ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

নববধূর শ্লীলতাহানির ভিডিও ইন্টারনেটে ॥ স্বামীসহ ৫জনের দণ্ড

প্রকাশিত: ০৬:৩৯, ৮ নভেম্বর ২০১৬

নববধূর শ্লীলতাহানির ভিডিও ইন্টারনেটে ॥ স্বামীসহ ৫জনের দণ্ড

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর, ৭ নবেম্বর ॥ মধুটিলা ইকোপার্কে নববধূর শ্লীলতাহানির ভিডিওচিত্র ছড়িয়ে দেয়ার চাঞ্চল্যকর মামলায় স্বামীসহ পাঁচজনের বিভিন্ন মেয়াদে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। রবিবার দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে যুগ্ম-জেলা ও দায়রা জজ-১ মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ ওই রায় ঘোষণা করেন। দ-িতরা হলো- নালিতাবাড়ী উপজেলার সমশ্চুড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে শফিকুল ইসলাম (২৭), জসিম উদ্দিনের ছেলে আব্দুস ছালাম (২৫), মতিউর রহমানের ছেলে মনু মিয়া (২৬), মৃত হাসমত আলীর ছেলে ইজারাদার মোস্তফা কামাল (৩০) ও নকলা উপজেলার বাছুরআলগা গ্রামের আনছার আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম বুলবুল (৩০)। অন্যদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় নাজমুল হাসান লিটন মিয়া (৩৫) নামে অপর আসামিকে খালাস দেয়া হয়। জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই নালিতাবাড়ী উপজেলার মধুটিলা ইকোপার্কে স্বামী নজরুল ইসলাম বুলবুলের সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া ওই নববধূকে শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে স্থানীয় কয়েকজন বখাটে অস্ত্রের মুখে শ্লীলতাহানি করে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে। পরে ওই নববধূর পরিবারের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে না পেয়ে বখাটেরা মোবাইলে ব্লুটুথ ও ইন্টারনেটে ওই অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেয়। চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনায় নববধূ বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে নালিতাবাড়ী থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্ত শেষে পুলিশ সংশ্লিষ্ট আইনে নববধূর স্বামী নজরুল ইসলাম বুলবুল ও ইকোপার্কের কর্মচারী গোলাম মোস্তফাসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর আদালতে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করে। ১৫ হাজার মানুষের দুর্ভোগের কারণ কালিয়া সড়ক স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ সদরের ডেমার হেদায়েতপুর-কালিয়া সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ায় দুটি গ্রামের হাজার-হাজার মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের কাছে এই সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ ২০০৪ সালে ডেমা ইউনিয়নের হেদায়েতপুর-কালিয়া গ্রামের এই সড়কটি নির্মাণ করে। দুই বছর ধরে এই সড়কের হেদায়েতপুর গ্রামের রাস্তা ভেঙ্গে পুকুরে চলে যাচ্ছে। স্থানটিতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। হেদায়েতপুর গ্রামের সোহেল পারভেজ বলেন, প্রায় এক যুগ আগে তিনটি গ্রামের অন্তত ১৫ হাজার মানুষের চলাচলের জন্য মাটির রাস্তাটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি)। গত দুই বছরে হেদায়েতপুর গ্রামের পুকুর পাড়ের প্রায় তিন শ’ মিটার ভেঙ্গে পুকুরে চলে গেছে। ডেমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনি মল্লিক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তার অধিকাংশ স্থানে খানাখন্দে ভরে গেছে। এই রাস্তাটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি)। তাদের কাছে সংস্কারের দাবি জানানো হয়েছে।
×