ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় ইন্টার্ণ চিকিৎসকদের হামলার সত্যতা পাওয়া গেছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০২:২৭, ১ মার্চ ২০১৭

বগুড়ায় ইন্টার্ণ চিকিৎসকদের হামলার সত্যতা পাওয়া গেছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনেও বগুড়ায় রোগীর স্বজনদের ওপর ইন্টার্ণ চিকিৎসকদের হামলার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, তদন্ত কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন আমার হাতে পৌঁছেছে। হামলার আলামত পাওয়া গেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী আগামী দু’ একদিনের মধ্যে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম(বিএইচআরএফ) আয়োজিত স্বাস্থ্য সেক্টরের ওপর ‘ মিট দ্য প্রেস‘ অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী একথা জানান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি, স্বাস্থ্য সচিব সিরাজুল ইসলাম, হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফ, সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব ও সাধারণ সম্পাদক নিখিল মানখিন প্রমুখ। বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে পরীক্ষা নিরীক্ষার উচ্চ আদায়ের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি হাসপাতালে নামমাত্র ডায়াগনোসিস ফি নেয়া হয়। সরকারি হাসপাতালের অনেকগুণ বেশি ফি নেয়া হয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। ফি কমিয়ে আনার জন্য ওই সব প্রতিষ্ঠানের মালিকদের আহ্বান জানিয়ে আসছি। খুব শীঘ্রই ওই সব প্রতিষ্ঠানের মালিকদের আবার ডেকে এনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। বিপুল জনবল নিয়োগ দেয়ার পরও দেশে চিকিৎসক সংকট রয়ে গেছে উল্লেখ করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, অনেক চেষ্টা করে কয়েক বছর আগে নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের গ্রামে পাঠানো হয়। দু’ বছর না যেতেই তারা শহরে আসার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কেউ কেউ উচ্চ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণের অজুহাত দেখাচ্ছেন। গ্রাম আবার ডাক্তারশূন্য হতে চলেছে। তবে যাদের সেবার মনোভাব রয়েছে, তারা গ্রামের সাধারণ মানুষদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও ওষুধের মানের বিষয়ে কোন রকম ছাড় দেয়া হবে না দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মেডিক্যাল শিক্ষার সঙ্গে মানুষের জীবন-মরণের সম্পর্ক রয়েছে। বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোর মান বজায় রাখতে হবে। নিম্নমানের কলেজ থেকে বের হয়ে একজন দক্ষ চিকিৎসক এবং মানসম্মত চিকিৎসাসেবা দেয়া সম্ভব নয়। এ ধরনের চিকিৎসকরা অনেক সময় জাতির জন্য হুমকি হয়ে ওঠেন। ভাড়াটে ক্যাম্পাসে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ থাকে না। তাই সম্প্রতি বেশ কয়েকটি কলেজে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কয়েকটি কলেজকে ইতোমধ্যে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়েও একই কথা প্রযোজ্য। কয়েক বছর ধরে চলা পরিদর্শন কমিটির প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে অনেক ওষুধ কোম্পানীর লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। আর অনেক ওষুধ কোম্পানীর ওপর মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
×