ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আজ সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ২৭ আগস্ট ২০১৬

রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আজ সংবাদ সম্মেলন

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শনিবার বিকাল চারটায় গণভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন। সুন্দরবনের কাছে বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র নিয়ে এ সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। জানা গেছে, বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যেসব তথ্য-উপাত্ত দিয়েছেন, সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা খ-াতে পারেন এবং সুন্দরবনের কাছে বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের যৌক্তিকতা তুলে ধরার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে রামপালে যে তাপ বিদ্যুত কেন্দ্র হচ্ছে, তা বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের পরিবেশ ও প্রতিবেশ হুমকিতে ঠেলে দেবে বলে আশঙ্কা পরিবেশবাদীদের একাংশ ও কিছু বাম দলগুলোর। ওই প্রকল্প বাতিলের দাবিতে তারা আন্দোলনও চালিয়ে আসছে। গত বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া রামপাল প্রকল্পকে ‘দেশবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে সুন্দরবনের কাছ থেকে অন্য এলাকায় সরিয়ে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র বাতিলের দাবিতে বাম দলগুলোর সমর্থনে আন্দোলনরত তেল-গ্যাস রক্ষা কমিটির ‘চল চল ঢাকা চল’ ও ‘মহাসমাবেশ’ কর্মসূচীতে এর মধ্যেই সমর্থন জানিয়েছে বিএনপি। বিদ্যুত কেন্দ্র নিয়ে শঙ্কার জবাবে সরকার বলছে, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দূষণের মাত্রা ন্যূনতম রেখেই এই তাপ বিদ্যুত কেন্দ্র হচ্ছে, যা সুন্দরবনের প্রাকৃতিক পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত করবে না। বিদ্যুত ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রকল্প হিসেবে ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে। ‘মৈত্রী সুপার থারমাল’ নামের এই বিদ্যুত কেন্দ্রটি সুন্দরবনের ইউনেস্কো ঘোষিত হেরিটেজ অংশ থেকে ৬৯ কিলোমিটার এবং সুন্দরবনের প্রান্তসীমা থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। রামপালে এই বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ২০১১ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশের বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড এবং ভারতের ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেডের (এনটিপিসি) সমান অংশীদারিত্বে গঠিত বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড প্রকল্পটি ২০১৮ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা রয়েছে।
×