ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

উৎসবের গহনা

কারিমুন্নেছা হক

প্রকাশিত: ২২:৫৯, ১৭ মার্চ ২০২৪

উৎসবের গহনা

.

ঈদকেন্দ্রিক নানা আয়োজন ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। রাত বারোটার সময়েও মার্কেট থাকে লোকারণ্য। কেউ কিনছে পোশাক আবার কেউবা গহনা। উৎসবে নতুন পোশাকের সঙ্গে মানানসই গহনা না হলে সাজই যেন অপূর্ণ। মেয়েরা বরাবরই গহনাপ্রিয়। এমন নারী খুঁজে পাওয়া ভার যার মধ্যে গহনার প্রতি দুর্বলতা নেই। তাদের প্রয়োজনীয়তার কথা ভেবেই মার্কেট থেকে শুরু করে দেশীয় বুটিকস হাউজেও দেখা যায় এক্সেসরিজ কর্নার। সেখানে থাকে চোখ ধাঁধানো নানা রকম গহনা। তাই পোশাকের সঙ্গে টিনএজ মেয়ে নারীরা কিনছে বাহারি এক্সেসরিজ। এই গরমে সুতি কাপড়ের ঢিলেঢালা হাল্কা রঙের পোশাকের সঙ্গে হাল্কা গহনা সাজ হবে বেশ মানানসই। অনেক মেয়ের গহনার ঝক্কি পছন্দ নয় মোটেও, কিন্তু গুছিয়ে চলতে পছন্দ করেন। তাই সাজের অনুষঙ্গ বাছাই করতে ভাঁজ পড়ে কপালে। কিভাবে সাজলে ভাল লাগবে স্বস্তি পাবে তা নিয়ে থাকে দোটানায়। এক্ষেত্রে সকল চিন্তা ঝেড়ে ফেলে নিজেকে সাজিয়ে তুলুন মনের মতো করে।

বর্তমানে যে কোনো শপিংমলে সুতি কাপরের সঙ্গে সুতি, মেটাল, মাটি কিংবা বিডসের জুয়েলারি পাওয়া যায়। তাই পোশাকের সঙ্গে মানানসই গহনা পরুন। কেননা, গহনা ছাড়া সাজ অপূর্ণ। এবার জেনে নেয়া যাক কোন্ পোশাকের সঙ্গে কেমন গহনা হবে মানানসই। ঈদ উৎসবে পোশাক যেমনই হোক না কেন, তার সঙ্গে মানানসই ট্র্যাডিশনাল গহনা পরলে বেশ মানায়। বেশ স্টাইলিশ লুকও পাওয়া যায়। ঈদ উপলক্ষে কোনো নিমন্ত্রণে যদি উজ্জ্বল রঙের ঝলমলে গাউন বা লং ড্রেস পরেন, তবে চেষ্টা করুন হাল্কা গহনা পরতে। না হলে পোশাকের আভিজাত্যটা কমে যাবে। আবার কম কারুকাজের শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজ পড়লে, কনট্রাস্ট রঙের জমকালো গহনা  বেছে নিন। একই সঙ্গে ভারী নেকপিস, ব্রেসলেট, কানের দুল বা আংটি পরতে পারেন। রংধনুরঙা গহনা বা একটু অন্য স্টাইলের গহনায় সাজলে ক্যাজুয়াল পোশাকেও হয়ে উঠবেন ফ্যাশন আইকন।

ঈদে দুপুরের প্রখর রোদে বাইরে বেড়াতে বা ঘুরতে গেলে এড়িয়ে চলুন চকচকে বা ঝলমলে গহনা। ব্রেসলেট হোক বা কানের দুলÑ সবটাই যেন হয় ছিমছাম। আর ক্যাজুয়াল পোশাকের সঙ্গে উজ্জ্বল রঙের গহনা পরতে পারেন, তবে অবশ্যই পোশাকের সঙ্গে কনট্রাস্ট করে। গহনাতে ভেরিয়েশন আনতে স্বর্ণের পাশাপাশি গোল্ড প্লেটেড, মেটাল, স্টোন, পুঁতিসহ নানা ধরনের গহনা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যোগ হচ্ছে নিত্যনতুন ট্রেন্ড।

ফ্যাশনে এখন চোকার, লেয়ার নেকলেস, লহরী মালা, বিভিন্ন ধরনের কাটিং গহনা বেশ জনপ্রিয়। ধরনের গহনা শাড়ি ছাড়াও বিভিন্ন জমকালো পোশাকের সঙ্গে খুব সুন্দর মানায়। গহনার দোকানগুলোর দিকে তাকালেই এখন চোখে পড়বে রুপালি প্রলেপ দেওয়া বিভিন্ন ধাতব গহনা, যা হাল ফ্যাশনে খুবই জনপ্রিয়। কখনও সরাসরি রুপার ব্যবহার, কখনও আবার ধাতবের ওপর রুপালি রঙের প্লেটিং করে এসব গহনা তৈরি হচ্ছে। সিলভার কালার ছাড়াও অক্সিডাইস, এন্টিক কালারও খুব চলছে। নানা আকৃতির রুপালি বিডস, কাটাই কাজ আর মুক্তার ব্যবহারে এসব গহনা হয়ে উঠেছে শৈল্পিক। সিল্ক, মসলিন, কাতান শাড়ি ছাড়াও সারারা, লেহেঙ্গা, গাউনের সঙ্গে ধরনের গহনা বেশ মানাবে।

ন্যাচারাল পাথরের গহনা খুব ঝকমকে না হলেও এখনকার ট্রেন্ডে বেশ জনপ্রিয়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে কাপড় অথবা মাটি দিয়ে তৈরি নান্দনিক গহনাও কিনতে পারেন। যারা ঈদে শাড়ি পরতে চান, তারা গোল্ডেন বা তামাটে কাজের এ্যান্টিক ধাঁচের গহনা পরতে পারেন। সঙ্গে ম্যাচিং করা কানের দুল অথবা আধুনিক ডিজাইনের নান্দনিক যে কোনো দুল। আজকাল বড় নাকফুল বেশ জনপ্রিয়।

ধাতব বা রুপার তৈরি নথও পরছেন অনেকে। নাকফুল বড় পরলে তার সঙ্গে কান খালি রাখলে বা ছোট কানের দুল পরলে ভালো লাগবে। আধুনিক নারীরা সাজে এক হাতে ব্রেসলেট, বালা বা বাউতি পরতে পছন্দ করেন। অন্য হাতে থাকে ঘড়ি বা আংটি।  এক্ষেত্রে পাথর বসানো বালা বেছে নিতে পারেন। ফরমাল দাওয়াতে এক আঙুলে শুধু বড় একটি আংটি ভাল লাগবে। মৌচাক মার্কেট, বসুন্ধরা শপিং মল, যমুনা ফিউচার পার্ক, ইস্টার্ন প্লাজাসহ বিভিন্ন শপিংমলে পাওয়া যাবে নানা নকশার গহনা। বৈচিত্র্যময় ট্রেন্ডি গহনার খোঁজে যেতে পারেন বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসে। এছাড়াও সিক্স ইয়ার্ডস স্টোরি, জাফরিন রুবি, জহরতসহ বিভিন্ন অনলাইনভিত্তিক দোকান থেকেও কিনে নিতে পারেন ভিন্ন ধারার পছন্দনীয় গহনাটি।

ছবি : রং বাংলাদেশ

×