ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ আদায় প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে ॥ অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ৩ মার্চ ২০১৭

গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ আদায় প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে ॥ অর্থমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ আদায়ের প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, বর্তমানে সাপ্তাহিক কিস্তি পদ্ধতিতে গ্রাহকরা সাময়িক লাভবান হলেও দীর্ঘমেয়াদে তা হচ্ছে না। বড় লোকেরা ঋণ নিয়ে দিতে চায় না, খেলাপি হয়। কিন্তু গরিবকে ঋণ দিলে খেলাপি হয় না, তাই এদের পরিমাণ বাড়ানো বা আদায় প্রক্রিয়া নিয়ে ভাবার প্রয়োজন আছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এলজিইডি ভবনে সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (এসডিএফ) লোন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (এলএমএস) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সচিব ইউনুসুর রহমান এবং বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফ্যান। অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্রঋণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দেশে গ্রামীণ ব্যাংক প্রথম থেকে দরিদ্রের মাঝে ক্ষুদ্রঋণ দেয়ার ব্যবস্থা করে। এরপর ব্র্যাকসহ অনেক সংস্থা ও এনজিও এ খাতে এসেছে। তারা হতদরিদ্রের মাঝে ঋণ বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের কারণে দেশে দারিদ্র্যের হার অনেক কমেছে। আর এ কারণে ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ব্র্যাক ব্যাংক এবং ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের নাম স্মরণ করা যেতে পারে। তারা কিছু ভাল উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। মুহিত বলেন, দারিদ্র্য নিরসনে আমরা অনেক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি এবং এটাকে অগ্রাধিকার খাত হিসেবে গুরুত্ব দিচ্ছি। আগামী ২০৩০ সালে দেশে কোন দরিদ্র মানুষ থাকবে না। এছাড়া আগামী ২০২৪ সালে বাংলাদেশে আর কোন হতদরিদ্র মানুষ থাকবে না। ইউনুসুর রহমান বলেন, এসডিএফ’র মাধ্যমে আমাদের উন্নয়নের ধারা সামনের দিকে এগিয়ে যাবে, আমরা আর পিছিয়ে পড়ব না। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, গ্রামে সব ধরনের উন্নয়ন হচ্ছে। অতি দ্রুত দারিদ্র্য বিমোচন থেকে আমরা মুক্ত হতে পারব। এসডিএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাখাওয়াত হোসেন তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, এ যাবত এসডিএফের বাস্তবায়িত এবং বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের সর্বমোট প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উপকারভোগীর সংখ্যা প্রায় ৬০ লাখ এবং পরিবার প্রায় ১১ লাখ। মোট ৫ হাজার ৬৪২টি গ্রামে সংগঠনের আওতায় ৯ লাখ ৪২ হাজার সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে ৯৫ শতাংশই নারী এবং ৯২ শতাংশ নারী সদস্য বিভিন্ন নির্বাহী কমিটির মূল পদে নিযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন।
×