমান খুনী মোশতাকের সহযোগী ছিলেন জিয়াউর রহমান। আর সে কারণেই জিয়াকে সেনাবাহিনীর প্রধান করেছিল মোশতাক। পরে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে নিজেকে নিজে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিয়ে প্রতি রাতে কারফিউ দিয়ে দেশ চালিয়েছেন জেনারেল জিয়া। ২০১০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী পালনে এখন থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা উন্নত, সমৃদ্ধ ও শান্তিময় দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। যেখানে কোন দারিদ্র্যতা থাকবে না, মানুষের প্রতিটি মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হবে। স্বাধীনতার সুফল আমরা প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে চাই। ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী ও ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আমরা মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত, সমৃদ্ধশালী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলব। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে এটাই হচ্ছে আমাদের শপথ ও প্রতিজ্ঞা।
×