ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

সমাজের প্রতিটি জায়গায় শিশুবান্ধব আচরণ নিশ্চিত করতে হবে : চুমকি

প্রকাশিত: ০১:৫১, ২৮ এপ্রিল ২০১৬

সমাজের প্রতিটি জায়গায় শিশুবান্ধব আচরণ নিশ্চিত করতে হবে : চুমকি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, শিশুর ঠিকানা পথে নয়। পথে কোনো শিশু জন্মায় না। তাই পথশিশু বলে কিছু নেই। দারিদ্র, বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ, মৃত্যু, বা তাদের অসচেতনতা এবং অর্থলোভী কিছু মাদক ব্যবসায়ীর কারনে শিশুরা পথে দিন কাটায়। শিশুদের ক্ষেত্রে সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। সমাজের প্রতিটি জায়গায় প্রত্যেক ব্যক্তির শিশুবান্ধব আচরণ নিশ্চিত করতে হবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর কমলাপুরে পথশিশুদের পুনর্বাসন কেন্দ্র উদ্বোধন শেষে রেলওয়ে অফিসার্স রেস্ট হাউজের সভাকক্ষে ‘পথশিশু পুনর্বাসনের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ সব কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি পথশিশু পুনর্বাসন কর্মসূচী বিষয়ক (scrp.gov.bd) একটি ওয়েবসাইটেরও উদ্বোধন করেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব নাছিমা বেগমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ নূরুল কবির, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ আমির হোসেন, রেলওয়ে পুলিশের ডিআইজি এস.এম রুহুল আমিন প্রমুখ। সভায় পথশিশুদের নিয়ে কাজ করে এমন কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পুনর্বাসিত শিশুরাও তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। পুলিশকে শিশুবান্ধব হতে হবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা রাতারাতি মানসিকতা পরিবর্তন করতে পারব না। কিন্তু সমষ্টিগতভাবে সকলের চেষ্টায় তা করা সম্ভব। পুলিশের কোনো কর্মকর্তা শিশুদের সাথে খারাপ ব্যবহার করলে যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়। মাদক চক্রের সাথে শিশুদের জড়িয়ে পড়া প্রতিরোধে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে আরও বেশি সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পথশিশুর সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে। এজন্য সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন। সভাপতির বক্তব্যে নাছিমা বেগম বলেন, দারিদ্র শিশুদেরকে পথে নিয়ে আসে। সরকার দারিদ্র দূর করার জন্য সমন্বিত দারিদ্র দূরীকরণ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। তাই এই সমস্যা সমাধানেও সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত উদ্যোগ জরুরী। সভায় জানানো হয়, পথশিশুদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কার্যক্রম শুরু করেছে। এর মাধ্যমে পথশিশুদের পুনর্বাসন, মোটিভেশন, কাউন্সিলিং এবং শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। ইতোমধ্যে কমলাপুর বাজার রোডের রাজ্জাক টাওয়ারে পথশিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে রাজধানীর কাওরান বাজার ও কমলাপুরকে পাইলটিং করে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। কারণ এ দুইটি জায়গায় পথশিশুর সংখ্যা বেশি। কর্মসূচীর পরিচালক ড. আবুল হোসেন জানান, কমলাপুরের পথশিশুদের প্রায় ৫৩ শতাংশ ৬ থেকে ১০ বছর বয়সী এবং প্রায় ৮৩ শতাংশ পথশিশু নিজেদের খাবার নিজেরাই জোগাড় করে। তাদের ৬০ শতাংশ মাদক নেয় এবং প্রায় ৮০ শতাংশ পথশিশু স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ব্যবহার করে না।
×