ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ঘোড়ার লেজ কর্তন ॥ এক পরিবার সমাজচ্যুত

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ৮ ডিসেম্বর ২০১৬

ঘোড়ার লেজ কর্তন ॥ এক পরিবার সমাজচ্যুত

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ ফুটবল টুর্নামেন্টের পুরস্কারের জ্যান্ত ঘোড়ার লেজ কাটার অভিযোগে বুধবার সকালে সভা করে এক পরিবারকে সমাজচ্যুত করেছে স্থানীয় গ্রাম্য মোড়লরা। ঘটনাটি আগৈলঝাড়া উপজেলার পশ্চিম বাগধা গ্রামের। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম বাগধা কল্লোল পল্লী মঙ্গল তরুণ সংঘের উদ্যেগে ‘কল্লোল কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট’-এর ফাইনাল খেলা গত ৩ ডিসেম্বর বিকেলে ক্লাবের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনাল খেলার ট্রাইবেকারের মাধ্যমে বাগধা কল্লোল ক্লাব ৫-৪ গোলে নিতাইকু-ু একাদশকে পরাজিত করে। খেলা শেষে স্থানীয় সমাজসেবক আব্দুল হামিদ তালুকদারের সভাপতিত্বে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ এসএম সিরাজুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেব বিজয়ী দল কল্লোল ক্লাবের খেলোয়াড়দের চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার একটি জ্যান্ত ঘোড়া তুলে দেন। সূত্রমতে, রবিবার রাতে বিজয়ী দলের ওই ঘোড়াটির লেজ কেটে নেয়া হয়। এ ঘটনায় একটি মহল পশ্চিম বাগধা গ্রামের মোকলেস সরদারের স্ত্রী বিউটি বেগমকে অভিযুক্ত করে ঘোড়ার লেজ কাটার ঘটনায় মোকলেসের পরিবারের কাছে বিচার দাবি করে। ওই পরিবার থেকে কোন বিচার না পাওয়ায় বুধবার সকাল দশটার দিকে কল্লোল ক্লাব মাঠে ক্লাবের সভাপতি এবিএম আবু তালেব ছিদ্দিক বুলবুলের সভাপতিত্বে সভার আয়োজন করা হয়। সভায় বক্তব্য রাখেনÑ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল হামিদ তালুকদার, সমাজসেবক জোনেজু খান জনি, সামচুল আলম তালুকদার, দুলাল খান, রহিম খান, লাল মিয়া মোল্লা, সুলতান তালুকদার, অনন্ত হালদার, অজিত মধু, হাবিবুর রহমান, নুর হোসেন, রাজেন মধু প্রমুখ। সভা শেষে মোকলেস ও তার পরিবারকে সমাজচ্যুত করার ঘোষণা দেয়া হয়। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন ক্লাবের সভাপতি এবিএম আবু তালেব ছিদ্দিক বুলবুল। এ ব্যাপারে মোকলেস সরদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জোনেজু খান জনির সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে তার ১১টি মামলা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। তাই সমাজে তাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য অন্য কেউ ঘোড়ার লেজ কেটে তাদের ওপর দোষ চাপিয়ে দিয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে তাদের কোন সম্পর্ক নেই। নওগাঁয় মেহেদীর পাশে জেলা প্রশাসক নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ৭ ডিসেম্বর ॥ রাণীনগর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত শিশু মেহেদি হাসানের পাশে দাঁড়ালেন জেলা প্রশাসক ড. আমিনুর রহমান। ২৬ নবেম্বর জনকণ্ঠে ‘অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত শিশু মেহেদী বাঁচতে চায়’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে বিভিন্ন মহলের নজর কাড়ে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক ড. আমিনুর রহমান সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে ছুটে যান মেহেদীর বাড়িতে। তিনি ওই পরিবারকে আশ্বস্ত করে বলেন, মেহেদীর চিকিৎসার জন্য চলতি সপ্তাহের মধ্যেই সিভিল সার্জনকে দেখিয়ে তার পরামর্শক্রমে সরকারী পর্যায়ে সর্বোচ্চ হাসপাতালে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তার মাধ্যমে স্থানীয় সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলমের পক্ষ থেকে ৫ হাজার টাকার চেক ও জেলা প্রশাসক নিজে যাতায়াত খরচ বাবদ কিছু নগদ অর্থ মেহেদীকে প্রদান করেন। সেই সঙ্গে সরকারী পর্যায়ের সহযোগিতার জন্য মেহেদীর বাবা আজাদকে তাঁর বরাবর আবেদন দিতে বলেন।
×